২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:০৫:০৭ অপরাহ্ন


ষড়যন্ত্রের সমঝোতায় বিএনপির না
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১০-২০২২
ষড়যন্ত্রের সমঝোতায় বিএনপির না


সাম্প্রতিককালে রাজপথে বিএনপি অবিস্মরণীয় যেসকল কর্মকাণ্ড দেখাচ্ছে, তা এককথায় বিস্ময়কর। বিএনপি এভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে সক্ষম হবে জনসম্মুখে- এ বিশ্বাস ছিল না অনেকেরই। তারা এক সময় ছিল, নিভু নিভু অবস্থায়। এগুতো ছোটখাট কর্মসূচি নিয়ে। বিএনপির শক্তি সামার্থ নিয়ে বহু উপহাস হয়েছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ প্রায়ই করতেন উপহাস। এ প্রসঙ্গে ছুঁড়তেন তীর্যক মন্তব্য। এমনকি বিএনপি দলের মধ্যেও ছিল কিছু সুবিধাভোগী লোক, যারা প্রতিনিয়ত সরকার দলের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলতেন যে- ‘বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে কোনো দাঁড়াতে পারবে না।’ কেউ বলতেন ‘আসলেই এ দলটি কোনো দলই না।’ ‘আর কোনদিন আন্দোলন- সংগ্রামও তারা করতে পারবে না’ ইত্যাদি। কেউ কেউ কথিত সরকারের সিটভাগের খোয়াবে সাড়া দিয়ে টাকাকড়ি কিম্বা সংসদ সদস্য হওয়ার অভিলাস নিয়ে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা আড়ালে আবডালে গোপন বৈঠকও করতে ছাড়েননি বলে গুঞ্জন বেড়িয়েছিল। দাড় করানোর প্রচেষ্টা ছিল আলাদা প্লাটফর্ম বা আরেক বিএনপি। ভেংগে টুকরা টুকরা হবে বিএনপি, এ সংবাদও ঢাকার বাতাসে কম ওড়েনি। 

এটা তো প্রায়শঃ শোনা যেত, দলটির শীর্ষ দুইজন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দন্ডিত। একজন জেলে আরেকজন সুদূর লন্ডনে। এরা এখন আন্দোলনের হুমকি দেয়, আন্দোলন হবে কার নেতৃত্বে? আন্দোলন কখন হবে? কে নেতৃত্ব দেবেন? 

এসব চিত্র এখন পাল্টে গেছে। গত দুই মাসে বিএনপি যে কর্মকাণ্ড দেখাচ্ছে সেটা এক দুর্দান্ত। বিশেষ করে বিভাগীয় সম্মেলন। একের পর এক এ সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে কম্পন ধরানোর অবস্থা। 

