২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:০২:১৪ পূর্বাহ্ন


১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ
মাহমুদ রেজা চৌধুরী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৪-২০২২
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ


১৯৭১-২০২২ একান্ন বছরের ব্যবধান, আজকের এই তারিখের সাথে ১৯৭১-এর এই দিন, এটা যে একটা কম সময় তা-ও না। আবার খুব দীর্ঘসময় ও না।

সেই দিনের এই রাতটা আজো মনের স্মৃতির খাতায় খুবই উজ্জ্বল। বাংলাদেশে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২৫শে মার্চ ১৯৭১, যে অন্ধকার রাত্রি নেমে এসেছিল, সেই রাতের বীভৎস চেহারা দেখছি জানালা দিয়ে আমাদের আজিমপুরের বাসা থেকেই। আমাদের বাসার পাশেই ছিল এখনকার বিডিআর, রাস্তা। বাসার উল্টোদিকে ইডেন গার্লস কলেজ। তারপর পলাশী ব্যারাক, ইকবাল হল, জগন্নাথ হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকদের আবাসিক এলাকা, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, শহিদ মিনার। এসব স্থান ছিল আজিমপুরে আমাদের বাসার কাছাকাছি। সে কারণেই ইতিহাসের অনেক স্মৃতি কাহিনির বাস্তব চিত্রটাও দেখবার সুযোগ হয়। ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চ অন্যতম একটা দিন। সারারাত সেদিন আশপাশে ঢাকার অনেক এলাকায় আগুন জ্বলেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের নিদর্শন হিসেবেই।

তার একদিন পর, তখন কারফিউ উঠিয়ে নেয়া হয় কিছুণের জন্য। বের হয়েছিলাম রক্তাক্ত ঢাকা শহরের কিছু দৃশ্য দেখতে। তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল, জগন্নাথ হল আর পলাশী ব্যারাকের ফায়ার স্টেশন, এসব জায়গায় পাকিস্তানি আর্মিদের গুলিতে নিহত বাঙালিদের লাশ দেখেছি। আজও সেই সব স্মৃতি মনের গভীরে দাগ কেটে আছে। এককথায় বলতে গেলে ১৯৭১-এর জানুয়ারি থেকে ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা স্বদেশেই শরণার্থী ছিলাম। প্রতিদিন আশঙ্কা হতো, আজকের দিনটা হতেই পারে জীবনের শেষদিন। অনেকের সেটা হয়েছেও। আমরা যারা এখনো বেঁচে আছি, তাদের কাছে কখনো কখনো এখন মনে হয় জন্ম থেকেই জ্বলছি।

যাই হোক, এসব কথা নিয়ে কোনো স্মৃতিচারণ করতে লিখছি না। আজকের লেখার বিষয় শুধুই নিজেকে নিয়েই। নিজেকে নিজেই সার্টিফাই করতে চাই। কিন্তু দিনটা যেহেতু ইতিহাসের একটা বিশেষ দিন, তাই কিছু কথা লিখলাম নিজের ব্যক্তিগত ‘গান’ শুরু করার আগে। আমি কেমন মানুষ! 

চেষ্টা করবো সেই বিষয়ে কিছু কথা একটু নৈর্ব্যক্তিকভাবে প্রকাশ করতে পারি যদি। পারবো না হয়তো, তবে চেষ্টা করতে কি অপরাধ। জীবনে অনেক কিছু চেষ্টা করেও করতে পারি নাই, তবে ‘চেষ্টা’ করা থেকে কখনো নিজেকে বিরত রাখিও নাই। অনেক সময় জেনেশুনেও বিষ পান করেছি, কিন্তু সেই বিষ পান করতেও অধিকাংশ সময় ভয় পাই নাই অথবা কোনো কিছু করার আগে এটাতে আমার কি লাভ, কি লোকসান, এটাও ভাবি নাই। যখন যা মনে চাইছে তাই করছি, এখনো তাই করি। আমার প্রথম শিক প্রথম আমি নিজেই। 

অনেকেই মনে করেন আমি খুব মেজাজি, বদরাগি, দাম্ভিক, অহংকারী ধরনের একজন মানুষ। আবার অনেকেই মনে করেন বিপরীত। অনেকের কাছে আমি অনেকটাই ‘বেয়াদব’, আবার অনেকে মনে করেন তার বিপরীত। কারো কাছে আমি খুব সাধারণ একটা মানুষ, আমাকে মনে করার কিংবা আমার কথা ভাবার এবং আমার কোনো প্লাস পয়েন্ট বলেও তাদের কাছে কিছুই নাই। এর কোনোটাকেই অস্বীকার করি না।

