২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন


চট্টগ্রামে বিশাল জনসমুদ্রে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর
‘এই জনজোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ফ্যাসিস্ট সরকারকে'
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১০-২০২২
‘এই জনজোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ফ্যাসিস্ট সরকারকে' চট্টগ্রামে বিশাল জনসমুদ্রে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর বক্তব্য দিচ্ছেন/ছবি সংগৃহীত


‘জনগন জেগে উঠেছে, এই জন জোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যাবে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে, আপনারা প্রস্তুতি নিন’ চট্টগ্রামে বিশাল জনসমুদ্রে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেছেন এ কথা। 

বুধবার বিএনপির দ্বিতীয় দফা আন্দোলনের সুচনা হয় চট্টগ্রামে সমাবেশের মধ্যদিয়ে। নজিরবিহীন বিদ্যুৎ লোডশেডিং, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য পণ্য মূল্য বৃদ্ধি, গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ ও গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া'র মুক্তি দাবীতে চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় এ গণ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘সরকারকে লুটপাট ও গণতন্ত্র হরণকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আপনারা নিরাপদে চলে যান। না হলে পালাবার পথও খুজে পাবেন না। তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে জনগন আর কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এটা গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।’ 


চট্টগ্রামের জনসভায় বক্তব্য রাখছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন /ছবি সংগৃহীত 


বুধবার পোলেগ্রাউন্ডের ওই জনসভায় মির্জা ফখরুল বলেন,‘ এ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা দিঢেছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই দেশকে আরেকবার পরাধীনতা থেকে মুক্ত করবার জন্য এই চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড থেকে শুরু হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার আন্দোলন। 

‘এই চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই দেশকে আরেকবার পরাধীনতা থেকে মুক্ত করবার জন্য এই চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড থেকে শুরু হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার আন্দোলন। তিনি বলেন এ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ ও তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সে সরকার এখানে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সে কমিশন রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে জনগণের গ্রহনযোগ্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করবে। 


বক্তব্য রাখছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী/ছবি সংগৃহীত 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী প্রমুখ।


জনসভায় বক্তব্য রাখছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়  /ছবি সংগৃহীত 


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচন কমিশন বানিয়েছে, যাকে ডিসি-এমপিরা মানেন না। আমাদের মাতা (খালেদা জিয়া) গৃহবন্দি। চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে মুক্তি করার জন্য এই দেশের গ্রামে-গঞ্জে চষে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছেন। খালেদা জিয়াকে যে মামলায় গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে, সে মামলায় জামিন দেওয়া যায়। কিন্তু বছরের পর আটকে রেখেছে এই সরকার।’



তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য এই সরকারকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলছেন- কম খান, কম খরচ করেন। তাহলে আছেন কেন? আমরা ক্ষমতায় এলে চাল-ডাল বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করব, বেকারত্ব দূর করব, মেধার ভিত্তিতে চাকরি দেব। আমরা সেই বাংলাদেশ ফিরে পেতে চাই। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পতন।’



শেয়ার করুন