২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন


শয়তানকে ঘায়েলের অস্ত্র
ড. এম এম আদেল
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৪-২০২২
শয়তানকে ঘায়েলের অস্ত্র


দিবারাত্রিতে পাঁচবার নামাজ অবশ্যকরণীয়, এর আদেশ আসে ৬১৯ খিস্টাব্দের হিজরিপূর্ব তৃতীয় বর্ষে। নামাজের জন্য জেরুজালেম থেকে মক্কায় কেবলা পরিবর্তন আর অবশ্যকরণীয় শয়তানকে ঘায়েলের অস্ত্র রমজানের রোজা চালু করা হয়েছিল হিজরি ২ সালে, ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে। ইসলামে এ দুটি ইবাদত অবশ্যকরণীয় করতে পাঁচ বছরের ব্যবধান রয়েছে। 

সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ওপর রোজা ছিল এশার সময় থেকে পরের দিন রাত পর্যন্ত। ইসলামের শুরুতেও এই নিয়ম প্রচলিত ছিল।

রোজা বান্দার জন্য আল্লাহ তায়ালার একটা অপূর্ব দান। রোজাকে পবিত্র হাদিসে অস্ত্রের আঘাত নির্বাপক চর্ম, বেত বা অন্য কোনো শক্ত পদার্থের ফলকবিশেষ, যাকে ঢাল বলা হয়ে থাকে তার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কেউ যদি রোজা পালন করেন, শয়তানের সাধ্য নাই তার কোনো অনিষ্ট করে। হাদিসে বলা হয়েছে যে, রোজার মধ্যে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়ে থাকে। অন্যভাবে বলা যায় যে, রোজাদার ব্যক্তিই একমাত্র শয়তান থেকে নিরাপদ। কারণ শয়তান তার আশপাশে যেতে পারে না- শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ। একজন রোজাদার গুরুতম কেন লঘুতম অপরাধ থেকেও বিরত থাকে। এমনকি কারো সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় পড়লে ‘আমি রোজা রেখেছি’ বলে এড়িয়ে চলেন। তিনি নিষ্প্রয়োজন বাক্যালাপ থেকে বিরত থাকেন। এমন প্রকৃতির লোক দ্বারা কার অন্যায় হতে পারে? বে-রোজাদারের নিকট শয়তানকে শৃঙ্খালায়িত করার কোনো অস্ত্র থাকে না। শয়তান মুক্তভাবে তার নিকট আনাগোনা করতে পারে ও শয়তানি প্রভাব বিস্তার করতে পারে। শয়তানের ওপর যে জয়ী হতে পারে সে-ই তো প্রকৃত শক্তিশালী।

শয়তান নিজেই বলে যে, আল্লাহর বান্দার নামাজরত অবস্থায় সে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর মতো কাঁপুনিতে ভুগে থাকে। কারণ প্রতিটা সিজদায় আল্লাহর বান্দার মর্যাদা উন্নীত হয়ে থাকে। আর রোজা সম্বন্ধে শয়তান বলে থাকে যে, রোজাদার ইফতার নেয়া পর্যন্ত শয়তানের হাত-পা শিকলাবদ্ধ থাকে। 

পবিত্র কোরআনের সুরা বাক্বারার ১৮৩-১৮৪ আয়াতে বলা হয়েছে যে, আত্মনিয়ন্ত্রণের অভ্যাসের কারণে আমাদের জন্য রোজার হুকুম করা হয়েছে। আত্মনিয়ন্ত্রণের অর্থ বহুবিধ। নিজেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য রোজার মতো শক্তিশালী অস্ত্র আর দ্বিতীয়টা নাই। এই অস্ত্র আল্লাহর বান্দাদের জন্য নতুন নয়, আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের পূর্বেও তাঁর বান্দাদের নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন। রমজান মাসে আমাদের জন্য রোজা নির্ধারিত করা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে সুস্থ হবার রোজা রাখবে। কেউ সফরে থাকলে সফর শেষে রোজা করবে। স্বাস্থ্যগত কারণে রোজা রাখতে অসমর্থ বান্দা একজন দরিদ্র লোককে প্রতি রোজার জন্য খাবার দান করবে। রোজা না রাখার বিনিময়ে এটা একটা উত্তম জনসেবামূলক কাজ। স্বেচ্ছায় যদি এ থেকে কেউ বেশি করতে চায়, তবে আরো ভালো। রোজা রাখার কারণসমূহের অর্থ বুঝে রোজা রাখা ভালো। রোজায় বহুবিধ শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উপকার রয়েছে।

