০৬ মে ২০১২, সোমবার, ০৮:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন


আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে গজব হিসেবে আবির্ভূত : ইসলামী আন্দোলন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২৪
আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে গজব হিসেবে আবির্ভূত : ইসলামী আন্দোলন


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনীতির গজব হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ্য। রাষ্ট্রীয় সীমাহীন দুর্নীতি ও জুলুমের কারণে অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহ চলছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনীতির দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। ফলে দেশের মানুষ ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। দেশের জনগণকে উপজেলা নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। ডামি সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘুম হারাম হয়েছে। 

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, নতুন কারিকুলামে ট্রান্সজেন্ডার বিয়ষক বিতর্কিত শরীফার গল্প বিষয়ক কমিটির প্রকাশিত রিপোর্ট জাতিকে হতবাক করেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সচেতন দেশবাসির দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তদন্ত কমিটি সরকারের ইচ্ছা পুরণ করেছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র দলীয়করণ করা হযেছে। তদন্ত রিপোর্ট তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এদেশে ট্রান্সজেন্ডারকে প্রমোটকারী শরীফার গল্প বাদ দিতে হবে। 

গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অর্থ সম্পাদক আলহাজ হারুন অর রশিদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নূরুল ইসলাম আলআমিন, জিএম রুহুল আমিন, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার। 

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উগ্রবাদীদের গণপিটুনিতে দুই কুরআনে হাফেজ নির্মাণ শ্রমিক নিহত ও পাঁচজনকে আহত করার ঘটনা আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত ঘটনার কোন কূলকিনারা করতে না পারা সরকারের চরম ব্যর্থতা। ফরিদপুরসহ পুরো দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ও সরকারের বিরুদ্ধে গণরোষ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। জনতার ক্ষোভ সরকার গুলি ও টিয়ারশেল দিয়ে দমানোর চেষ্টা করছে। মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মধুখালীর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে সরকার পতন আন্দোলন ফরিদপুর থেকেই শুরু হবে। কাজেই বাঁচতে চাইলে দোষীদের আইনের আওতায় আনুন। অন্যথায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সৃষ্টি হলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না। 

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা ও অসৎ রাজনীতিক এই তিন চক্র সিন্ডিকেট মিলে দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। এই দানবদের রুখতে না পারলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না। আর নিত্যপণ্যের দাম কমবে না। তেল, নুন, পেঁয়াজ, চিনি, আদা-রসুন, মরিচ যেটাতেই হাত দেয়, হাত পুড়ে যাচ্ছে। সকালে এক দাম, বিকেলে আরেক দাম। এটা তো অর্থনীতি না। এই গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবনে স্বস্তি আসেনি।

শেয়ার করুন