বিএনপি গর্জে ওঠার নেপথ্য 

দীর্ঘদিন থেকেই দলটির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৃণমূল থেকে কমিটি গঠন করেছেন। যেখানে বিবাদ সেখানে ফোন ও বিভিন্ন উপায়ে বিবাদ মিটিয়ে একটা গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে কমিটি গঠনের চেষ্টা করেছেন। ওই প্রক্রিয়া চালিয়েছেন তিনি দীর্ঘদিন। এতেই তৃণমূল সুসংগঠিত। একটা যুগপৎ আন্দোলনের আগে যেটা ছিল দলটির জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে ২০০৬ সনে ক্ষমতা হারানো এ দলটির। এরপর দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি- দাওয়া নিয়ে তৃণমূলে আন্দোলন শুরু করে। সেটা সেন্ট্রালে কিছুদিন চালু রেখে সভা সমাবেশ, সেমিনার পেরিয়ে এ বিভাগীয় সম্মেলন। যার শুরু চট্টগ্রাম থেকে। মূলত চট্টগ্রামে এত বিপুল মানুষের উপস্থিতি ঘটবে সেটা ভাবেনি খোদ বিএনপিও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বুঝতে পারেনি জনঢল নামবে। ওই সম্মেলন জনসমুদ্রে রূপান্তিত হওয়ার পর থেকেই প্রতিটা বিভাগীয় সম্মেলন সমন্বয়কারী ও স্থানীয় নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জ দাঁড়িয়ে যায়। যার সুফল পেতে শুরু করেছে বিএনপি। ময়মনসিংহে বাধা উপেক্ষা করেও বিপুল পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি, খুলনার জন্য বড় প্রেরণা। প্রচন্ড বাধা আসতে পারে ভেবেই বিভিন্ন প্লান দিয়ে রেখেছিলেন সমন্বয়কারীরা। এতে বিভিন্নস্থান থেকে মানুষ গণপরিবহন না পাওয়া গেলেও কিভাবে জনসভাতে উপস্থিত হওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবনা করে সেভাবে তারা উপস্থিত হয়। অনেকেই একদিন বা দুইদিন আগেও চলে আসে। বিভিন্নস্থানে এসে জড়ো হয়। আর খুলনায় তো আগের দিন বিকেলেই মানুষ ওই এলাকাতে ভরে গিয়েছিল। যারা রাতে চাদর বিছিয়ে ঘুমিয়েছে। কেউ রাস্তা, স্টেশনে বা বিভিন্নস্থানে। পরের দিন তো মানুষ আর মানুষের জণঅরণ্য।

বিভাগীয় সম্মেলনে জেগে উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা 

বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলনে বিপুল উপস্থিতি তৃণমূলে দীর্ঘদিন নেতাকর্মীরা যে একটা দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন তারা সেখান থেকে উঠে এসেছেন। সোচ্চার হয়েছেন তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে যাওয়ার জন্য। কারণ প্রতিটা বিভাগে যখন আলাদা আলাদা সম্মেলন তখন ওই সম্মেলনের আওয়তায় যে সকল জেলা, থানা ইউনিয়ন রয়েছে, সব পর্যায়ের নেতাদের জন্যই চ্যালেঞ্জ নিজেদের প্রমাণের। এ প্রতিযোগিতা ও সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা ও ধরন প্রসঙ্গে আস্থা আনতে ব্যস্ত হওয়ায় সম্মেলনে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও রয়েছে। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বাজারমূল্য, বিদ্যুৎতের লোড শেডিংয়ে বিপর্যস্ত হওয়াটা মানুষ ভালভাবে নিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা যতই ইউক্রেন রাশিয়ার যুক্তি দিক না কেন, মানুষ এগুলো নিয়ে মোটেও আর আস্থা রাখতে পারছে না। ফলে বিএনপির সমার্থনে নেমে পরছেন সাধারণ মানুষও। উপস্থিতি ঘটছে সম্মেলনে। 

সম্মেলনে মানুষের উপস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি 

বিএনপির এসকল সম্মেলনে মানুষের উপস্থিতি দেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন শীর্ষ অনেক নেতা। কেউ কেউ বলেছেন বিশ ত্রিশ হাজার মানুষ হয়। কেউ বলছেন ১০ বা ১৫ হাজার। কেউ বা এক লাখ। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “ঠিক কত হাজারে এক লাখ হয়, এ বিষয়ে বিএনপির ধারণা নেই। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, এত দিন পরে ঘুমন্ত মানুষ জেগে উঠেছে এমন ছবি প্রচার করতে সাংবাদিকদেরও আনন্দ হচ্ছে। তবে চট্টগ্রামে লাখের কাছাকাছি লোক হলেও ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিএনপির সমাবেশে লোকসমাগম অনেক কম হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তবে এটা ঠিক, বিএনপির এ ধরনের সম্মেলনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও কিছুটা প্রেসারের মধ্যে পড়েছে। ইতিমধ্যে তারা বলতে শুরু করেছেন, রাজপথ বিএনপির দখলে নেই। আওয়ামী লীগের দখলে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতি ঘটাবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছে যদি সেটা হয় তাহলে আওয়ামী লীগ ঢাকার সম্মেলনে ৩০ লাখ লোকের উপস্থিতি ঘটাবে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশীদের পর্যবেক্ষণে চাপ