উক্ত সুরার ১৮৫নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, রমজান মাসেই মানবজাতির পথপ্রদর্শন সংবলিত সত্যের পথ এবং সত্য-মিথ্যার ফারাক নির্ধায়ক ব্যক্ত করা হয়েছিল। পবিত্র কোরআন নাজিলের জন্য এই মাসকে সম্মানীয় করা হয়েছে। যে তার জীবদ্দশায় এই মাস পেয়ে থাকবে তার রোজা রাখা উচিত। আবারো বলা হয়েছে যে, অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হলে ও সফররত ব্যক্তি সফর শেষে রোজা রাখতে পারবে। আল্লাহ আমাদের মঙ্গল কামনা করেন। আমাদেকে কষ্টের মধ্যে ফেলতে চান না। উনি চান আমরা রোজার মাসটা যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে তাঁকে গৌরবান্বিত করি। কারণ তিনি আমাদের মঙ্গলের জন্য ঘোষণা করেছেন তাঁর এই মহাদান ও রোজার অমূল্য নিয়মানুবর্তিতার জন্য। তাঁর করুণা ভরা পথপ্রদর্শনের জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত। আমাদের বোঝা উচিত যে, রোজার শৃঙ্খলার মধ্যে আমরা যে সৎ অভ্যাস অর্জন করে থাকি, তা পরবর্তীতে বজায় রাখতে পারলে আমরা নিরাপত্তাহীন হতে পারবো না। ধৈর্যশীলতা জীবনে একান্তই প্রয়োজনীয়। অন্যান্য গুণের মধ্যে আমরা এটাও অর্জন করতে পারি। অধিকন্তু আমরা রোজার অভ্যাসে অনেক পুণ্যের অধিকারী হয়ে থাকি।

১৮৬নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাঁর বান্দার অতি নিকটবর্তী। আল্লাহ আমাদের বিনীত ও আন্তরিক দোয়ার জবাব দিয়ে থাকেন। তাই সত্য পথে চলার জন্য আমাদের তাঁর নির্দেশনা মেনে চলা উচিত ও তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা উচিত।

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত বোখারি শরিফের এক হাদিসে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর বান্দা আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে। বান্দা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যে, আল্লাহই তার শ্রবণেন্দ্রীয়, দর্শনেন্দ্রীয়, ধরাছোঁয়ার হস্তযুগল এবং হেঁটে বেড়ানোর পদযুগল হয়ে থাকে। আল্লাহর নিকট নিরাপত্তার প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা দিয়ে থাকেন। আর আল্লাহ তার বান্দার জন্য কোনো কিছু করতে ইতস্তত করে থাকেন না, যেমনটা ইতস্তত করে থাকেন তার মৃত্যু ঘটাতে। কারণ তাঁর বান্দা মৃত্যুবরণ করতে চান না আর  আল্লাহ তাকে নিরাশ করতে চান না। হাদিসটার ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদে যা বোঝা যায় তা হচ্ছে আল্লাহর খাঁটি নির্ধারিত পথে বান্দা চলবে। আল্লাহর পছন্দমতো প্রশংসনীয় ও কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপক কথা তার কানে বাজবে আর দর্শনীয় বস্তু তার চোখে ভাসবে। তার হাত দ্বারা আল্লাহর না পছন্দ কোনো কাজ করা হবে না। আর পা দ্বারা আল্লাহর না পছন্দ পথে চলবে না ও গন্তব্যস্থলে ধাববান হবে না। হাদিসটার পরবর্তী অংশে বোঝা যায় যে, আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু দান করে থাকেন। জীবনের এই পর্যায় শয়তান থেকে সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ।

বোখারি ও মুসলিম শরিফে তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা.)বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে যে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট ইসলাম সম্বন্ধে জানতে এলে আল্লাহর নবী (সা.) তাকে আবশ্যিক পাঁচবার নামাজ আদায় করতে, আবশ্যিক রোজা রাখতে, আবশ্যিক জাকাত প্রদান করতে বলেন আর তার ইচ্ছামতো ঐচ্ছিক ইবাদত করতে বলেন। ওই ব্যক্তি এসবের অধিক করতে চায়নি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন যে, লোকটা কৃতকার্য হবে।

