২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:২৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


রিজার্ভ থেকে বাজারে তেল ছাড়ার নির্দেশ দিলেন জো বাইডেন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৪-২০২২
রিজার্ভ থেকে বাজারে তেল ছাড়ার নির্দেশ দিলেন জো বাইডেন


জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার রিজার্ভে হাত দিলো যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৬ মাস প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভে থাকা তেল বাজারে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ব্যারেল করে ৬ মাসে মোট ১৮০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়বে দেশটি। ১৯৭৪ সালে যে স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ তৈরি করা হয়েছিল সেখান থেকেই এই তেলের যোগান দেয়া হবে। খবরে জানানো হয়, ওই রিজার্ভ তৈরির পর এই প্রথম একসঙ্গে এতো তেল বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এতে সাম্প্রতি সপ্তাহগুলোয় জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলে এ ঊর্ধ্বগতি একটি প্রধান রাজনৈতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত ৩১ মার্চ পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা (ওপেক) এবং রাশিয়াসহ তার মিত্রদের বৈঠক হয়। এতে তারা আস্তে আস্তে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হন। যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং পশ্চিমা দেশগুলো ক্রমশ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। তার প্রেেিতই উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ওপেক জানিয়েছে, বর্তমানে তেলের বাজারে যে অস্থিরতা দেখে যাচ্ছে তা উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরঞ্চ ভ‚-রাজনৈতিক কারণেই এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে। তবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি বা জাপান যুক্তরাষ্ট্রের মতো নিজেদের তেলের রিজার্ভে হাত দেবে কিনা তা এখনো অস্পষ্ট। এ নিয়ে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি আশা করছেন, মিত্র দেশগুলো ৩০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ছাড়তে রাজি হবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান এবং মস্কোর ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এই মাসের শুরুতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলারে উঠে যায়। পরে জ্বালানির দাম কমে আসলেও এখনো ব্রেন্ট ক্রুডের দাম এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি।

উল্লেখ্য, সত্তরের দশকের জ্বালানি সংকটের পর তেলের বিশাল এক রিজার্ভ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। এটি টেক্সাস ও লুইজিয়ানায় অবস্থিত। গত ২৫ মার্চের হিসেবে সেখানে ৫৬৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রিজার্ভ করা আছে। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ছিল সেখানে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সংকট দেখা দিলে এখান থেকে তেল সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার হিসেবে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে ১০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ব্যবহৃত হয়।

শেয়ার করুন