২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৬:৩৪:৩২ পূর্বাহ্ন


নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ার বেতন আইন নিয়োগভিত্তিক ইমিগ্রেশন জটিল করবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১২-২০২২
নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ার বেতন আইন নিয়োগভিত্তিক ইমিগ্রেশন জটিল করবে


লেবার ডিপার্টমেন্টের বিধিবিধান অনুযায়ী, নিয়োগকর্তারা যখন চাকরিভিত্তিক ইমিগ্র্যান্টদের স্পন্সর করছেন, তখন ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্কের নতুন বেতন আইনের কারণে তাদের বিধিবিধানবহির্ভূত পন্থায় তা করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই সমস্যা প্রকৃত অর্থে কোনো মনোযোগ আকর্ষণ করেননি। কিন্তু ২০২১ সালে লেবার ডিপার্টমেন্ট ও জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে ফাইন বসিয়েছে। তাতে দেখা যায়, একদিকের সরকারি আইন নিয়োগকর্তাদের অন্যদিকে নেয়া অ্যাকশনের হাত থেকে রক্ষা করে না। 

যখন কোনো কোম্পানি কোনো নিয়োগভিত্তিক চাকরিতে কাউকে স্পন্সর করেন, তখন নিয়োগকর্তাদের দেখাতে হয় যে, এসব পদে কোনো যোগ্য লোক আমেরিকায় পাওয়া যাচ্ছে না। লেবার ডিপার্টমেন্ট এই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নতুন নিয়মের উদ্ভাবন করে। আর তা হচ্ছে নিয়োগদাতাকে বিজ্ঞাপন দিয়ে এ দেশে উপযুক্ত লোক রয়েছে কিনা তার প্রমাণ বের করতে হবে। প্রিন্ট মিডিয়াতেও বিজ্ঞাপন দিতে হবে। কিন্তু আইনে বিজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ না থাকলেও উপযুক্ত লোক যে এখানে পাওয়া যাচ্ছে না, তা প্রমাণের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে হবে। যদিও ইমিগ্রেশন আইনে লেবার সার্টিফিকেশনের কথা রয়েছে, লেবার ডিপার্টমেন্ট বর্তমানে পুরো ব্যবস্থা প্রকাশ করেছে। ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি (এনএফএপি) তা জানিয়েছে।

গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট একটি মামলা করেছে তাতে বলা হয়েছে, ফেসবুক আমেরিকান ওয়ার্কার নিয়োগ না করে তারা নিয়োগভিত্তিক ইমিগ্র্যান্ট স্পন্সর করেছে। তারা একই সময়ে লেবার সার্টিফিকেশন কর্মসূচি মেনে চলার বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। তাতে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট বলে মেইলের মাধ্যমে কাজের আবেদন চেয়ে আমেরিকার ওয়ার্কারদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। 

আমেরিকান ওয়ার্কার রিক্রুট করতে এই বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন নেই। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টও বলেনি যে, ফেসবুক লেবার ডিপার্টমেন্টের বিধি ভায়োলেট করেছে। যাতে লেবার সার্টিফিকেশনের বিজ্ঞাপনের বিধি মানেনি। 

এই কারণ সত্ত্বেও ২০২১ সালের অক্টোবরের ৯ তারিখে ফেসবুকের সাথে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও লেবার ডিপার্টমেন্ট নিষ্পত্তি করেছে বলে ঘোষণা দেয়। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে ফেসবুক ৪.৭৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা আদায় করে। তাছাড়া যেসব লোক এতে ভিকটিম হয়েছে তাদের ফেসবুক ৯.৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের জন্য সম্মত হয়। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও লেবার ডিপার্টমেন্ট একযোগে এই তথ্য জানায়। 

এই নিষ্পত্তি অন্যান্য নিয়োগকর্তার এই বিধিব্যবস্থা মানার প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করে দেয়। 

ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্কের বেতন আইনের নিরিখে নিয়োগকর্তাদের ফেসবুকের সাথে নিষ্পত্তির বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এর আওতায় যখন স্থায়ী লেবার সার্টিফিকেশন কর্মসূচির আবেদন পেশ করবে তখন তা জানার প্রয়োজন। 

২০২২ সালের ১ নভেম্বর থেকে নিয়োগকর্তাদের মধ্যে যারা ওয়ার্কারের জন্য বিজ্ঞাপন দেবেন, তাদের বেতন-ভাতা যতো তা উল্লেখ থাকতে হবে। তা করা না হলে তা হবে বেআইনি। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন অথবা ঘণ্টাকালীন বেতন সম্পর্কে উল্লেখ থাকতে হবে।

এই আইন অস্থায়ী নিয়োগ ও অস্থায়ী সাহায্যের জন্য কোনো ফর্মে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। নিউইয়র্ক সিটিতে এই আইন আংশিকভাবে কার্যকর হবে না। 

ক্যালিফোর্নিয়া ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই ধরনের আইন গ্রহণ করছে। কোনো কর্মকর্তার যদি ১৫ জনের বা ততোধিক কর্মচারী থাকে, তাদের যে কোনো কাজের বিজ্ঞাপনে বেতন-ভাতা উল্লেখ করতে হবে। 

নিয়োগদাতাদের কাছে বেতন আইন কীভাবে ধরা দেবে তা বিশদভাবে জেনে নেয়া প্রয়োজন। নিয়োগভিত্তিক ইমিগ্রেশনের মধ্যে রয়েছে। ইবি২, এইচওয়ান১বি, এইচ২বি ইত্যাদি। 

শেয়ার করুন