২৮ মার্চ ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪৭:০৬ অপরাহ্ন


সরকারের পতন ‘আপোষে নয়’ জনগনের অভ্যুত্থানেই হবে’-খন্দকার মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০১-২০২৩
সরকারের পতন ‘আপোষে নয়’ জনগনের অভ্যুত্থানেই হবে’-খন্দকার মোশাররফ


সরকারের পতন ‘আপোষে নয়’ জনগনের অভ্যুত্থানেই হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ কোনো স্বৈরাচার আপোষে ক্ষমতা ছেড়ে দেয় না। এই স্বৈরাচারও আপোষে ক্ষমতা ছাড়বে এমন কথা আমরা বিশ্বাস করি না। ততকালীন পাকিস্তান আমলে কিন্তু এদেশের জনগন গণঅভ্যুত্থান করে আইয়ুব খানের মতো স্বৈরশাসককে হটিয়েছে, এই বাংলাদেশে এরশাদের মতো স্বৈরাচারকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে ছাত্র-র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এদেশের জনগন জেগে উঠেছে। এই জনগনই কিন্তু এই দেশে জনগনের জাগরণ সৃষ্টি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই সরকারের বিদায়ের ব্যবস্থা করবে।”

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ আপনারা দেখেছেন বিএনপি একক দল হিসেবে আমরা বিভিন্ন বিভাগে গণসমাবেশ ঘোষণা করেছিলাম। এই সরকার কিভাবে বাধা সৃষ্টি করেছে? তারা পরিবহন ধর্মঘট দিয়েছে, পুলিশ দিয়ে বাধার সৃষ্টি করেছে, গ্রেফতার করেছে এবং আমাদের নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে কি পরিমান নাজেহাল করেছে।তারপরেও প্রত্যেকটা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে। এই বিভাগী সমাবেশগুলো শুধু আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিলো না, জনগন ছিলো।  ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ আপনারা দেখেছেন সরকার কি পরিমান ভয় পেলে ৭ ডিসেম্বর আমাদের অফিসের(নয়া পল্টনে) সামনে সামনে অত্যন্ত বর্বরোচিত আক্রমন করেছে, সেখান থেকে আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে ৪‘শ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারপরে আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে। তারা মনে করেছিলো এসব গ্রেফতার করে আমাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বোধহয় বানচাল করবে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন সেই সমাবেশে কি পরিমানে জনগনের সমাবেশ ঘটেছিলো, সফল সমাবেশ হয়েছিলো।” 

তিনি বলেন, ‘‘ আজকে জনগন জেগে উঠেছে। এই সরকার যতই চাপাবাজী করুক না কেনো । আর জনগনকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আপনারা দেখতে পারছেন যে, আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকার ধরা পড়ে গেছে। এতো কথা বলেছে- গণতন্ত্র আছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন যখন আওয়ামী লীগ আসে তখন নাকী গণতন্ত্রের সুবাতাস বসে।অথচ তাদের ঐতিহাসিক রেকর্ড হলো আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল করেছে, এই আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে, বয়কটের নির্বাচনে তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। তারা বলে আওয়ামী লীগ আসলে নাকী গণতন্ত্রের সুবাতাস বয়।”

খন্দকার মোশাররফ দাবি করে বলেন, ‘‘ গণতন্ত্রের কথা বিএনপির মুখেই মানায়। বিএনপি এটার দাবিদার। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই সংসদ নির্বাচন যাতে করে সুষ্ঠু অবাধ হয়,নিরপেক্ষ হয় সেজন্য আমাদের নেত্রী সংবিধানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করেছিলেন। এই ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ বাতিল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষ হাসে যে, তারা কিভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, দাবি করে।

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির চিকিতসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ডা. মো. ফখরুজ্জামান ও ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, শহিদুর রহমান, জহিরুল ইসলাম শাকিল, বজলুল গণি ভুঁইয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।


শেয়ার করুন