০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৭:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন


ডয়েচ ভেলের এক রিপোর্ট এর জবাবে মির্জা ফখরুল
‘আশা করবো ভারত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাংখাকে মর্যাদা দেবে’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৮-২০২৩
‘আশা করবো ভারত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাংখাকে মর্যাদা দেবে’


বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাংখাকে ভারত মর্যাদা দেবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার সকালে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ভারতের কুটনৈতিক বার্তা’র বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে বিএনপি মহাসচিব এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ আমরা পত্রিকায় দেখলাম আজকে ডয়েচে ভেলের বরাত দিয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়েছে ...এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এজন্য যে, আজকে বাংলাদেশে যে সংকট সেই সংকটের মূল্যে হচ্ছে এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করবার যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্যটাই এবং গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের ওপরে যে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে রাষ্ট্রকে দিয়ে, বাংলাদেশে যে একটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস গড়ে তোলা হয়েছে…বলা যেতে পারে যে, টোটালি একটা ডিপ স্ট্যাট তৈরি করা হয়েছে সেখানে ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশ যারা গণতন্ত্রের কথা বলে সবসময়, গণতন্ত্র আপহোল্ড করার চেষ্টা করে.. তাদের কাছে এটা অপ্রত্যাশিত যদি এই নিউজটা সত্যি হয়ে থাকে।”

 

তিনি বলেন, “ আমরা নিশ্চয় এটা আশা করব, ভারত বাংলাদেশের মানুষের যে গণতান্ত্রিক আকাংখা সেই আকাংখাকে তারা মর্যাদা দেবে। এই দেশে সত্যিকার অর্থেই সকল দলের অংশগ্রহনে, সকলের সদিচ্ছায় একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে তারা পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করবে। এই কথাটা আমরা কখনোই বলতাম না, বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমরা দেখতে পারছি যদি নিউজটা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে রাজনীতির আভ্যন্তরীন ব্যাপারে তারা হস্তক্ষেপ করছে।”

ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা বাংলাদেশের মানুষের আস্থার ওপরে আস্থা রাখি, তাদের শক্তির ওপর আস্থা রাখি। আমি মনে করি, ভারত দেখবে বাংলাদেশের মানুষ কি চায়? বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি তারা (ভারত) কোনো পদক্ষেপ নেয় সেটা হবে অত্যন্ত দূঃখজনক এবং সেটা আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের জন্য এবং এই অঞ্চলের মানুষের জন্যও শুভ হবে না বলে আমরা মনে করি।”

‘মৌলিবাদীদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নাই’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা একথা খুব স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশের কোনো মৌলবাদী দল এখানে ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নাই। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে দেখা গেছে কখনোই কোনো মৌলবাদী দল তারা ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বরঞ্চ তাদের যে শক্তি সেই শক্তি ক্ষীয়মান হয়ে এসেছে।”

‘একদফার লড়াইয়ে জনগন জয়ী হবে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধবংস করেছে, বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে ধবংস করেছে এবং এখন বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মী করে তারা  একটা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। আমরা এদেশের জনগন আজকে এক হয়েছে, সমস্ত দলগুলো আজকে এক হয়েছে তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য তারা লড়াই শুরু করেছে। এই এক দফার লড়াইয়ে নিশ্চয় জনগন জয়ী হবে বলে আমরা আশা করি।”

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনটির সভাপতি এসএম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করে এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয় সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসিন আলী, নাজমুল হাসানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন