২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


দেশকে শরীফ নুরুল আম্বিয়া
বর্তমান সংকট গোপনে সমাধানের বিষয় না
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১০-২০২২
বর্তমান সংকট গোপনে সমাধানের বিষয় না শরীফ নুরুল আম্বিয়া


সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির ২য় সভা। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে দলের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার এতে সভাপতিত্ব করেন। এতে দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রস্তাব তোলা হয়। আর রাজনৈতিক প্রস্তাবের মূল বক্তব্যে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয় ২০১৮ সনের তথাকথিত নির্বাচনের নতুন সংস্করণ বাস্তবায়নের অপচেষ্টা বাধা দেয়া সকলের নৈতিক দায়িত্ব। প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক মাঠে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ছাড়াও ক্ষমতার বাইরে থাকা দলগুলি এখন বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক মাঠে তৎপর রয়েছে তাদের দাবি আদায়ে। এমন সময়ে কি কারণে বাংলাদেশ জাসদ তাদের রাজনৈতিক প্রস্তাবে ২০১৮ সনের তথাকথিত নির্বাচনের নতুন সংস্করণ বাস্তবায়নের অপচেষ্টার প্রসঙ্গটি টেনে আনলেন তা নিয়ে নানান গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে আসলে কি হচ্ছে। কি বলতে চায় বাংলাদেশ জাসদ?

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে গেল জাসদের একাংশ (শরীফ নুরুল আম্বিয়া)। ১৪ দলের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ও আওয়ামী লীগের অধীনস্থ সংগঠনে রূপান্তর হওয়ায় সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। ২০০৫ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়।

আর এজন্য শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সাম্প্রতিক মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া আগে দেখা যাক, দলের রাজনৈতিক প্রস্তাবের চুম্বক অংশ। সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে। এতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে দলটি। বলা হয়, এটা খুবই বেদনাদায়ক যে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের এতোদিন পরেও আমাদেরকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার বিষয় এই যে, স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক শাসনের মতো একই কায়দায় রাজনৈতিক দলীয় সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় সংসদের নির্বাচন যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলেও সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিকৃত করে দলীয় বিজয়কে নিশ্চিত করার অপচেষ্টা করা হলো। তাকে সংশোধন করার নামে গোটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেই বাতিল করা হয়েছে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের উদাহরণ বিবেচনায় নিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের করার গৃহীত সিদ্ধান্ত জঘন্যভাবে অপব্যবহার করা হলো। এ ব্যবস্থার উপহার পেলাম ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রহসন। বিশেষ করে ২০১৮ সালে ভোটের আগের রাতে ব্যালট কাগজে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার নজিরবিহীন ন্যক্কারজনক ইতিহাস রচিত হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনমনে আশঙ্কা- আবারো কি ২০১৮ সালের কোনো নতুন সংস্করণ সংঘটিত হতে যাচ্ছে? এ ধরনের যে কোনো অপপ্রয়াসকে বাধা দেয়া আজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্তব্য ও সকলের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সভা মনে করে, পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার আগেই সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে ঐকমত্য গঠনের জন্য। এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বহীন ও একগুয়ে আচরণ গোটা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে।

সভার প্রস্তাবে বলা হয় নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে। এতে বলা হয় সম্প্রতি জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন বাতিল হওয়ার ঘটনাটি এ সভা শঙ্কার সাথে লক্ষ করছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, ইলেকট্রনিক ভোট পদ্ধতিতে (ইভিএম) ভোটের অনিয়ম ও ত্রুটিকে দূর করবে। বাস্তবে দেখা গেল যে, ক্ষমতাসীনদের ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ ও তাদের সমর্থনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের অতি উৎসাহী অপতৎপরতা সীমার বাইরে চলে গিয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়েছে উপনির্বাচনটি বাতিল করতে। অথচ আইন অনুযায়ী, সরকার নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে বাধ্য। বাস্তবে তা ঘটেনি এবং ভবিষ্যতে তা হবার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা থেকে যেন তারা পিছিয়ে না আসে, এ সভা সে আশা পোষণ করে। এর আগে নির্বাচন কমিশনের সভায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তারা যে উদ্ধত আচরণ করেছেন নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরঞ্চ ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে তারা অপমানকে হজম করেছেন। এতে উদ্ধত কর্মকর্তারা প্রশ্রয় পেয়েছেন বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে পিছিয়ে না গিয়ে আরো সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। নতুবা এর ফলে সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতির দায় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।

সভায় আরো বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্লোগান ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন সরকার একদিকে দুর্নীতি-লুটপাট-অপশাসনকে জায়েজ করতে চাইছে, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষণ করছে। ফলে দিন দিন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আজ লাগামহীন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আজ বেপরোয়া। সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে আজ নাভিশ্বাস উঠেছে।

সভা থেকে জাসদ দাবি করে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি। যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট-চুরি-দুর্নীতির হোতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সভায় মাঠের ঐক্য প্রসঙ্গে বলা হয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাসদ অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে দলের নেতৃত্বে জনগণকে সংগঠিত করার পাশাপাশি আমরা এদেশের সমমনা সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রয়াসী।

