ভোজ্য তেল নিয়ে বাংলাদেশে চলছে তেলেসমাতি। বাংলাদেশে সয়াবিন, সরিষা , সূর্যমুখী ,পাঁম তেল বহুল ব্যবহৃত হয়. এক ব্রান্ডের তেলের দাম বাড়লে প্রভাব পরে সব তেলের ক্ষেত্রে। চাল,ডাল, তেল, নুন নিত্য ব্যবহার্য পণ্য। রমজান শেষ হতে না হতেই ভোজ্য তেল সয়াবিনের লিটার প্রতি ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সয়াবিন তেল বাংলাদেশে খুব একটা উৎপাদন হয় না। বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মুষ্টিমেয় কয়েকটি কোম্পানি আমদানি করে। কিছু মধ্য সত্বভোগী এগুলো গুদামজাত করে বাজারে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে। এটি শুধু সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রই নয় সকল বাণিজ্যিক পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাজার মনিটরিং দুর্বল। সরকার ঘনিষ্ট সিন্ডিকেট প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে থাকে।
স্বীকার করি ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ববাজার অস্থির করেছে। বিভিন্ন দেশ এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে গুঁড়া দুধ, ভোজ্য তেল সহ সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুটো দেশই সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেল রপ্তানি করতো। সেই কারণে চাহিদা সরবরাহে ঘাটতি অনুমেয়। বিষয়টি অনুধাবন করে সরকারের উচিত ছিল বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ। দেশে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কেন সরিষার তেল মিলছে না। দেশে পাম অয়েল শোধনাগার আছে। কেন সরিষার তেল, পাম অয়েল বাংলাদেশে সংকট। সরকারের বাজার ব্যাবস্থাপনা কেন জোরদার হচ্ছে না?
অনেকে বলবেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কথা। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যাস কি রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব। সরকারকে কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে সরিষা, সূর্যমুখী তেল উৎপাদনে উৎবুদ্ধ করতে হবে। সরবরাহ চেন মনিটরিং করতে হবে। খেতে খাওয়া মানুষের নাভিসাস উঠছে। সীমিত আয়ের মানুষ হ্যাশ ফাঁস করছে। এক সময় কিন্তু সহ্যের সীমা পেরুলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
এতো গেলো ভোজ্য তেল নিয়ে কথা। ৯ তারিখের পর রাশিয়া ইউরোপের দেশগুলিতে তেল , গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য আকাশ সীমা অতিক্রম করে মহাশুন্যে পৌঁছতে পারে।
বাংলাদেশ পর্বে মহাসংকটে জ্বালানি তেল এবং এলএনজি আমদানি নিয়ে। ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চেষ্টা করবে কেউ কেউ। বাংলাদেশ কি শুধু মাত্র ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটদের পৃষ্টপোষকতা করবে? ঘুম ভাঙ্ঘানিয়া গান শুনেও কি জেগে উঠবে না সরকার?