মাইন উদ্দিন আহমেদ
কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন। অত্যন্ত
সদালাপী এবং মিষ্টিভাষী সাংবাদিক,
লেখক, কলামিস্ট, ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের
সদস্য, সাংবাদিক নেতা, নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠিকপ্রিয়
দেশ-এর কলাম লেখক
ও বাংলাদেশের ইংরেজী দৈনিকের বিশিষ্ট সাংবাদিক মাইন উদ্দিন আহমেদ
আর নেই (ইন্না লিল্লাহি
ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। সাংবাদিকতায়
চার দশকের বেশি সময় কাটিয়েছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো
৬৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি
স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুম
মাইন উদ্দিন আহমেদের ছেলে রিয়াজ আহমেদ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন গত ১ জানুয়ারি
রাত ১১টা ২৯ মিনিটে
তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন। তিনি জ্যামাইকা হাসপাতালে
গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে
চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওজনপার্কের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে
সেখানে ভর্তি করা হয়।
মাইন উদ্দিন আহমেদের
ছেলে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানালেন, তার বাবার কিডনিতে
টিউমার ধরা পড়ে এবং
চিকিৎসকরা ক্যানসারের সম্ভাব্যতা যাচাই করছিলেন এবং প্রয়োজনে তাঁকে
ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। তিনি
এতো দ্রুত চলে যাবেন প্রবাসের
ও দেশের তাঁর প্রিয়জন চিন্তাই
করতে পারেননি। রিয়াজ জানালেন তাঁর বাবার জানাজা
গত ২ জানুয়ারি ওজনপার্কের
বায়তুল মামুর মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং ৩
জানুয়ারি নিউজার্সির মালবরো মুসলিম গোরস্তানে দাফন করা হয়।
মাত্র কয়েক বছরের প্রবাস
জীবনে মাইন উদ্দিন আহমেদ
বিভিন্ন মহলে অনেক পছন্দের
মানুষ হয়ে গেছেন। নিউইয়র্কে
এসেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ওঠে বাংলাদেশি
অধ্যুষিত ওজনপার্কে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত
বন্ধুসুলভ। মানুষকে খুব সহজেই আপন
করে নিতে পারতেন। সর্বত্রই
ছিলো যেন তার বিচরণ।
সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন
ভালো মনের মানুষ। শোটাইমের
অনুষ্ঠান, বইমেলা, সাহিত্য একাডেমির মাসিক সভা থেকে শুরু
করে গ্রাফিক্স ওয়ার্ল্ড সবখানে তিনি ছিলেন বিশেষ
অতিথি। নিউইয়র্ক বাংলাডটকমের বিশেষ সংবাদদাতা, দেশ পত্রিকার সাপ্তাহিক
কলাম ‘কথার কথকতা’, টাইম
টিভির ‘প্রেস ভিউ’ ইত্যাদি নিয়ে
সবসময় ব্যস্ততা। জ্যাকসন হাইটসে প্রায় প্রতিদিনই তাঁকে দেখা যেন স্বাভাবিক
ব্যাপার ছিলো।
বাংলাদেশ সোসাইটির শোক
বিশিষ্ট সাংবাদিক, ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাব অন্যতম সদস্য এবং নিউইয়র্ক থেকে
প্রকাশিত সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার নিয়মিত
কলামিস্ট মাইন উদ্দিন আহমেদ
আর নেই। ১ জানুয়ারি
রোববার দিবাগত রাত ১১টা ২৯
মিনিটে) জ্যামাইকা মেডিকেল সেন্টারে (হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি
রাজিউন)। গত সপ্তাহে
ওজনপার্কের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি
কিডনি সমস্যাসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলে। তার পুত্র রিয়াজ
আহমেদ মাইন উদ্দিন আহমেদের
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
প্রবীণ এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে
সোসাইটির কার্যকরি পরিষদ ও ট্রাস্টি বোর্ডের
সদস্যরা গভীর শোক এবং
শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য গভীর সমবেদনা
জানিয়েছেন।
এক শোকবার্তায় মরহুমের
আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকল প্রবাসীর কাছে
দোয়া চেয়েছেন সোসাইটির কর্মকর্তারা। সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া ও
সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন
সিদ্দিকী এবং ট্রাস্টি বোর্ডের
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ সকলের কাছে
দোয়া চেয়ে বলেন রাব্বুল
আলামিন তাকে যেন জান্নাতের
সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং
তার পরিবারকে এই শোক সইবার
ধৈর্য দান করেন।
দেশের শোক
প্রবীণ সাংবাদিক এবং দেশের নিয়মিত
কলাম লেখক মাইন উদ্দিন
আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন
দেশ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং প্রকাশক মঞ্জুর
হোসেন। তারা প্রয়াত মাইন
উদ্দিন আহমেদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত
পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তারা আরো বলেন,
মাইন উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে দেশ পরিবারের ব্যাপক
ক্ষতি হলো। দেশ পরিবার
মাইন উদ্দিন আহমেদের আত্মার শান্তি কামনা করে সকল প্রবাসী
বাংলাদেশির দোয়া আহŸান
করেছেন। এ ছাড়াও শোক
প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই
অ্যাসোসিয়েশন (নতুন কমিটি)।
শোক প্রকাশ করেছেন লেখক ও কলামিস্ট
মাহমুদ রেজা চৌধুরী, সাংবাদিক
আকবর হায়দার কিরণ, কলামিস্ট ও লেখক সিব্বির
আহমেদ, কবি কাজী জহিরুল
ইসলাম, কবি হুমায়ুন কবীর
ঢালি, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের ও
সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম। গভীর শোক ও
সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ইউএনএ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর ই ওয়াজিদ
শিবলি, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।