২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:১৪:১৫ পূর্বাহ্ন


প্রবাসে একুশের অনুষ্ঠানমালা শুরু
নতুন প্রজন্মের হাতে ঢাবির বাংলাদেশ সংস্কৃতি তুলে দেওয়ার প্রত্যয়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০২-২০২৪
নতুন প্রজন্মের হাতে ঢাবির বাংলাদেশ সংস্কৃতি তুলে দেওয়ার প্রত্যয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী নতুন প্রজন্ম


প্রবাসের মহান একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান মালা শুরু হয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানমালা শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। প্রতি বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রবাসের সব বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইয়ের সমন্বয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একুশের অনুষ্ঠানটি প্রবাসে একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে রূপলাভ করেছে। তবে তাদের আয়োজনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে প্রবাসে জন্ম নেওয়া এবং বেড়ে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মধ্যে বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতিক এবং বাংলাদেশকে তুলে ধরার বিষয়টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রবাসে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতির বীজ বপন করতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে হস্তলেখা, চিত্রাঙ্কন এবং কবিতা আবৃত্তি। বিভিন্ন বয়সী শিশু-কিশোররা এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তবে একত্রে নয়, বয়স অনুযায়ী গ্রুপে বিভক্ত হয়। এই প্রতিযোতিায় যারা বিজয়ী তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় একুশের মূল অনুষ্ঠানে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনের এবার নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি জ্যাকসন হাইটসের পিএস-৬৯ স্কুলের অডিটোরিয়ামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদা আকতার লিলির সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, রুহুল আমিন সরকার ও নূপুর চৌধুরীর পরিচালনায় শিশু-কিশোরদের এই আয়োজনে প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ইনভেন্টে তারা অংশগ্রহণ করে। প্রথমেই ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হস্তলিখন এবং সবশেষে ছিল কবিতা আবৃত্তি। বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্যাহ, মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, কৌশিক আহমেদ, মনজুর কাদের, বিশ্বজিৎ, হাসান রোকন, এম এ আজিজ নঈমী, আলম লিয়া।

কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী শামসউদ্দিন, স্বপন বড়ুয়া, এ কে আজাদ তালুকদার, এম এস আলম, মোল্লা মনিরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম, মহিউদ্দিন দেওয়ান, শবনম পাপড়ি, সবিতা দাস, সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এই প্রতিযোগিতায় প্রায় শতাধিক নতুন প্রজন্ম অংশগ্রহণ করেন। তারা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতি তাদের মধ্য থেকে হারিয়ে যাবে না। কারণ তারা চমৎকার করেছেন। তাদের তুলিতে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার, বাংলাদেশের জাতীয় পাতাকা, বাংলাদেশের মানচিত্র এবং গ্রামবাংলার অপরূপ চিত্র ফুটে উঠেছে। এই শীতের মধ্যেও তারা বাঙালি পোশাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। এসব প্রতিযোগিতা থেকে ২৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের এই অনুষ্ঠান সবার প্রশংসা অর্জন করেছে।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোররা হলেন-আসফিয়া আসরা, আহনাফ হাবিব, শ্রেয়ান মন্ডল, ফাউজান ইশান, আজমায়েন স্বপ্নীল, জান্নাতুল বাশার, ইসমাইল চৌধুরী, নন্দিনি দাস, অম্রিতা দাস, তাইয়াম জায়েদ, আফিয়া আরা, হাফসা আলম, আয়শা আলম, নুসাইবা হক, প্রিন্স ঘোষ, শারিনা আক্তার, দিবাডিটিয়া, তাসফিয়া ফারিহা, এস এম আফিফ, অর্ক ঘোষ, এস সাহা, তাসমিয়া ইসলাম, রাবিয়া সাবির, সাইফুল্লাহ আরব, নিকিতা দাস, তাহরাত আয়াত, তাকওয়াহ শিরিষ, এস আলম, দিব্য, রিদফান রাধি, রুসাবা জামান, প্রীতম পর্ণা, আরিনা, সারিফান, ঋধিকা দেও, এ ঘোষ, তৃজাল সাহা, সোহেল মন্ডল, তামিম সাব্বির, সাদিয়া সানজিদা, পূজা ঘোষ, মানারাত জাহান, তাহিয়াতুল তাসবিন, প্রঘান প্রঘা প্রমুখ।

শেয়ার করুন