০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৬:০৪:০২ অপরাহ্ন


নিউইয়র্কে লোকসংগীতের জমজমাট উৎসব
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৭-২০২৩
নিউইয়র্কে লোকসংগীতের জমজমাট উৎসব সংগীত পরিবেশনে পবন দাস বাউল


নিউইয়র্কে লোকসংগীতের জমজমাট উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৮ জুলাই নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজায় লোকসংগীতের এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনটি ছিল বেশ জমজমাট, প্রাণবন্ত এবং পরিচ্ছন্ন। আয়োজকরা সফল হয়েছেন কমিউনিটির বিপুল উপস্থিতির মধ্য দিয়ে। দুপুর থেকেই মানুষজন অনুষ্ঠানে আসতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

উৎসবের মধ্যমণি পবন দাস বাউল, রথীন্দ্রনাথ রায় এবং কালা মিয়া থাকলেও নিউইয়র্ক অঞ্চলের বাঙালিয়ানায় উজ্জীবিত নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাও নিজ নিজ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সবকে মূর্ছনায় আবিষ্ট করে রেখেছিলেন।

‘বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ’র সদস্যসচিব শিবলী সাদেক প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেন। সামনের দিনগুলোতেও এমন আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে কোনো আয়োজনই অসাধ্য হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় লোকসংগীতের প্রাণপুরুষ পবন দাস বাউল, কণ্ঠযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত আরেক খ্যাতনামা শিল্পী রথীন্দ্র নাথ রায়, সাপ্তাহিক বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, বাংলাদেশ প্রতিদিন উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, হোস্ট সংগঠনের সভাপতি দীনেশচন্দ্র মজুমদার, আহ্বায়ক দীপক দাস, প্রধান উপদেষ্টা শিতাংশু গুহ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো সংস্কৃতি নেই। তাই বাঙালিরা যেভাবে নিজের সংস্কৃতি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তা খুব সহজেই আমেরিকানদেরকেও অভিভূত করছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে একসময় বাঙালির লোকসংস্কৃতি হয়তো আমেরিকার নিজস্ব সংস্কৃতির আদল পাবে।

প্যারিস থেকে আসা পবন দাস বাউলের পরিবেশনার সময় পুরো প্লাজা নেচে ওঠে। এর আগে আরেক জনপ্রিয় শিল্পী রথীন্দ্র নাথ এবং কালা মিয়া পরিবেশনাও ছিল অনবদ্য। উৎসবের মেজাজে আরো সংগীত পরিবেশন করেছেন জোহরা আলিম, চন্দ্রা ব্যানার্জি, শাহ মাহবুব, রানু নেওয়াজ, অনিক রাজ এবং সূতপা মন্ডল। চন্দ্রা ব্যানার্জির নেতৃত্বে নৃত্যাঞ্জলি এবং কাবেরী দাসের নেতৃত্বে সংগীত পরিষদের পরিবেশনা সকলে উপভোগ করেছেন। সংস্কৃতির প্রতি গভীরভাবে আগ্রহী একদল নারী এক পর্যায়ে মঞ্চের সামনে নেচে-গেয়ে পুরো আয়োজনকে ভিন্ন এক আমেজে নিয়ে গেছেন।

লোকজ সংস্কৃতির আবহে গোপন সাহার সাবলীল উপস্থাপনায় দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ আয়োজনে ছিল ধামাইল, পদাবলী কীর্তন, পুঁথি পাঠ, কবিগান, নৃত্য, যাত্রাপালাসহ বাঙালি সংস্কৃতির সব ধারার সফল উপস্থিতি। যা সবাইকে আপ্লুত ও বিমোহীত করে।

শেয়ার করুন