২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:০২:৩৫ অপরাহ্ন


দ্রুত নিষ্পত্তির কারণে অ্যাসাইলাম মামলায় বিজয়ের হার কমেছে
মঈনুদ্দীন নাসের
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১২-২০২২
দ্রুত নিষ্পত্তির কারণে অ্যাসাইলাম মামলায় বিজয়ের হার কমেছে


অ্যাসাইলাম প্রার্থীরা আমেরিকায় একধরনের অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছে। অনেক অ্যাসাইলাম প্রার্থী ৫ থেকে ৬ বছর ইমিগ্রেশন অফিসে কিংবা কোর্টে তাদের মামলা নিয়ে বিড়ম্বনায় রয়েছে। সীমান্ত থেকে ধরে আনা অ্যাসাইলাম প্রার্থীরা ছাড়াও যারা ইতিবাচক বা এফারমেটিভ এসাইলামের জন্য আবেদন জানিয়েছে তারা সমস্যায় আছে। দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য যেসব অ্যাসাইলাম আবেদন বিবেচিত হচ্ছে, সেসব আবেদন নাকচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বাইডেন প্রশাসন প্রকৃত অর্থে মামলা নিষ্পত্তি দ্রুত করতে চায়। যখন মামলা দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি হয় তখন তাতে আবেদনকারী হারে। গত ৩০ নভেম্বর সিরাকুস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অস্টিন কোচের এ কথা বলেন।

সিরাকুস বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রানজেকশনাল রেকর্ড অ্যাকসেস ক্লিয়ারিং হাউজ (TRAC) জানায়, গত জুলাই মাস থেকে অ্যাসাইলাম গ্র্যান্টের সংখ্যা কমেছে। আর দেখা গেছে, যত দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে, ফলে দ্রুত অ্যাসাইলাম প্রাপ্তি কমছে। 

যদিও ২০২২ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যক্তি অ্যাসাইলাম পেয়েছে, তারপরও যতো দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, ততো অ্যাসাইলামপ্রাপ্তদের সংখ্যা কমেছে। (TRAC)  দেখে যে, তিন থেকে ১৮ মাসে যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, তাতে মাত্র ৩১ শতাংশ লোক অ্যাসাইলাম পেয়েছে। 

কোচের বলেন, গত বছর যে কোনো সময়ের চাইতে বেশি হারে মামলা গ্র্যান্ট হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা কমে যাচ্ছে।

মাইগ্র্যান্টদের অনেকে উকিল নিয়েও মামলায় জিতছেন না। কারণ তাদের মামলা সঠিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে না। অনেকে মামলা যথেষ্ট যত্ন সহকারে তৈরি করছেন না। উকিলরা সঠিকভাবে মামলা তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে না। বর্ডারে কেউ ধরা পড়লে তারা অনেক সময় প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করতে পারে না। তাদের যেসব দোভাষী দেয়া হয়, তারা সঠিকভাবে বলতে পারে না। এসব কারণেও মামলা কম হচ্ছে।

বাইডেন প্রশাসন মামলা ত্বরান্বিত করতে চায়। কিন্তু মামলার আবেদন পেশ করার সময় প্রবেশের পর এক বছর। কিন্তু পুরো সময় ব্যয় করে বা সময় নিয়ে কেউ মামলা পেশ করে না। যারা মামলা লিখে অ্যাসাইলামের জন্য পেশ করতে পারদর্শী, তাদের সহায়তা নিয়ে অ্যাসাইলাম আবেদন পেশ করা উচিত। অনেক সময় তারা অ্যাটর্নিদের সঙ্গে কাজ করে না। কারণ অ্যাটর্নিরা নিজেরা মোটা দাগে অর্থ নিলেও তাদের অর্থ দেয় না বা প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ লোক নিয়োগ করে না। তাদের সহকারীরা তেমন বেতন পায় না। এসব কারণে মামলায় হেরে যায় অ্যাসাইলাম প্রার্থীরা। ভালোভাবে মামলা পেশ করলে অ্যাসাইলাম অফিসারদের অফিস থেকেই মামলা হয়ে যায়। 

২০২২ সালে ২৫ হাজার লোক অ্যাসাইলাম পেয়েছে, ২০২১ সালে এ সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি ছিল না। ২০২০ সালে ১৫ হাজার ছিল। ২০১৯ সালে ছিল ১৮ হাজার। সারা দেশে এখন ১.৯ মিলিয়ন পেন্ডিং ইমিগ্রেশন মামলা। 

শেয়ার করুন