২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন


প্রবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০১-২০২৩
প্রবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন বক্তব্য রাখছেন শামসুদ্দীন আজাদ


গত ১০ জানুয়ারি ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। দিবসটি পালন করা হয় যথাযোগ্য মর্যাদায়। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিশেষ দোয়া মাহফিলে।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গত ৯ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার মতিন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লুৎফুল করিম। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দুলাল মিয়া এনামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো: সোলায়মান আলী, সদস্য জহিরুল ইসলাম, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক স্বীকৃতি বডুয়া, প্রচার সম্পাদক ইসমাইল হোসেন স্বপন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাসুদ সিরাজী, উপ প্রচার সম্পাদক শেখ শফিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, নাজিম উদ্দিন, ব্রঙ্কস আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মুহিত, জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি খান শওকত, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া, শাহ সেলিম আহমদ, ইমরুল কায়েছ, নিরলব নিতাই, শহিদ চৌধুরী, নুরুন নবী, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ কিবরিয়া জামান।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গত ১০ জানুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালন করা হয়। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এই ঐতিহাসিক দিবসটি স্মরণ করে এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসী শাহরিয়ার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনান ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলাম ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল-২) মোঃ রাশেদুজ্জামান।

পরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসী শাহরিয়ার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালি জাতির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।

জাতির জন্য এই ঐতিহাসিক দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে ফেরদৌসী শাহরিয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। কিন্তু এই দিনে মহান নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পায়।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে সোনার বাংলা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার অনুরোধ জানান।

বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল-১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

শেয়ার করুন