যার কাছে আমি যেমন, সেটাই তো সে বলবে এবং বলবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেই অর্থে আমি কারো সাথে ভিন্নমত পোষণ করি না আমার বিষয়ে বিশেষ করে আমার সমালোচনায় অন্যের কোনো মতামতকেও।

তবে যদি বলা হয়, আমাকে আমার নিজেকে নিজে বিশ্লেষণ করতে। তাহলে কি বলবো। অনেক সময় চাকরির ইন্টারভিউতে বলে না যে, আপনি আপনার সম্পর্কে কিছু বলেন। এরকম একটা ভাবনা গতরাতে মাথায় আসলো। কত মানুষ তো আমাকে কত কিছুই বলেন, ছাপার অরে আমি আমার নিজেকে কীভাবে দেখি সেটাও না হয় বলি একটু।

আমার জীবনে এখন ঠান্ডা মাথায় বসে চিন্তা করলে বুঝি, দুইটা মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল আমার। প্রথম ভুল ছিল, বাস্তব জীবনে পা রাখার সাথে সাথেই জীবন ‘শুরু’ করে দেয়াটা। আরেকটা ভুল দেশ থেকে চলে আসা। এই দুইটা কাজই করেছি নিজেকে নিজে ভাবার আগেই। অর্থাৎ নিজেকে নিজের মাথা দিয়ে না ভেবে অন্যভাবে ভাবার কারণেই। দুনিয়াতে প্রতিটা সিদ্ধান্তের বা কাজের ভালো-মন্দের একটা  ‘প্লেব্যাক’ হয় অথবা পাওয়াও যায়। এর ব্যতিক্রম খুউব কম হয়। আমার জীবনের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আমাকেই তো ‘প্লেব্যাক’ করতেই হবে, করতে হচ্ছেও যে।

ব্যক্তিগতভাবে নিজের কোনো কিছু ‘অ্যাচিভ’ (Achieve)

না করার কারণ: ক) পড়াশোনা না করা; খ) অস্থিরতা; গ) অদূরদর্শিতা; ঘ) যুক্তির চেয়ে ভাবনাকে অগ্রাধিকার দেয়া; ঙ) বোকা টাইপের সরলতা; চ) বেহিসাবিপনা; ছ) স্বার্থপরতা এবং জ) ভবঘুরে চিন্তাভাবনা। এরকম অসংখ্য বিষয় আমার মধ্যে আছে, আগে আরো বেশি ছিল। বয়সের কারণে এখন কোথাও হয়তো কিছুটা কমেছে, হয়তোবা। তবে এসবের জন্য আমি সবসময়ই কম না, বেশিই ‘পে’ করছি, এখনো করে যাচ্ছি। এটা আমার একধরনের ‘ডেসটিনি’ বলেই মনে করি এখন। তবে এই মনে করাটা আগে করলে হয়তো ভালো হতো। জীবনের এতোটা বছর পর এসে আমার বিষয়ে কোনটা আমার জন্য ভালো হতো, সেটা তখন না বুঝলেও এখন বুঝি, ওটা হলেই ভালো হতো। এই জ্ঞানটুকু হয়েছে মানুষের সাথে উঠতে-বসতে। আমার কাছে এই অভিজ্ঞতাটাও একটা প্লাস পয়েন্ট ব্যক্তি জীবনের।

ছোট্টবেলা থেকেই একটাই ল্য ছিল, জীবনে আমি টাকা-পয়সা চাই না, ‘কেউকেটা’ হতেও চাই না। কেবল মানুষের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসাটুকুনই পেতে চাই সবকিছুর আগে। সেটাই এখনো কখনো কখনো পাই।

অস্বীকার করি না। বেশিই পাই, বলতেই কোনো দ্বিধা নাই।

আমার বন্ধু এবং আমার অগ্রজ যারা আমাকে কাছ থেকে চেনেন, জানেন, তাঁদের কাছে আমি এক রকম মানুষ। তাঁদের সাথে আমার পরিচয়ে আমি যতটুকু যোগ্য তাদের ভালোবাসা, স্নেহ অথবা শ্রদ্ধা পাওয়ার। তার থেকে শতগুণে বেশি পাই। আর যাদের কোনো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি নাই। তাঁদের কাছে আমি ভিন্ন জাতের মানুষ। পাশাপাশি এটাও বলে রাখি, আমাকে যদি ১০০ জন মানুষ চেনেন, নিঃসন্দেহে সেখানে ৯৮ জনের দৃষ্টিতেই আমি ইতিবাচক। অঙ্কের হিসাব মিলালে দেখা যাবে, শতকরা ৯০-৯৮ জন মানুষের কাছে আমি অতি সাধারণ একজন ভালো মানুষ, বাকি দুই-তিন ভাগের কাছে পুরোটাই তার বিপরীত।

