২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:৪৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


দেশকে রাশেদ খান মেনন
সরকারে আমাদের অংশগ্রহণ নেই
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৯-২০২২
সরকারে আমাদের অংশগ্রহণ নেই রাশেদ খান মেনন


বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকারে তো আমাদের অংশগ্রহণ নেই। তবে জোট হিসেবে সরকারকে সমর্থন করি। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, সরকারের আচরণ কিছুটা রুঢ় মনে হতে পারে, তবে তা এখনো স্বৈরাচার পর্যায় নয়।

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। 

রাশেদ খান মেনন ১৯৪৩ সনের ১৮ মে পিতা মরহুম বিচারপতি আ. জব্বার খানের কর্মস্থল ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মা মরহুমা সালেহা খাতুন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন বাহেরচর-ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে। জনাব মেনন কলেজিয়েট স্কুল ও ঢাকা কলেজ থেকে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স), এমএ পাস করেন। তার কন্যা ড. সুবর্ণা খান ক্যানসার সেলের ওপর পিএইচডি করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। পুত্র আনিক রাশেদ খান আইনের ছাত্র।  ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা রাশেদ খান মেনন বাষট্টির আয়ুববিরোধী সামরিক শাসন ও শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আসেন। ১৯৬৩-৬৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু)-এর সহ-সভাপতি (ভিপি) ও ’৬৪-৬৭ সালে পূর্বপাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। বাষট্টি সালে নিরাপত্তা আইনে প্রথম কারাবন্দি হওয়ার পর ’৬৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন মেয়াদে নিরাপত্তা আইন, দেশরক্ষা আইন ও বিভিন্ন মামলায় কারাবরণ করেন। ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে ছাত্রসমাজের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।  ১৯৭০-এর ২২ ফেব্রুয়ারি পল্টন ময়দানের জনসভায় ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা’ কায়েমের দাবি করায় ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ও তার অনুপস্থিতিতে সামরিক আদালতে সাত বছর সশ্রম কারাবাস ও সম্পত্তির ষাটভাগ বাজেয়াপ্তর দ-াদেশ প্রদান করে। ’৭১-এর মার্চে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে তিনি কার্যত প্রকাশ্যে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন এবং ১৯৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে কার্যকর করতে তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ার কাজ শুরু করেন। ২৫ মার্চ পল্টনের শেষ জনসভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 

২৫ মার্চের কালরাতের গণহত্যার পর তিনি আর এক মুহূর্ত দেরি না করে ঢাকার অদূরে নরসিংদীর শিবপুরকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের কাজ শুরু করেন এবং পরে ভারতে গিয়ে সকল বামপন্থী সংগঠনকে নিয়ে ‘জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ সমন্বয় কমিটি’ গঠন করে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে প্রবাসী সরকারের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টরে এবং দেশের অভ্যন্তরে কেন্দ্র স্থাপন করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।  ১৯৭৩-এ ন্যাপ (ভাসানী)-এর প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল থেকে দু’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ও একটি আসনে বিজয়ী হলেও পরে পরাজিত ঘোষিত হন। ১৯৭৪-এ ভাসানী ন্যাপ থেকে বেরিয়ে এসে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি) গঠিত হলে তার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু ১৯৭৮-এ ইউপিপি সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে যোগ দিলে রাশেদ খান মেনন ইউপিপি ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গঠন করেন এবং ১৯৭৯ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টি নামে পার্টি পুনঃসংগঠিত হয়।  ১৯৮২ জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারি করলে রাশেদ খান মেনন সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ওই সামরিক শাসনবিরোধী প্রথম বিবৃতিটি, যা পরবর্তীকালে পনেরো দল গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে তার রচয়িতাও ছিলেন তিনি। ’৮৩-এর মধ্য ফেব্রুয়ারির ছাত্র আন্দোলনের কারণে তাকে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সাথে চোখ বেঁধে সামরিক ছাউনির নির্জন সেলে আটক রাখা হয়। ১৫ ও ৭ দলের যুগপৎ আন্দোলন পরিচালনায় ভূমিকার জন্য সামরিক শাসনামলে বিভিন্ন সময় তাকে আত্মগোপনে যেতে হয়। পাঁচদল হিসেবে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ঐক্য পুনঃস্থাপনে রাশেদ খান মেনন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং পাঁচদল, সাতদল ও আটদলের ঐতিহাসিক তিন জোটের ঘোষণার ভিত্তিতে ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাহির পতন হয়। ১৯৯১-এর পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশেদ খান মেনন পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য সংসদের ‘বিশেষ কমিটি’তে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী প্রণয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৯২-এর ১৭ আগস্ট নিজ পার্টি কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ করে তাকে হত্যার চেষ্টা হয়। প্রথমে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও পরে লন্ডনে কিংস কলেজে দু’বার অস্ত্রোপচার হলে তিনি জীবনে বেঁচে যান। তিনি ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’-এর বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার জাতীয় সংগ্রামেও বিশেষ ভূমিকা রাখেন। 

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকার গঠন করে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব শুরু করলে তিনি তার বিরুদ্ধে অন্যদের নিয়ে প্রতিরোধ সংগঠিত করেন। বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে প্রথমে এগারো দল ও পরে আওয়ামী লীগ, জাসদ, ন্যাপসহ চৌদ্দদলের আন্দোলন গড়ে তোলেন। চৌদ্দদলের ৩১ দফা নির্বাচনী সংস্কার ও ২৩ দফা ন্যূনতম কর্মসূচি প্রণয়নে তিনি মুখ্য ভূমিকা রাখেন। ২০০৫ সালের ১৫ জুলাই শেখ হাসিনা ওই নির্বাচনী সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরলে তা জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর নির্বাচনে তিনি ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

 এই সংসদের তিনি কার্যউপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত বিশেষ কমিটিরও তিনি সদস্য ছিলেন। ২০১৩-এর ১৮ নভেম্বর রাশেদ খান মেনন সর্বদলীয় সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০১৪ সনের ৫ জানুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচনে তিনি মহাজোট সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রাশেদ খান মেননের সাক্ষাৎকারটি নিচে তুলে ধরা হলো। 

দেশ: কেমন চলছে আপনাদের সরকার?

