১২ এপ্রিল ২০১২, বুধবার, ০৩:১১:৪৮ পূর্বাহ্ন


মতবিনিময় সভায় সিনেটর মাসুদ রহমান
লক্ষ্য স্থির করলে এই দেশে সবাই অর্জন করা সম্ভব
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১১-২০২২
লক্ষ্য স্থির করলে এই দেশে সবাই অর্জন করা সম্ভব বক্তব্য রাখছেন মাসুদ রহমান


যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সিটি, স্টেট এবং কাউন্টিতে নির্বাচিত বাংলাদেশি আমেরিকানদের মধ্যে জোট গঠনের মাধ্যমে প্রিয় মাতৃভূমির কল্যাণে কাজের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। একইসাথে কমিউনিটির সামগ্রিক উন্নয়নের প্রত্যাশা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যেখানে লক্ষ্য স্থির এবং কঠোর পরিশ্রম করলে সবই অর্জন করা সম্ভব। আমি বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে লক্ষ্য স্থির করেছি এবং সবার সহযোগিতায় আমি সেই লক্ষ্যে পৌঁছেছি। তবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এমন অভিমত পোষণ করে মধ্যবর্তী নির্বাচনে কানেকটিকাট থেকে  ডেমোক্রেটিক পার্টির থেকে স্টেট সিনেটর হিসেবে বিজয়ী বাংলাদেশি আমেরিকান মো. মাসুদুর রহমান এক মতবিনিময় সভায় এই সব কথা বলেন। নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটি ক্লাব আয়োজিত মতবিনিময় সভাপতি গত ২০ নভেম্বর দুপুরে জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। মূলধারার রাজনীতিবিদ মোর্শেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং আহনাফ আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের সদস্য জন ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান  ডেভিড ওয়েপ্রিন, সিটি কাউন্সিলম্যান ও প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ।

স্টেট সিনেটর মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান আরো বলেন, ‘আমার এ বিজয়, ব্যক্তি মাসুদুরের নয়, এ বিজয় যুক্তরাষ্ট্রে সকল প্রবাসী বাংলাদেশির বিজয় এবং আমার এ বিজয় নিয়ে থেমে থাকলে চলবে না। আরো অনেক শেখ রহমান, আবুল খান, নাবিলাহ ইসলাম, শাহানা হানিফ সৃষ্টি করতে হবে। সকলকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে মার্কিন রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রচনা করতে হবে’ এবং আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমার মা দুটি বিষয় আমাকে শিখিয়েছেন। প্রথমটি হচ্ছে, কঠোর পরিশ্রম করবে বড় কিছু হবার জন্যে এবং দ্বিতীয়ত কখনোই নিজের ভূমিকা-প্রত্যাশার কথা ভুলবে না। যদি ভুলে যাও তাহলে কখনোই কামিয়াব হতে পারবে না। এ দুটি বিষয়কে আমি সবসময় হৃদয়ে ধারণ করে আসছি। এজন্যেই কানেকটিকাট স্টেট সিনেট নির্বাচনে আমি প্রথম বার দলীয় মনোনয়ন পেয়েও ৬১ শতাংশ ভোটে রিপাবলিকান প্রার্থীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছি। এটি একটি রেকর্ড ডেমোক্রেটিক পার্টির ইতিহাসে।  তিনি আরো বলেন, আমি এই দেশে ২৮ বছর আগে এসেছি। এসে অনেক পরিশ্রম করেছি এবং সফল হয়েছি। বর্তমানে আমার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই সব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক লোক কাজ করছে। তিনি বলেন, রাজনীতি মানেই মানবসেবা। সেই কাজটি আমি এবং আমার স্ত্রী করে যাচ্ছি। করোনা মহামারীর সময় আমি বহু মানুষকে সাহার্য করেছি এবং তাদের বাসায় প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দিয়েছি। যে কারণে আমি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি এবং জয়ী হয়েছি। নির্বাচন করবো সেই আগেই ঠিক করেছিলাম, ১৩২ জনের টিম গঠন করেছিলাম, সেই টিম আমার জন্য কাজ করেছে। আমার স্টেটের গভর্নর ৫ বার আমার নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমার সবার মনে রাখতে হবে কখনো আপনার রুট ভুলে যাবেন না। রুট ভুলে গেলে আপনি সব কিছু হারাবেন। আমি একজন বাংলাদেশি আমেরিকান। বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। তিনি বলেন, এটা আমাদের শুরু। আগামীতে আমরা আরো ভালো করবো। 

উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মাসুদুর রহমান ছাড়াও জর্জিয়ায় স্টেট সিনেটর হিসেবে নাবিলাহ ইসলাম নামক আরেকজন বাংলাদেশি আমেরিকান জয়ী হয়েছেন। একই নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন সিনেটর শেখ রহমান (জর্জিয়া) এবং স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান (রিপাবলিকান)। নিউইয়র্কের পার্শ্ববর্তী কানেকটিকাট স্টেট থেকে এই প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেবিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মাজেদা এ উদ্দিন ও মোজাফ্ফর হোসেন,  ডেমোক্রেটিক ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শেখ আখতার-উল ইসলাম,  ডেমোক্রেটিক পার্টির সংগঠক সৈয়দ রাব্বি, শহিদ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ফাহিম রেজা নূর, সৈয়দ মোস্তফা আল আমিন রাসেল, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মাসুম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আমিন খান জাকির, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ও মূলধারার রাজনীতিবিদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, অধ্যাপক হুসনে আরা, এম ফজলুর রহমান, মাসুদুল হাসান, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন