০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৪:৬:২২ অপরাহ্ন


ফাইনালে পরাস্ত পাকিস্তান ২৩ রানে
এশিয়া সেরা শ্রীলঙ্কা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৯-২০২২
এশিয়া সেরা শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে শ্রীলঙ্কান দল/ছবি সংগৃহীত


এশিয়া কাপ মানেই শ্রীলঙ্কা না হয় ভারত। ১৫ বার এ নিয়ে অনুষ্টিত হলো এ আসর। কিন্তু এশিয়ার শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে এবার শ্রীলঙ্কাই প্রমান করলো তারাই সেরা। ১৫ বারে ভারত সর্বাধিক সাতবার। এরপর ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে লঙ্কাও এগিয়ে। পাকিস্তান জিতেছে দু’আসর। এ আসরে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে  চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। অনেকেই বলছেন জয়টা দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কারই প্রাপ্য ছিল। কিন্তু বিষয়টি ঠিক নয়। কারন গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ক্রিকেটে তো খেলেছেই। প্রথম ম্যাচের পর প্রতিটা ম্যাচেই ছিল তাদের ধারাবাহিকতা। ফলে যোগ্য দল হিসেবেই তাদের এ প্রাপ্তি। 

দুবাইয়ের এ আসরে পাকিস্তানকেই ফেবারিট মানা হয়েছিল। কিন্তু শাহেন শাহ আফ্রিদীর অনুপুস্থিতি দলটির বোলিং লাইনের দুর্বলতা বেশ ভালই চোখে পরে। নতুবা এবারের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন প্রচন্ড টেনশনে, সেখান থেকে বেড়িয়ে ঠিকই ১৭০ রান করে ফেলে। প্রথম ব্যাটিং করে ওই রান পাকিস্তানের দুশ্চিন্তার কারন হয়ে ওঠে। শ্রীলঙ্কার মুলত ভানুকা রাজাপাকসাই সমৃদ্ধ করে দেন স্কোর। পাচ এ ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ বলে খেলেন অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস। যাতে ছক্কা তিনটি ও বাউন্ডারী ছিল ৬টি। এছাড়া হাসারাঙ্গার ২১ বলে করা ৩৬ রান শ্রীলঙ্কার ফাইনালে লড়াইয়ের পুজি সংগ্রহ করে ফেলে। 

এরপর পাকিস্তানও সুচনা দেখেশুনে করার চেষ্টা করলেও লঙ্কান নিয়ন্ত্রনাধীন বোলিংয়ের মুখে সুবিধা করতে পারছিলনা। যে গড়ে রান নেয়া প্রয়োজন সেটা পারেননি তারা। এতে ক্রমশ পিছিয়ে পরে। কিন্তু যখন বিগ শট নেয়ার প্রয়োজন, ঠিক তখন তারা আউট হন একে একে। এ ধারা যেভাবে চলেছে সেটা ছিল প্রচন্ড হতাশার। ফাইনালে খেলা একটি দলেরব্যাটিং এতটা হতাশা ছড়াবে সেটা গ্যালারীতে উপস্থিত বিপুল পরিমান দর্শকও বিশ্বাস করতে পারেনি। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ রেজওয়ান স্লো খেললেও তিনিই যা কিছু রান করেন। ৪৯ বলে ৫৫।


রেজওয়ান ছাড়া ইনিংসে আর দুটি মাত্র ডাবল ফিগার। সেটা ইফতেখারের ৩১ বলে ৩২ ও হারিসের ৯ বলে ১৩। তবে লঙ্কান বোলাররা খেলেছে দুর্দান্ত। গোটা টুর্নামেন্টে সফল বোলারে হাসারাঙ্গা সুবিধা করতে পারছিলেণ না। কিন্তু ঠিকই তার বল ক্লিক করেছে। এবং এক ওভারেই নেন তিনি ডেঞ্জারম্যান রেজওয়ান, খুশদিল শাহ ও আসিফ আলীকে। এতেই পাকিস্তান পেছনে পরে। সেখান থেকে আর উঠে দাড়াতে পারেনি। শেষ পাচ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান ও বলের পার্থক্য এত বাড়তে থাকে যে জয়ের পাল্লা ঝুকে গিয়েছিল লঙ্কার দিকে। ওখান থেকে পাকিস্তান হার ফিরতে পারেনি। বরং শ্রীলঙ্কার প্লান ক্রিকেটের কাছে ঠিক আগের গুরুত্বহীন ম্যাচের ন্যায় ফাইনালেও বিধ্বস্ত হয় পাকিস্তান। 

ভানুকা রাজাপাকসা ম্যান অব অফ দ্যা ফাইনালের পুরুস্কার পেয়েছেন। আর হাসারাঙ্গা হয়েছেন এশিয়া কাপের সেরা পারফরমার। 

শেয়ার করুন