রাশেদ খান মেনন: বর্তমান সরকার আওয়মী লীগের সরকার এতে আমাদের অংশগ্রহণ নেই। তবে জোট হিসেবে সরকারকে সমর্থন করি।

দেশ: বলা হয়ে থাকে ১৪ দলের ঐক্যকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নিজদলের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েও আওয়ামী লীগের পাশে থেকেছে, ক্ষমতায় বসিয়েছে। আপনারা কি সন্তুষ্ট আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনৈতিক কর্মকা-ে বা দেশ পরিচালনার ব্যাপারে?

রাশেদ খান মেনন: আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ১৪ গঠিত হয়েছে ২০০৪ সালে। যখন ক্ষমতায় বিএনপি-জামায়াত। যার বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই করেই ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এখানে ওয়ার্কার্স পার্টি কাউকে ক্ষমতায় বসায়নি। জনগণই ক্ষমতায় বসিয়েছে। অভিন্ন ন্যূনতম ২৩ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে ১৪ দল গঠিত হয়েছে। ১৪ দলের ঐক্যকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তার ভূমিকা পালন করছে। এতে পার্টির মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। তবে সরকার পরিচালনায় বিভিন্ন প্রশ্নে আমাদের ভিন্নমত আছে। যা আমরা গোপন করি না, প্রকাশ্যেই বলে থাকি। যা আপনাদের পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়।

দেশ: আপনারাই ইদানীং বলে থাকেন এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে? কিন্ত কোনো দূরে সরে যাচ্ছে বলে মনে করেন?

রাশেদ খান মেনন: সরকার আর রাজনৈতিক দল এক নয়। যে অভিন্ন কর্মসূচির ভিত্তিতে নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে তার মূল মর্মবস্তু ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এখনো সরকারের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মানসিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। সরকার ক্ষেত্রবিশেষে আপসও করছে।

দেশ: দল বা দেশ পরিচালনায় আপনার পরামর্শ কি? কেননা এদেশের একজন প্রবীণ এবং দক্ষ বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ।

রাশেদ খান মেনন: রাষ্ট্র পরিচালনায় সংবিধানের প্রাধান্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। জাতীয় সংসদকে সকলকে কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

দেশ: আপনি কি মনে করেন আওয়ামী লীগ আপনার পরামর্শ নেবেন? বা কখনো নিয়েছেন? 

রাশেদ খান মেনন: আমাদের পরামর্শেই ১৪ দলের ২৩ দফা অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং তার বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়িত হয়েছে।

দেশ: বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ সরকারের গণতান্ত্রিক আচরণকে স্বৈরাচারের সাথে তুলনা করেছেন। আপনি কি বলেন?

রাশেদ খান মেনন: সরকারের আচরণ কিছুটা রূঢ় মনে হতে পারে, তবে তা এখনো স্বৈরাচারের পর্যায়ে নয়।

দেশ: বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিকদলের প্রতি সরকার কি গণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে মনে করেন?

রাশেদ খান মেনন: সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণকে রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিকভাবেই মোকাবেলা করতে হয়। ধ্বংসাত্মক কর্মকা- দিয়ে নয়।

দেশ: এ সরকারকে ক্ষমতায় রেখে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি-না?

রাশেদ খান মেনন: সংবিধানের আলোকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এবং তারাই নির্বাচন পরিচালনা করবে।

দেশ: আপনার দলের ব্যাপারে কয়েকটি প্রশ্ন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি দফায় দফায় ভেঙেছে। কিন্তু কেন? দলটিতে কি গণতন্ত্র নেই? যে আর্দশ নিয়ে এই দল গঠন হয়েছিল তা থেকে দূরে সরে গেছে? শোনা যায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আবারো ভাঙনের মুখে পড়তে যাচ্ছে, কি বলবেন এ ব্যাপারে। 

রাশেদ খান মেনন: আমাদের দল পরিচালিত হয় গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার ভিত্তিতে এবং গণতান্ত্রিকভাবে। দল থেকে কিছু লোকের চলে যাওয়াকে ভাঙন বলে না। এটি একটি প্রক্রিয়া।

দেশ: আপনি কি মনে করেন এ সরকারের সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব? 

রাশেদ খান মেনন: এ প্রশ্নের উত্তর আগেই তো দিয়ে দিলাম।

দেশ: দেশের বর্তমান সংকট নিরসনে আপনার পরামর্র্শ কি?

রাশেদ খান মেনন: জনজীবনের সংকটকে আমলে নিয়ে তা দূরীকরণের ব্যবস্থা করা। চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ফিরিয়ে আনা। রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরের দুর্নীতি উচ্ছেদ, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ অর্থ ও সম্পত্তি বায়েজাপ্ত করা।

দেশ: কখনো কি মনে হয় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় সমর্থন দিয়ে ভুল করেছেন?

রাশেদ খান মেনন: নিশ্চই ভুল করিনি। আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আগের উত্তরে দেয়া আছে। জনগণই ক্ষমতায় এনেছে এবং জনগণই ক্ষমতায় রাখবে। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সাথে ১৪ দলের ২৩ দফা অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল।  

দেশ: আপনাকে ধন্যবাদ

রাশেদ খান মেনন: আপনাকে এবং দেশ পত্রিকার পাঠকদেরও অনেক ধন্যবাদ। 

শেয়ার করুন