সভায় দলের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার দেয়া বক্তব্যেরও কিছু অংশ তুলে ধরা হলো। এতে তিনি বলেন, সমাজ হয় না। সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণে আমাদের এক নিরন্তর সংগ্রামে সক্রিয় থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে বিরাজিত রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বের করতে হবে ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্থায়ী ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। দলীয়করণ এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যেভাবে নষ্ট হয়েছে তা থেকে মুক্ত করার পথ তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এসব অপরিহার্য। উন্নত ও কার্যকরি শিক্ষার পথ তৈরি করতে হবে। শিক্ষার নামে শিক্ষাব্যবসা বন্ধ করতে  কঠোর হতে হবে। বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবসার বদলে সকলের চিকিৎসা অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সরকারও ইতিহাস বিকৃতির দুঃখজনক কর্মকা-ে লিপ্ত হয়ে পড়েছে, অনেক কিছু অবমূল্যায়িত হচ্ছে। সত্যের সঙ্গে থাকার জন্য আমরা তা প্রতিবাদ করে যাবো। সাম্প্রদায়িকতার সংগে আপসকামী, দুর্নীতি-লুণ্ঠন ও সম্পদ পাচারে পারদর্শী এই সরকারের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্ন। একতার শক্তি দিয়ে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, যারা নিজের ভাগ্যবদলের জন্য রাজনীতি করে, তারা উপেক্ষিত হবে। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদেরকে গণতন্ত্রের লক্ষ্যে বৃহত্তর  ও কার্যকরি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সেই সংগ্রাম যে সংগ্রামে মানুষ আর বঞ্চিত হবে না। তার এধরনের বক্তব্যের সূত্র ধরে জানতে চাওয়া কয়েকটি বিষয়। নিচে তা তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

দেশ: কি কারণে মনে হচ্ছে ২০১৮ মতো আরেকটা নির্বাচনে দিকে যাচ্ছে সরকার। কেনো এধরনের মন্তব্য করলেন? বিস্তাারিত খোলামেলাভাবেই বলবেন।

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: সরকার পক্ষ ধারাবাহিকভাবে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন করার কথা বলে চলেছে। তাছাড়া সরকার পক্ষ এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি যে, ২০১৮ সনে তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় আগের রাতে ভোট করেছে। আসন্ন জাতীয়  নির্বাচনে ইভিএম যুক্ত করে সরকার ২০১৮ সনের নির্বাচনের নতুন সংস্করণ বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার উপনির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করলেও তা ছিল অকার্যকর। ভোটকেন্দ্র যাদের দখলে ছিল, তারা ইভিএম ব্যবহার করেছে প্রশাসনের সহযোগিতায়। ফলে বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত করেছে।  সময়ের সাথে সাথে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকারের যৌক্তিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের কথাও আলোচনায় রয়েছে।

দেশ: বিষয়টা কি এমন যে সরকার বিরোধীদলকে তোয়াক্কাই করছে না।

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: নির্বাচনকালিন সরকারের একটি স্থায়ী ব্যবস্থা  প্রতিষ্ঠিত করা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য অপরিহার্য। সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার জন্য সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, এ বিষয়ে দ্বিধান্বিত হওয়া উচিত না।  দেশের স্বার্থে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে, আমরা মনে করি রাজনৈতিক  দলের মাঝে অলোচনা হওয়া উচিত। এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব বেশি, কেননা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য তারাই প্রধানত দায়ী। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের সুযোগ আছে সকলকে নিয়ে উন্মুক্ত মন নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসে সংকটের সমাধান করা। সরকার যদি তা না করে তবে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ী থাকবে। 

দেশ: সরকারের নিরবদায় কি মনে হচ্ছে সরকারের অবস্থান অনেক শক্ত।

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: আমাদের দেশে যারাই ক্ষমতায় যায় তারা অল্পদিনের মধ্যেই সেবকের বদলে শাসকে পরিণত হয় এবং খুন, গুম, নির্যাতন ও কালো আইনের আশ্রয় নিয়ে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। বর্তমান সরকারের অতি প্রশাসন-নির্ভরতা, দুর্বৃত্ত ও লুটেরাদের লালনপালন এবং দীর্ঘদিনের শাসন তাদেরকে এক নজিরবিহীন স্বেচ্ছাচারী সরকারে পরিণত করেছে। তবে এভাবে বিক্ষুব্ধ জনগণকে দমন করে রাখা যাবে না, এমন পদক্ষেপ জনগণকে আরো বিক্ষুব্ধ করবে। আমাদের দেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে অনেক পরিণত, গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম তারা করেছে, সংগ্রাম শেষে আবার বিজয় হাতছাড়া হয়েছে।

দেশ: এখনো কেনো আপনারা এ ইস্যুতে এক হতে পারছেন না?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: আমরা মনে করি, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে জনগণ ও গণতান্ত্রিক দলসমূহ সময়মত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

দেশ: গোপন সমঝোতার আভাস পাচ্ছেন নাকি? এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও দিয়েছেন, আসলে কি?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: বর্তমান রাজনৈতিক সংকট কোনো গোপন আলোচনায় বা নির্বাচনে সিট ভাগাভাগির মাধ্যমে সমাধান হওয়ার বিষয় নয়। যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকার কথা যারা ভাবে তারা এমন পথ তৈরি করার কথা ভাবতে পারে। তারা অন্যদের প্ররোচিত করতে পারে, তবে তাদেরকে বিশ্বাস করে তাদের পাতা ফাঁদে কেউ ধরা দেবে বলে মনে করি না।

শেয়ার করুন