বাংলাদেশের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা কঠোর মনিটরিং করছে বিদেশী রাষ্ট্রদূতসহ তাদের এজেন্সিগুলো। তারা সরাসরি বলেও দিয়েছেন যে বিরোধীদল সমূহকে তাদের সভা- সমাবেশ করার যে অধিকার, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বেশ ক’মাস আগ থেকেই লক্ষ্য করা গেছে, বিদেশী মাধ্যমগুলো বিশেষ করে রাষ্ট্রদূতরা দল বেধে বা আলাদা আলাদা বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ, নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ, বিভিন্ন ফোরামে তারা কথা বলেছেন, বৈঠক করে মতামত রেখেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট যখন সফর করেছেন তখনও তিনি দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে সরকার বিরোধীদের সভা সমাবেশ করতে না দেয়া হতে পারে বা বাধা দেয়া হতে পারে এবং তাতে উত্তপ্ত হতে পারে রাজনীতি এমন আগাম শঙ্কা ব্যক্ত করে গেছেন। 

ফলে সে সূত্র ধরে বিদেশী মাধ্যমগুলোকে বুঝিয়ে দেয়ারও একটা পরিকল্পনা সবার মধ্যে। বিএনপি প্রায় দেড়যুগ ধরে ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের জনপ্রিয়তা যে কমেনি, মানুষ তাদের উপর আস্থা হারায়নি বা তাদের নেতৃত্বটা সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করছে বলে দীর্ঘদিন বলে আসছে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সেটা এ সম্মেলনে  মানুষের উপস্থিতি ঘটনোর মাধ্যমে বিভিন্ন মহলকে বুঝিয়ে দেয়ার চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হওয়ার প্রাণন্ত চেষ্টা করছে এবং তাতে তারা প্রাথমিকভাবে সফলও। বাকি সম্মেলনেও তাদের ওই প্রচেষ্টা থাকবে অব্যাহত। 

পক্ষান্তরে বিএনপির ওই গোপন প্রত্যাশা আওয়ামী লীগেরও। কারণ ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে বহু মেগা প্রজেক্টসহ দেশের উন্নয়নে অনেক অবদান ক্ষমতাসীনদের। বিভিন্ন সেক্টরে অনেক উন্নতি সাধন ঘটিয়েছেন। এরপরও লোড শেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ব্যর্থ হওয়াটা যে আওয়ামী লীগের জন্য না এবং এটা যে বৈশ্বিক সমস্যা সেটা বুঝানোর চেষ্টা করে সাধারণ মানুষের জনসমার্থন যে তাদের মোটেও কমেনি সেটা প্রমাণ দেয়ার এক চ্যালেঞ্জ তাদের মাঝেও। এ জন্য তারাও পাল্টা বড় সম্মেলন ডেকে গণমানুষের উপস্থিতি ঘটিয়ে শো ডাউনের প্লানটা নিয়ে রেখেছেন। এবং সে লক্ষ্যে কাজও করে যাচ্ছেন। 

বিএনপির নেতৃত্ব সঙ্কট নিয়ে অপপ্রচারের জবাব 

দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির নেতৃত্ব সঙ্কট। দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর তারেক দেশান্তর। বিএনপির নেতৃত্ব দেবে কে? যারা বাংলাদেশে ছিলেন, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। এ অভিযোগ নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে করে দ্বিধাগ্রস্থ। সুযোগটা বিরোধীরা নিয়ে প্রচার চালিয়ে আসছে। এতে বিএনপি কোনঠাসা হয়ে পড়ে। কিন্তু ধীরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানই বিএনপিকে সংগঠিত করেছেন শক্ত হাতে। নেতৃত্বের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সেটাও তিনি সুষ্ঠুভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন। আজ যে সফলতা তার পেছনে তার সঠিক নেতৃত্বটা এখন অনেকেই অনুধাবন করতে পেরেছেন। এমনকি সরকারে থাকা আওয়ামী লীগও। 