১৮৭নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইন্দ্রীয় সম্বন্ধীয় ভোগবিলাস আর পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। সূর্যাস্তের পরে এসব কর্মবিরতিতে ছেদ পড়বে। ইতিকাফ করার সময় ইন্দ্রীয় সুখ ভোগ করা চলবে না। আমাদের আল্লাহ নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা ঠিক নয়। রোজা ও ইতিকাফের মর্যাদা বজায় রাখতে এই নির্দেশনাসমূহ বেশ পরিষ্কার।

১৮৮নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পত্তি নষ্ট করা থেকে বিরত থাকবে। পাপকর্মের মাধ্যমে জেনে-শুনে বিচারকদের ঘুষ দিয়ে অন্যের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা চলবে না। 

বোখারি ও মুসলিম শরিফে আয়েশার (রা.) বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি রোজার পূর্ণ মাস সমাপ্তির পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে তার উত্তরাধিকারদের মৃতের পে বাকি রোজা সম্পন্ন করতে হবে। 

আবু সাঈদ আল খুদরীর বরাত দিয়ে বোখারি ও মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর পথে যে একদিন রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার মুখাবয়ব দোজখের আগুন থেকে ৭০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন। আল্লাহই জানেন ৭০ বছরের দূরত্ব কত দূর হবে।

হাদিসে কুদসি ও বোখারি গ্রন্থে আবু হুরায়রার (রা.) উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, শারীরিক ও ইন্দ্রীয় সম্বন্ধীয় সুখ ভোগ ও প্রলোভন থেকে বিরত থেকে যারা রোজা রাখে আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন। রোজা প্রতিরার ঢালস্বরূপ। রোজাদার ব্যক্তির দ্বৈত আনন্দ উপভোগ করে থাকে- ইফতারের আনান্দ আর প্রতিপালকের সঙ্গে সাাতের আনন্দ। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগনাভীর গন্ধ থেকে উত্তম। 

বোখারি ও মুসলিম শরিফে আয়েশা (রা.)-এর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, সফরকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদেরকে রোজা রাখা, না রাখা তাদের পছন্দের ওপর ছেড়ে দিয়ে থাকতেন। ওই দুই গ্রন্থে আনাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে যে, তাঁরা সফরকালে রোজা সম্বন্ধে কাউকে না বলার ও না জিজ্ঞাসা করার নিয়ম পালন করতেন।

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে (বোখারি ও মুসলিম শরিফ) বলা হয়েছে যে, রোজাদার ব্যক্তি কারো সঙ্গে ঝগড়াঝাটি বা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে পারবে না। ‘আমি রোজা আছি, আমি রোজা আছি’ বলে এড়িয়ে চলবে। 

আবু হুরায়রা আরো বলেন যে, রোজাদার ব্যক্তি ভুল করে কিছু পান বা আহার করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ আল্লাহ তায়ালা খাবার দান করে থাকেন।

সল বিন সা’দ বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, রোজা রেখেছিল এমন সব বান্দারা পুনরুত্থানের সময় রাইয়ান নামক ফটক দিয়ে বেহেশতে প্রবেশ করবে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, বেহেশতের ফটকসমূহ প্রথম রাত্রি থেকে সারা রমজান মাস খোলা থাকে। এক ঘোষণায় সৌভাগ্যশালীদের এগিয়ে যেতে বলা হয়ে থাকে আর দুর্ভাগাদের দূরে সরতে বলা হয়ে থাকে। সারারাত মাপ্রার্থনাকারীদের আহ্বান করতে থাকে। নির্ধারিত দোজখবাসীদের থেকে আল্লাহ তায়ালা ইফতারের সময় এক মিলিয়ন বান্দাকে মুক্তি দিয়ে থাকেন (মুকাশাফাতুল কুলুব)।

সালমান ফারসি বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে যে, রোজার মাসে নফল নামাজ যে পুণ্য আদায় করা হয়, তা অন্য মাসে আবশ্যিক নামাজের পুণ্যের সমান। আর রোজার মাসের আবশ্যিক নামাজের পুণ্য অন্য মাসের আবশ্যিক নামাজের পুণ্য থেকে ৭০গুণ অধিক হয়ে থাকে।

