১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৭:১১:৪৫ অপরাহ্ন


ময়নমসিংহের বিশাল জনসভায় মির্জা ফখরুল
‘এ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই জেলে পাঠানো হয়’
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১০-২০২২
‘এ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই জেলে পাঠানো হয়’


‘জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই (আওয়ামী লীগ) সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে’-  কথাগুলো বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শনিবার ময়মনসিংহের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি আরো বলেন,‘এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানো হয়। ময়মনসিংহের বিএনপির অনেক নেতা কর্মী আজ জেলে। টাংগাইলের আব্দুস সালাম। নেত্রকোনার সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সহ অনেক নেতা মিথ্যা মামলায় জেল খাটছেন। সব রাজবন্দীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।


এই সঙ্গে অবিলম্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসার সুযোগ দিতে হবে।’  বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিউট মাঠে বিএনপির কর্মসূচি অনুযায়ী, বিভাগীয় সমাবেশ এর দ্বিতীয় প্রগ্রাম ছিল এটা। চট্টগ্রামের পর ময়মনসিংহেও মানুষের ঢল নামে। 

ওই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ এ বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন।

 বিএনপি মহাসচিব এ সময় আরো বলেন,‘দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই- সরকার ও শেখ হাসিনার সমালোচনা করা যায় না। তিনি বলেন, জনগণের মুখ বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ‘গড’ না কি? তার যে সমালোচনা করা যাবে না? যারা শেখ হাসিনাকে ঈশ্বর ও বিধাতা মনে করে, তাদের সে ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার বলেছিল ঘরে ঘরে বেকারদের চাকরি দেবে। কিন্তু এখন চাকরি গেল কোথায়? এখন চাকরি হয় আওয়ামী লীগকরলে। কিংবা ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে পারলে। এর বাইরে সাধারণ মানুষের চাকরি হয় না। ঘরে ঘরে বসে আছে বেকাররা।’  

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।

 উল্লেখ্য সমাবেশে আগের দিন থেকেই যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হতে থাকে ময়মনসিংহে। কিন্তু সেখানে বাধা দেয়ার অভিযোগ মিলেছে। বাধা দেয়া হয় রাস্তায়। মানুষ এরপরও বিভিন্ন উপায় সমাবেশে আসার চেষ্টা করেছেন এসেছেন। অনেক নেতাকর্মীকে সকালবেলা থেকে মাঠে চাটাই বিছিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। সমাবেশ শুরু হয় দুপুর ২ টায়। 


শেয়ার করুন