২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন


আইএমএফ যে বার্তা দিল বাংলাদেশকে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১০-২০২২
আইএমএফ যে বার্তা দিল বাংলাদেশকে


আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত অর্থ বছরের চেয়ে কমে ৬ শতাংশে দাঁড়াবে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে। আইএমএফ চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি ৯.১ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে। গত ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত আইএমএফ এর ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে পূর্বাভাস রয়েছে। আইএমএফ এর এবারের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু ‘জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংকট সামাল দেয়া।’ আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা শুরুর দিনে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। 

সাময়িক হিসেবে বাংলাদেশে গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.২%। গড় মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৬.১%। সেটা চলতি অর্থ বছরে এসে ৫.৬% এ সীমিত রাখার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তুআইএমএফ মনে করছে, এবার মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়াবে ৯.১%। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসেবে বাংলাদেশে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.৯৫%। অবশ্য আগষ্ট ও সেপ্টেম্বরে পয়েন্ট-টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৯শতাংশ ছাড়িয়েছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি হচ্ছে আগের বছরের নির্দিষ্ট কোনো মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের তুলনায় পরের বছর একই মাসে ওই সূচক যতটুকু বাড়ে তার শতকরা হার। অন্যদিকে ১২ মাসের পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির গড় করে গত এক বছরের গড় পরিসংখ্যান বের করা হয়।

এদিকে আইএমএফ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ কোভিড-১৯ অতিমারির প্রভাব এবং চীনে অব্যাহত লকডাউনসহ অন্যান্য কারণে এ বছর এবং আগামী বছর বিশ্বব্যাপী আর্থিক পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে। অন্যসব মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলার আরো শক্তিশালী হতে পারে। মূল্যস্ফীতির উপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়ে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি চাপ ও চীনের লকডাউন অর্থনীতিতে ধীর গতি- এ তিনটির মূল চ্যালেঞ্চের মুখে বিশ্ব অর্থনীতি। চীনের মতোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতিতেও ধীরগতি থাকবে। 

আইএমএফ এর মতে এ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হবে ৩.২%। আগামী বছর সেটা কমে ২ দশমিক ৭ শতাংশে নামবে। ২০০১ সালের পর যা হবে সর্বনিম্ন। 

আইএমএফের ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেছে যে মূল্যস্ফীতির চাপই সবচেয়ে নিকটবর্তী হুমকি, যা মানুষের প্রকৃত আয় কমিয়ে দেয়। ২০২২ সালে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। পরের বছর তা কমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে এ ব্যাপারে সর্বদা সতর্ক থাকা উচিৎ হবে।

শেয়ার করুন