রমজান মাস অতিরিক্ত পুণ্যের মাস। রোজাদারকে যে আহার করাবে সে রোজাদারের সমান সওয়াবের ভাগি হবে। এই ইফতারি দান এক ঢোক পানি, এক চুমুক দুধ বা একটা খেজুরও হতে পারে যে, রোজাদারকে পরিতৃপ্তভাবে আহার করাবে তার সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। ভণ করানো ব্যক্তিকে এমন পানীয় পান করতে দেয়া হবে যে, আর কখনো পিপাসার্ত বোধ করবে না। আর সে রোজাদারের সমান সওয়াবের অংশীদার হবে।

যে ব্যক্তি রোজাদার মজুরদের পরিশ্রম হালকা করে দিবে আল্লাহ তাকে জাহান্মাম থেকে মুক্তি দেবেন।

রমজানের প্রথম তৃতীয়াংশ করুণার, দ্বিতীয় তৃতীয়াংশ মার আর শেষের তৃতীয়াংশ দোজখ থেকে মুক্তির। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, শাবান তার মাস, রজব আল্লাহর মাস আর রমজান তার উম্মতের মাস।   

রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে যত বেশি সম্ভব চারটা কাজ করতে বলেছেন। এগুলো হচ্ছে- কালেমা তৈয়ব অধিক সংখ্যক বার পাঠ, ইস্তেগফার বেশি বেশি করে পাঠ, বেহেশতের জন্য প্রর্থনা করা আর দোজখের শাস্তি থেকে মুক্তি চাওয়া।

হাদিসে এটাও উল্লেখ রয়েছে যে, আমরা যদি আন্তরিক বিশ্বাসে পুণ্য অর্জনের জন্য রোজা রাখি, তাহলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। এতে মনে হয় অতীত ও ভবিষ্যতের গোনাহ মাফের জন্য যে, আন্তরিকতার সঙ্গে রোজা রাখতে হবে সে আন্তরিকতা  অর্জনে বেশ মেহনত করতে হবে। এতো বড় পুরস্কারের জন্য বড় ধরনের পরিশ্রম প্রয়োজন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন যে, আদম সন্তানদের রোজা ব্যতীত প্রতিটা আমল তার নিজের জন্য। রোজা আল্লাহর জন্য আর আল্লাহ এর প্রতিদান করবেন। রোজার সর্বোপরি মাহাত্ম্য রয়েছে। তাই বলে শুধু রোজা করলেই চলবে না। এর সঙ্গে অন্য ইবাদতও করতে হবে। ইসলামে ইবাদত-বন্দেগির সামগ্রিক দিকের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।  

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, তার উম্মতকে রমজান মাসে পাঁচটা জিনিস দান করা হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে আল্লাহর নিকট রোজাদার মানুষের নিঃশ্বাসের গন্ধ মৃগনাভীর গন্ধ থেকে উত্তম, ফেরেশতারা ইফতারের সময় না হওয়া পর্যন্ত তার মার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, শয়তান শিকলাবদ্ধ থাকে, পার্থিব দুঃখ-কষ্ট শেষে তার বান্দা তার নিকট ফিরে যাবেন এই আশায় আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন বেহেশত সুসজ্জিত করেন এবং রমজানের শেষ দিবসে রোজাদারের মা অর্জন। তার অনুসরণকারীরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, এই মা শবেকদরের রাত্রে জুটে থাকে কি না। নবীজি (সা.) উত্তর করেছিলেন যে, কর্মসম্পাদনের পর পারিশ্রমিক মিলে থাকে। 

রোজায় যেমন শয়তানি প্রভাবমুক্ত থাকে, আল্লাহ তায়ালা যেন তেমনি রোজার শুরু ও ঈদ উদযাপনে এর প্রভাবমুক্ত রাখেন।  

উৎসবিহীন হাদিসের বর্ণনা মুকাশাফাতুল কুলুব থেকে সংপ্তি আকারে দেয়া হয়েছে। হাদিসের  ও কোরআনের আয়াতের একটু-আধটু ব্যাখ্যা লেখকের নিজের।   


পদার্থবিজ্ঞান অধ্যাপক, আরকান-ছ বিশ্ববিদ্যালয়

পাইন বøাফ, আরকান-ছ ৭১৬০১


শেয়ার করুন