আমি দেবতাতুল্য কোনো মানুষ না, সেটা কখনোই ছিলাম না। কখনোই হবোও না, এটা আমি জানি। পাশাপাশি এটাও জানি, আমি যে কোনো কাজ করি না কেন, হিসাব করে করি না ফলাফল কি হবে অথবা আমার স্বার্থে বা পে যাবে কিনা। একটা ভালো চিন্তা এবং ল্য নিয়েই শুরু করি। পরবর্তী পর্যায়ে ব্যর্থ হলে ধরে নিই এটা আমার ‘ডেসটিনি’ ছিল না। আমার কাজের ফলাফলের নেতিবাচক সব ফলাফলের জন্য নিজেকে ছাড়া কাউকেই অ্যাকাউন্টেবল মনেও করি না। চেষ্টা করি, নিজের ব্যাপারে কারোর কাছ থেকে নেতিবাচক কিছু শুনলে, সেই মানুষটার অবস্থান থেকেই তাকে এবং নিজেকে বিচার করে দেখতে। তাঁর জানালায় নিজেকে দেখতে এবং তাঁর জীবন দর্শনকে বুঝতেও। নিজেকেই শুধু সেখানে অগ্রাধিকার দিই না। খুব বেশি হলে যেটা করি, চিন্তা এবং মনে সেখান থেকে নিজেকেই দূরে সরিয়ে নিই, সাড়ে তিন হাত দূরে থাকি। 

নিম্ন মধ্যবিত্ত একটা পরিবারে বড় হয়েছি। আমাদের পরিবারে জৌলুস কিংবা অর্থ-বিত্ত ছিল না। কিন্তু ‘ভ্যালুজ’ বলতে যা বোঝায়, সেটা ছিল অনেক উঁচু মানের ও মাপের। ব্যক্তিগত ‘জীবনবোধে’ আমি এই শিাটাই পেয়েছি পরিবার থেকে। আমার আম্মা-আব্বা এবং দাদুর থেকে। ওটাই ক্যারি করছি এখনো যাপিত জীবনের সুখে-দুঃখে। জীবনে যা পাই নাই এবং পাই না ধরেই নিই আমি তার যোগ্যই নই। যা কিছু পাই এবং পাইছি, সম্পূর্ণটাই আমার আব্বা-আম্মা, দাদুর দোয়া আর কিছু মানুষের তাঁদের হৃদয় খুলে গ্রহণ করে নেয়া আমাকে আমার দোষ, গুণ মিলিয়ে। আমার ব্যক্তিগত কোনো অর্জন না এসব। এটাও আমার ‘ডেসটিনি’ নির্ধারিত সৃষ্টিকর্তা দ্বারা আমার জন্য। তাই সব সময় বলি, সমস্ত প্রশংসা সৃষ্টিকর্তার যিনি আমাকে যখন যেভাবে রাখেন। 

নিজস্ব কোনো আবেগের কারণে অন্তত কাউকেই জীবনে কখনো ‘উপো’ বলতে যা বোঝায়, তা করি না এবং করি নাই। কাউকে উপো করতে হলেও একটা যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, আমার সেটাও নাই।

তাই উপেতি হই, উপো করি না খুব বাধ্য না হলে।

উপায় না থাকলে অথবা নিম্ন মধ্যবিত্তদের নানান সীমাবদ্ধতার কারণে কখনো কখনো হয়তো উপো (ইগনোর) করি কাউকে, কিন্তু এই তালিকায় হাতেগোনা কয়েকজন। সাধারণত নিজের কোনো কাজ যদি কাউকে কষ্ট দেয় বা দিতে পারে বুঝি, মা চাই বিনয়ের সাথেই। আমার অনেক বন্ধুরা এটাও জানে। 

আমার বড় দুর্বলতা মানুষের বিনয় এবং তাঁর সুরুচিবোধ। নিজেও সেটা মেন্টেন করতে চেষ্টা করি। তাই আমার সাথে যারা সম্পর্কিত হন তাঁদের থেকেও সে রকম কিছু একটা প্রত্যাশা করি। মানুষের কোনো দুর্বলতা অথবা সীমাবদ্ধতা সাধারণত আমি প্রকাশ করি না। কারণ আমার নিজেরই অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আমার আরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা আমি খুব বেশি আবেগপ্রবণ এবং স্পর্শকাতর মানুষ। অধিকাংশ সময় আমি আবেগ দ্বারা প্রভাবিত ও তাড়িত হই। তবে চেষ্টা করি যুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পথে চলতে। অধিকাংশ সময় হয় না, পরিণতি যেটা হয়, সেটা বেশিরভাগ সময়ই নিজের সিদ্ধান্তের জন্য নিজেকেই অনেক হাই প্রাইস পে করতে হয়। 