কারণ বিএনপিতে জিয়া পরিবারের প্রভাব রয়েছে। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তিনি দলীয় কাজে অংশ নিতে পারছেন না। একই সঙ্গে তিনি মারাত্মক অসুস্থ্য। তাছাড়া অন্য যারা রয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্বে তাদের মধ্যে রয়েছে মতের স্বার্থের,পদ পদবীসহ নানা কারণে অমিল। 

ধারণা করেছিলেন অনেকেই এ বিএনপি আর কোনোদিনও দাঁড়াবে না। সে সুযোগও নেই। কিন্তু সেটা যেভাবে এখন মাঠে তর্জন, গর্জন করছে সেটা তো এমনি এমনিতেই নয়। তার পেছনে কারো যাদুর কাঠির স্পর্শ তো রয়েছেই। সে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যদিও তার বিরুদ্ধেও বহুবার বহু অভিযোগ এসেছে। সমঝোতা করে দেশে ফেরা, সিট ভাগাভাগিতে রাজি হওয়া। অর্থগ্রহণের মাধ্যমে ছাড় দেয়া বিভিন্ন। কিন্তু এসব ছিল অপপ্রচার। যা এখন বিএনপির শক্তিশালী হওয়ার পর আবার মানুষ প্রকাশ্যে না বললেও অনুধাবনে সক্ষম হচ্ছেন। 

তবে বিএনপি যে দাবিগুলো ইদানিং করছেন সেটা হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন। আর এটা বাস্তবে রূপ দিতে পারলেই খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের দেশে ফেরার সুযোগ মিলবে। এ জন্যই ইদানিং বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশের মূল মঞ্চের রাখা ব্যানারে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও তারেক রহমানের বিশালাকৃতি ছবি শোভা পায়। নেতারাও বার বার তারেক রহমানের যোগ্য নেতৃত্বের কথা বলছেন। 

খুলনাতে তো মঞ্চে একটা চেয়ার খালি রাখা হয়েছে খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে। তার চেয়ার হিসেবে চিহ্নিত করে। এভাবেই এক সময় মানুষ যাদের নাম মুখে আনতো না, সেটা এখন শ্লোগানে শ্লোগানে তুলছেন। তবে যতদূর জানা গেছে বিএনপি বড় ধরনের অ্যাটাকিং বা কোনো কঠোর আন্দোলনে যাবে না। এমন সব কর্মসূচিতে আগে নিজ দলের মানুষকে অন্তর্ভুক্তিকরণ এরপর দেশের সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভূক্ত করে কঠোর আন্দোলনে যাবে। ফলে খুব বেশি তাড়াহুড়া নেই দলটির সেটাও শীর্ষ নেতৃত্ব থেকেই যে প্লান দেয়া তার অংশবিশেষ। 

যেভাবে সফল হওয়ার পরিকল্পনা বিভাগীয় সম্মেলন 

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এর আগেই কোন বিভাগের কে সমন্বয়কারী, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে কে থাকবেন। স্থানীয় নেতৃত্বের কে কোথায় কী কী করবে সে ছকটা পরিকল্পিতভাবেই সেরে দিয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। ফলে ওই এলাকাতে শুধু এ সম্মেলনই নয় এছাড়া সে এলাকার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সরাসরি কেন্দ্র থেকে কে কে সবকিছু তদারকি করবেন বা ওই এলাকার নেতৃবৃন্দ কার মাধ্যমে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন সেটা ঠিক করে দেয়া হয় আগেই। ফলে ওই প্লান অনুসারে  এখন সেভাবেই কাজ করে সম্মেলন সফল করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তারা মিলেমিশে। দেখা গেছে বিভিন্ন জেলাতে সেখানকার কমিটি বসে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে সম্মেলন কিভাবে কী হবে সেগুলো নিয়ে মিটিং করে যাচ্ছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এভাবেই তারা শুধু এ সম্মেলনই নন, এরপরের বড় ধরনের কর্মসূচিতে কিভাবে তৃণমূলকে সম্পৃক্ত করবেন সে ছক আকা আঁকা থেকেই।

শেয়ার করুন