২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:৫৮:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


পূজা মণ্ডপে মেয়র এরিক অ্যাডামস
অন্ধকার দূর করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২২
অন্ধকার দূর করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে মেয়রের সাথে বেদান্তে সোসাইটির কর্মকর্তাবৃন্দ


করোনা মহামারী নিউইয়র্কবাসীকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। সেই অন্ধকার অমরা দূর করার চেষ্টা করছি। করোনা-পরবর্তী নিউইয়র্কে অপরাধ বেড়েছে, হেইট ক্রাইম বেড়েছে, ক্রাইম বেড়েছে, বিদ্বেষমূলক হামলা বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এসব দূর করতে। আজকের পুজোয় আমি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে অন্ধকার দূর করছি। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রদীপ জ্বালিয়ে সব অন্ধকার দূর করতে হবে। বাংলাদেশ বেদান্তে সোসাইটি আয়োজিত শারদীয় দুর্গোৎসবের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এসব কথা বলেন। নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের এটি প্রথম কোন বাংলাদেশি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন। সেদিক থেকে বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটির কর্মকর্তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। মেয়র আসবেন এটা আগে থেকেই জানানো হয়েছিলো। যে কারণে পুরো অনুষ্ঠানটি চমৎকারভাবে সাজানো হয়। বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটির প্রতিটি কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট পূর্ণচন্দ্র মুখার্জি এবং সাধারণ সম্পাদক রীনা সাহার নেতৃত্বে ছিলেন প্রস্তুত। মেয়র আসার সাথে সাথে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা তাকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। মেয়র এসেই পূজা মণ্ডপে ফুল দেন এবং নির্দিষ্ট আসনে বসেন। সেই সময় মেয়রের সাথে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা।

অসীম সাহার পরিচালনায় প্রথমে নতুন প্রজন্মের তিন শিল্পী নৃত্য পরিবেশন করেন। দ্বিতীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ডা. নীলা। মেয়র দুটো নৃত্যই উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। পরে মেয়র মঞ্চে উঠলে তাকে দিয়ে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয় এবং তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন রীনা সাহা। এই সময় বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটির সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। চার দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসবের প্রথমদিনেই মেয়রকে এনে কমিউনিটিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি।

মেয়র এরিক অ্যাডমস বলেন, আমি যখন ব্রুকলিন বরো প্রেসিডেন্ট ছিলাম তখন থেকেই বাংলাদেশি কমিউনিটি আমার পাশে ছিলো। পরবর্তীতে আমি যখন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন করি তখনো বাংলাদেশিরা আমার পাশে থেকে আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশিরা সৎ এবং কঠোর পরিশ্রমী। তারা নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নের পাশাপাশি আমেরিকাকে সমৃদ্ধ করছে। তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারী নিউইয়র্কবাসীকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। সেই অন্ধকার অমরা দূর করার চেষ্টা করছি। করোনা পরবর্তী নিউইয়র্কে অপরাধ বেড়েছে, হেইট ক্রাইম বেড়েছে, ক্রাইম বেড়েছে, বিদ্বেষমূলক হামলা বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এসব দূর করতে। আজকের পুজোয় আমি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে অন্ধকার দূর করছি। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রদীপ জ্বালিয়ে সব অন্ধকার দূর করতে হবে।

চারদিনব্যাপী পূজার মধ্যে ছিলো ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী। বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটির দুর্গোৎসবকে সফল এবং সার্থক করেছেন বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটির কর্মকর্তা সুগন্ধা আচার্য্য, মিন্টু চৌধুরী, তনিমা দাস, দেবব্রত দাস, রতন দাস, উত্তম দাস, দীপ্তি দাস, অসীম সাহা, কল্যাণি চ্যাটার্জি, তপন সাহা, সুখা সাহা, অরুণা  পাল, জুনু সাহা, দেবী সাহা। দুর্গোৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন কবীর বকুল, আমিত, চন্দ্রা রায়, শাহনাজ লিপি, হৈমন্তি, মেহরীন, শতরূপা, হারুন, মরিয়ম মারিয়া ও উদীপ্ত।

সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ ইউএসএ

সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ ইউএসএ’র আয়োজনে ৪ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব উডসাইডের দিব্যধাম সেবাশ্রম মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা শুরু হয় ১ অক্টোবর এবং শেষ হয় ৪ অক্টোবর। পূজার মধ্যে ছিলো ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং বিজয়া দশমী। ষষ্ঠী দিয়ে পূজা শুরু হলেও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার শেষ হয়। এবার পূজার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রবীর কুমার রায়, সভাপতি ছিলেন প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল, মেম্বার সেক্রেটারি স্বপন ধর, সাধারণ সম্পাদক বিজয় বিশ্বাস, আহ্বায়ক ছিলেন প্রবীর বিশ্বাস, সদস্য সচিব নারায়ণ দেবনাথ। সদস্য ছিলেন সঞ্জয় সরকার, সুবল চন্দ্র গোস্বামী, প্রদীপ চত্ত, বিনয় মজুমদার, সুব্রত সরকার, অনুপ কুমার সাহা, জয়তুর্য্য চৌধুরী, স্বপন বিশ্বাস, চন্দন ঘোষ, মিতুল বেদবনাথ, দীপক ঘোষ, বাজিব চন্দ্র নাথ, ইন্দ্রজিত সাহা, সুবীর রায়, সঞ্জীব পাল, তাপস কৃষ্ণ সরকার, মানিক দেব নাথ, বিকাশ কুমার বৈদ্য, শুভজিত সাহা, বিপ্লব চন্দ্রধর, সুমন রঞ্জন সাহা, কনক চন্দ্র, দীপ্ত সাহা, লিটন চন্দ্র দেব নাথ, সুব্রত কুমার ভৌমিক, রুবেল মজুমদার, বঙ্কিম বৈরাগী, পীযুষ কান্তি বাড়ৈ, সজল বিশ্বাস, ডা. দেবাশীষ কর্মকার, প্রদীপ হালদার এবং সুমর রায়।

চারদিনব্যাপী দুর্গোৎসব সন্ধ্যার পর থেকেই যেন পূজারির ঢল নামে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সংগীত পরিবেশন করেন দেশের ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা। দিনব্যাপী বিতরণ করা হয় প্রসাদ।

শেয়ার করুন