২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


১১ মার্চ ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে মানবন্ধনের নতুন কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৩-২০২৩
১১ মার্চ ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে মানবন্ধনের নতুন কর্মসূচি


সরকার পদত্যাগসহ ১০ দাবিতে যুগপত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ মার্চ ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে মানবন্ধনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।


তিনি বলেন, ‘‘ গণতন্ত্র মঞ্চের পরিবর্তি কর্মসূচি হবে আগামী ১১ মার্চ ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে মানবন্ধন। এই মঞ্চের সকল শরিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করবো, আপনারা বিভিন্ন বিভাগের নেতাদের জানিয়ে দিন ঢাকাসহ বিভাগীয় মানবন্ধন সফল করার জন্য। গণতন্ত্র মঞ্চকে আরো শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামতে হবে। এজন্য সকলে প্রস্তুতি নিন।”


সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা সমবেত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা কাকরাইলে নাইটেঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড়ে পদযাত্রা শেষ করে। যুগপত আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো শনিবার সারাদেশে থানায় থানায় পদযাত্রা করছে।


‘তথাকথিত সংলাপের কথা বাজারে ছাড়ছে’


নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘ তথাকথিত সংলাপের কথা-বার্তা বাজারে ছাড়ছেন। কার সাথে সংলাপ? যিনি আমাদের ডেকে নিয়ে সংলাপে(২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে) বললেন, তার স্বর্গীয় পিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, তার কসম খেয়ে বললেন, আমি বঙ্গবন্ধুর কণ্যা আমি মিথ্যা কথা বলতে পারি না। আমি বলছি আপনারা নির্বাচনে আসেন। আমরা এই নির্বাচন সম্পূর্ণ গ্রহনযোগ্য সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত করব। সেই নির্বাচনের ফলাফল আপনারা(জনগন) দেখেছেন। অতএব যতক্ষন পর্যন্ত তিনি না যাচ্ছেন, তার এই সমস্ত কোনো কথাই বিশ্বাস করছি না। যদি সংলাপ করতে চান আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেন। তারপরে আমাদের কথা আছে। আমরা কি হলে সত্যি সত্যি আপনাদের মতো মিথ্যুকদের সাথে কথা বলতে পারি সেই কথা ঠিক করব।”


তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্পষ্ট করে বলি, আমরা এখন পর্যন্ত গণতান্ত্রিকমূল্যবোধ মেনে আন্দোলন করছি। কিন্তু এই সময়েরও একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা যদি থাকে তাহলে দরকার লাগে গলায় গামছা বেঁধে যাতে আমাদের দাবি আদায় করতে পারি আমরা সেই চেষ্টা করবো। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সেটা করতে থাকবো। আমরা বিজয় অর্জন করবো-এই প্রত্যায় আমরা করি।”

‘অনেক খেলাধুলা শুরু হয়ে গেছে’


ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘‘ সরকার অনেক খেলাধুলা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সরকার সংলাপ নিয়ে কথা-বার্তা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরা এর আগেও বলেছি, সংলাপ হতে পারে একটি মাত্র শর্তে সেটা হলো আপনারা কিভাবে পদত্যাগ করবেন এবং অন্ত:বর্তীকালীন সরকারের রুপরেখা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে।আগে আপনাদের ঘোষণা করতে হবে নির্বাচনের পূর্বে আপনারা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন।”কারণ আমাদের স্পষ্ট  ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চ কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। সরকার পদত্যাগের ঘোষণা আগে দিলে তখন আমরা বিবেচনা করে দেখবো সংলাপে যাবো কি যাবো না।”


‘আওয়ামী লীগ এখন সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে’


বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘‘ আমাদের কর্মসূচি দিনে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নাম করে তারা দেশে একটা অশান্তি সৃষ্টি করার পায়তারা করছে।ইতিমধ্যে মানুষ এটাকে নাম দিয়েছে, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ একটা ভয় এবং আতঙ্কের কারণে। এই শান্তি সমাবেশ কার্য্ত একটা নার্ভাস সমাবেশে পর্যবসিত হয়েছে। কখন কী হয়? শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে ওরা ভয় পাচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোর ওপর হামলা করছে। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করছে তারা গণতান্ত্রিক ধারা রাজনৈতিক দল থেকে এখন পুরোপুরি একটা সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দলে তারা পর্যবসিত হয়েছে। সন্ত্রাস না করে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবৈধ ক্ষমতায় আজকে টিকে থাকা সম্ভব না।সেজন্য তারা প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের ওপর হামলা করছে, মামলা করছে, গ্রেফতার করছে।”


ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণহীন দৌরাত্ম-সন্ত্রাস এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরর এক নারীর ওপর নির্মম নির্যাতনের সম্প্র্রতিক কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।


‘সিন্ডিকেটেরে ভাগ নিতে ব্যস্ত মন্ত্রী-আমলারা’


গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘ আজকে নির্লজ্জের মতো একটা সরকার যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধবগতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। কিভাবে মানুষকে স্বস্তি দেয়া যায় তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহন না করে বরং এই দ্রব্যমূল্য যারা বাড়াচ্ছে কিভাবে আরো সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যায়, আরো টাকা হাতিয়ে নেওয়া যায়, হাজার হাজার টাকা লুট করা যায়। আর সেখান থেকে কিভাবে ভাগ বসানো যায় সেটাতে ব্যস্ত এই মন্ত্রী-আমলাসহ সরকারের সমস্ত লোকেরা। এভাবে তারা জনগনকে জীবনকে আরো দুর্দশার মধ্যে ঠেলে দিয়ে তাদের জীবনের নাভিশ্বাস তুলে কিভাবে টাকা কামিয়ে নেওয়া যায় আর বিদেশে পাচার করা যায় তার ব্যবস্থা করছে। কারণ এদের কোনো চিন্তা নাই। এরা মনে করছে দ্রব্যমূল্য যতই বাড়ুক আমাদের হাতে দুইটা অস্ত্র আছে সেই অস্ত্র দিয়ে আমরা ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখবো। একটা হচ্ছে আমরা দেশের মানুষকে ভয় দেখাব। আরেকটা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিদেশী প্রভুদের খুশি করা।”


তিনি বলেন, ‘‘ আমরা পরিস্কার করে বলে দিতে চাই, যেভাবে লুটপাট করে দেশকে ফোকলা বানিয়ে দিয়েছে-এইটা জনগন পরিস্কারভাবে বুঝে গেছে। এই লুটপাটের জমিদারি রক্ষা করার জন্যই আপনারা ক্ষমতাকে আকড়ে রাখতে চান। কাজেই এবার আর দমনপীড়ন আর বিদেশীদের খুশি করে আপনারা রেহাই পাবেন না। জনগন আপনাদের রেহাই দেবে না।সারাদেশে মানুষ রাজপথ দখলে নিয়ে আপনাদেরকে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে নামাবে। সেই লড়াইয়ে এখন প্রস্তুতি চলছে।”


ভাসানী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সামতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্র্রমূখ বক্তব্য রাখেন।




শেয়ার করুন