২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৮:৩৭:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে শামসুজ্জামান দুদু
সরকার পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২৩
সরকার পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে শামসুজ্জামান দুদু


বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভবিষ্যত আবার কি? এ সরকার তো পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। মন্ত্রীদের কথাবার্তা, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং সংবাদ সম্মেলন- আপনি নিশ্চয়ই বুঝেবেন বা লক্ষ্য করেছেন এ-সরকার কেমন অস্থির হয়ে উঠেছে? তাদের অবস্থাতো এখন কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। এটা-তো অহিংস আন্দোলনেরই ফসল। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে বর্তমানে চলমান বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। তার মতামতটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

দেশ: মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিএনপিকেও চাপ দেয়া হয়েছে। এমন খবরকে কিভাবে দেখেন? এটা কি ঘটেছে?

শামসুজ্জামান দুদু: না-তো এধরনের কোনো আলাপতো হয়নি (বিস্ময়ের সাথে)। একটা ভালো নির্বাচন করা দরকার। এবং সেটা কিভাবে হবে-সেব্যাপারে আমাদের দলের মূখ্য আলোচনার বিষয়। আর আওয়ামী লীগের অধীনে আমাদের নির্বাচনে নিতে চাপের কথাই বা আসে কিভাবে? বরং দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকেই চাপে রেখেছে আমেরিকা। তা না হলে আমেরিকা এতো স্যাংশনই বা দেবে কেনো? ভিসানীতি কেনো হচ্ছে। তারাতো আওয়ামী লীগ এবং এই সরকাকে জানে। আমেরিকার কিছু সিদ্ধান্ত আছে। আরো কিছু সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। আর এসব করা হচ্ছে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই। কেননা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রধান বাধা হচ্ছে শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। 

দেশ: আমেরিকা যদি আপনাদের চাপ না-ই দিয়ে থাকে তাহলে আপনারা বড়ো ধরনের আন্দোলনে যাচ্ছেন না কেনো? সামনেই নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু আপনাদের যে লক্ষ্য তা আদায়ে তো বড় ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যাচ্ছে না। বড় আন্দোলন না করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কোনো ধরনের চাপ আছে কি-না?

শামসুজ্জামান দুদু: আরে.. আমরা যে আন্দোলন করছি তা-তে সরকার নাস্তানাবুদ হয়ে গেছে। আর আমাদের আন্দোলনের ধরনটা অনেক ভিন্ন। এমন আন্দোলনের মাধ্যমেই ভারতবর্ষে স্বাধীনতা এসেছিল। মহাত্মা গান্ধিজির অহিংস আন্দোলন। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সশ্রস্থ অংশগ্রহণের মাধ্যমে। আমাদের এখন আন্দোলনের ধারাটা হচ্ছে অহিংস। 

দেশ: আপনারা কি ভবিষ্যতে এই অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করবেন? আপনাদের লক্ষ্যে পৌঁছাবেন?

শামসুজ্জামান দুদু: ভবিষ্যত আবার কি? এ সরকার তো পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। মন্ত্রীদের কথাবার্তা, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, সাংবাদিক সম্মেলন.. আপনি নিশ্চয়ই বুঝেঝেন বা লক্ষ্য করেছেন এসরকার কেমন অস্থির হয়ে উঠেছে? তাদের অবস্থাতো এখন কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। এটা-তো অহিংস আন্দোলনেরই ফসল। 

দেশ: এটা কি কথার কথা? মাঠের কথা? কি আভাস পেলেন? কিভাব পেলেন যে এসরকার পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে? আপনি কি দেখেছেন জনগণ আপনাদের ডাকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে?

শামসুজ্জামান দুদু: কেনো লক্ষ্য করেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল সাহেবের কথা বার্তায়? দেখেন ইউরেনিয়াম আনা হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। সেই ইউরেনিয়াম আমাদের নেতাদের মাথায় ঢালা হবে বলে বলা হচ্ছে। নাম ধরে ধরে বলা হচ্ছে.. কার কার মাথায় এই ইউরেনিয়াম ঢালা হবে। এটাতো কোনো একজন ব্যক্তির স্বাভাবিকতা না। সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাবনরম্যাল পজিশনে না থাকলে এমন কথা বলেন? বা বলতে পারে? আর আরেক টা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন। তা হলো মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই প্রথম বললেন যে আমেরিকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন যে বিদেশেীরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা কখনোই উঠায়নি। কি বললেন? বললেন তারা জানতে চেয়েছেন কোনো সুযোগ আছে কি-না? এতোটুকুই বলেছেন। বাকিটাতো আর বলেননি......আমার ধারণা..। 

দেশ: আপনি কি মনে আপনাদের আন্দোলন এবং বাইরের বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলি চাপে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হবে? অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেবে?

শামসুজ্জামান দুদু : আমার ধারণা সরকার ৯০ পার্সেন্ট দাবি মেনেই বসে আছে। এখন বাকি আছ আনুষ্ঠানিকতা..। 

শেয়ার করুন