২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:৪৯:১২ অপরাহ্ন


টুকুর মামলা খারিজ ॥ মানহানির মামলার সিদ্ধান্ত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৮-২০২২
টুকুর মামলা খারিজ ॥ মানহানির মামলার সিদ্ধান্ত জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে সংবাদ সম্মেলন


বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সংগঠন জেবিবিএ। গিয়াস আহমেদ এবং তারেক হাসান খানের নেতৃত্বাধীন জেবিবিএ’র নির্বাচন শেষে মাহবুবুর রহমান টুকু মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা মাননীয় আদালত খারিজ করে দিয়েছে। গত ৯ আগস্ট দুপুরে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে জেবিবিএ’র সভাপতি গিয়াস আহমেদ এই তথ্য জানিয়ে বলেন, আমরা মাহবুবুর রহমান টুকুর বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেবিবিএ’র নির্বাচন কমিশনার আব্দুন নূর বড় ভুইয়া, উপদেষ্টা আসেফ বারী টুটুল, মোহাম্মদ খালেক, সিনিয়র সহ সভাপতি মোল্লা এম এ মাসুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক এস এম আবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন এবং ডা. বর্ণালি হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে গিয়াস আহমেদ বলেন, আপনারা জানেন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জেবিবিএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। নির্বাচনটি ছিলো সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী মাহবুবুর রহমান টুকু নির্বাচনের ফলাফলে স্বাক্ষর করেছিলেন। এর অর্থই হচ্ছে তিনি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছেন। তারপরেও তিনি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমাদের সমাজে কিছু দুষ্টু লোক আছে। সেই দুষ্টু লোকের পরামর্শেই তিনি মামলা করেছিলেন। মামলা করেছেন ভাল কথা, কিন্তু মামলায় যে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অত্যন্ত নিম্ন মানের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাননীয় আদালত শুনানী শেষে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে এবং মাহবুবুর রহমান টুকুর আপিল খারিজ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে সত্যের জয় হলো, গণগন্ত্রের জয় হলো এবং দুষ্টু লোকের পরাজয় হলো।

আব্দুন নূর বড় ভুইয়া বলেন, নির্বাচনে জয়- পরাজয় থাকবে এবং ফলাফল মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা, এখানে নির্বাচন কমিশনের কোন স্বার্থ নেই। শুধু শুধু আমাদের সময় নষ্ট। মামলার রায় নিয়ে তিনি বলেন, যারা মামলা করেছেন আশা করি তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তা ছাড়া মামলা করার ঘটনাকে তিনি দু:খজনক বলে অভিহিত করেন।

আসেফ বারী টুটুল বলেন, নির্বাচনে জয়- পরাজয় থাকবে কিন্তু আমাদের নোংরামি বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে আমরা যারা কাজ করছি তাদের স্ত্রীদের জড়িয়ে মামলায় যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা কোন ভদ্র লোক করতে পারে না। তাদের মনে রাখা উচিত আমরা একটি সভ্য এবং ভদ্র সমাজে বসবাস করছি। তিনি বলেন, যারা অন্যের স্ত্রীকে সম্মান দিতে জানে না, তারা কীভাবে তাদের মা- বোনকে সম্মান দেন?

মোল্লা মাসুদ বলেন, মাহবুবুর রহমান টুকু যখন মামলা করতে যাচ্ছিলো আমরা তাকে বারণ করেছিলাম মামলা না করার জন্য, তাকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। কিন্তু সে আমাদের কথা রাখেনি। উল্টো আমাদের কিছু নেতার স্ত্রীদের নিয়ে আজেবাজে কথা মামলায় উল্লেখ করেছে। এখন আমাদের সময় এসেছে মানহানির মামলা করার। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই মানহানির মামলা করবো।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা অবশ্যই মামলা করবো।

আবুল হাসান বলেন, আমরা অবশ্যই এ্যাকশনে যাবো। কাউকে বিনা চ্যালেঞ্জে আমরা ছেড়ে দেবো না।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানান।


শেয়ার করুন