জীবনে এসব বড়, বড় ব্যর্থতায় যতটা যেতে পারতাম (হয়তোবা) জীবনের বাস্তবতার পাহাড় চ‚ড়ায় উঠতে, সেটা পারি নাই বলেও দূরের ও কাছের বন্ধুরাও আমার এই সীমাবদ্ধতার সমালোচনাও করেন। এসব নিয়েই জীবনের দীর্ঘ একটা পথ অতিক্রম করে গেছি। এখনো করছি। সব কিছু মিলিয়েই আমি এই মানুষটা পৃথিবীর বুকে একটা নাম্বার শুধু, তার বেশি কিছু না। জীবনে স্মৃতির পাÐুলিপি পড়লে অধিকাংশ সময়েই নিজের ব্যর্থতাগুলিই বেশি বড় হয়ে চোখের সামনে এসে ধরা পড়ে। ভবিষ্যতে কোনো পাঠক যদি এটা পড়েন, আমার মত বা আমার এই ভুলগুলি রিপিট করবেন না। তাই আমার ভুলগুলোকে আমি বলতে বেশি পছন্দ করি, যাতে আগামী দিনের তরুণ নাগরিক জীবন প্রতিষ্ঠায় এবং জীবনের বাস্তবতায় ‘বাস্তবমুখী’ হতে পারেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিস্টার পুতিন খুব সম্প্রতি তাঁর এক সাাৎকারে বলেছিলেন, যখন তাঁকে বলা হয় সে খুব অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ পরিচালনা করেন। প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তরে বলেছিলেন, আমি তো হৃদয় দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে পারি না, তাই মাথা দিয়ে করি। কথাটা শুনতে একটু কঠিন মনে হলেও কথাটা সত্যি বলেছেন। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি গ্রহণ করতে গিয়ে কোনো ধরনের আবেগ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যুক্তি দিয়ে, মাথা দিয়ে, জ্ঞান দিয়ে জীবনের সিদ্ধান্ত যত বেশি নেয়া যায়, বাস্তবতা তত বেশি তখন আপনার সপে থাকে ও থাকবে।

কখনো হৃদয়ের কোনো অনুভ‚তিতে যদি মনে হয়, যা চাই তা পাই না, যা পাই তা চাই না। মনে করবেন, প্রত্যেক মানুষেরই একটা ডেসটিনি আছে এই দুনিয়াতে। আপনার ডেসটিনি কেমন হবে, সেটা নির্ধারিতই। কিন্তু নির্ধারিত সেটা পেতে হলেও পরিশ্রম করতে হয় এবং হিসাব করে পা ফেলতে হয়।

এই ডেসটিনি শপিংমলে গিয়ে কেনা যায় না যে! নিজের নানারকম শর্ট কামিস থেকেও বলতে পারি, জীবনে কোনো স্বপ্ন দেখা কখনোই বন্ধ করবেন না।

একটা স্বপ্ন ভেঙে যায় তো আরেকটা স্বপ্ন গড়ে নিতে হয়। জীবনে ‘সফলতার’ কোনো সুনির্দিষ্ট ‘ডেফিনেশন’ হয় না। সফলতা মানে, অবিরাম চলা, শরতে, গ্রীষ্মে, বর্ষা, চৈত্রে ও বৈশাখে। সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে, তাহলে অন্য কাউকেও ভালোবাসতে পারবেন নিঃস্বার্থে। কিন্তু অধিকাংশ সময় আমরা নিজেকেই ভালোবাসতে পারি না নিঃস্বার্থে। সে কারণেই অন্য কাউকেও পারি না। এসব আমার চিন্তার এবং দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা হলেও প্রতিদিন আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমার জন্য যে কয়টা দিন বাকি আছে এখনো এই পৃথিবীতে এখনো স্বপ্ন দেখি। চলে যাবার আগে যদি এমন কিছু হয়, হতেও তো পারে, যা-ই আমি চাই, তাই আমি পাবো। হু নোজ ! রাইট, হু নোজ, বাট, আল্লাহ অনলি নোজ দি বেস্ট।

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক

মার্চ ২৫ ২০২২, নিউইয়র্ক

শেয়ার করুন