২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


নির্বাচনে কতটা জনমতের প্রতিফলন হবে?
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১২-২০২৩
নির্বাচনে কতটা জনমতের প্রতিফলন হবে?


অন্যতম প্রধান বিরোধীদল এবং সমমনা দলগুলো নিজস্ব অবস্থানে অটল থেকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছে। সরকারি দলের সহায়ক রাজনৈতিক দলগুলো সরকারি দলের মূল প্রার্থী এবং বিকল্প প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকায় নিজেদের বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে আস্থাহীন। এমতাবস্থায় নির্বাচন মূলত সরকারি দলের মূল প্রার্থী এবং বিকল্প প্রার্থীর মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি দলের মূল প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। জানি না বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করার পরেও সরকারি দল কীভাবে এমন কিছু প্রার্থী মনোনয়ন দিলো, যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেল? বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও কেন বাতিল হয় প্রার্থীদের আমলনামা উঠে এলো না? আমি মনে করি, সরকারি দল অনেকটা খোলা মাঠেই গোল দেবে। নির্বাচন সর্বোতভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ হওয়াতে এখন আর সরকারি দলের কোনো শঙ্কার কারণ নেই। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভোটাররা ভোট দেওয়ার বিষয়ে কতটুকু উৎসাহিত হবে সন্দেহ আছে। আমি ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ বা খাদে নিমজ্জিত উৎসাহ এখনো দেখতে পাচ্ছি না। তবে অনেকেই চায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক এবং একই সঙ্গে সরকার দুর্নীতি দমনসহ কোনো একক দেশের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে আসুক। 

সরকারপ্রধানসহ সরকারি দলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্র দেশগুলোর স্যাংশন ভীতি আছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ চীন প্রভাব এবং নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসুক। ভারত, চীন, রাশিয়া কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনে পশ্চিমা প্রভাব বিষয়ে অসন্তুষ্ট। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিলে বাংলাদেশের ঘুনে ধরা অর্থনীতি দারুণ সংকটে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ২০২৪ দুর্ভিক্ষের সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছেন। 

সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর একটানা তিন টার্ম দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছে। তার পরেও কীভাবে অসৎ সিন্ডিকেট চাল, ডাল, লবণ, চিনি, পেঁয়াজ, মরিচ নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জনতাকে জিম্মি করে? কীভাবে আমলা নিয়ন্ত্রিত বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সংকটে শিল্পবাণিজ্য ব্যাহত হয়? কীভাবে মাটির নিচে পর্যাপ্ত কয়লা এবং গ্যাস থাকা সত্ত্বেও ক্রমাগত আমদানিকৃত গ্যাস, কয়লা, বিদ্যুতের পেছনে ছুটে সংকটে পড়তে হয়? সরকারপ্রধানের পরামর্শকরা কেন তাকে সৎ পরামর্শ দেন না? সরকারি দলের প্রার্থীরা হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির যে বিবরণী দিয়েছেন তা থেকে প্রতীয়মান হয় ক্ষমতা মানুষকে আলাদিনের চেরাগ উপহার দেয়। অর্থবিত্ত হাওয়ায় ভাসে বাংলাদেশে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা এখন চ্যালেঞ্জ। অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে না এলে জনমতের প্রতিফলন হবে না। 

যেভাবে নির্বাচনী কৌশল নিয়েছেন সরকারপ্রধান তাতে আগাম বলে দেওয়া যায় সরকারি দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে। অথনীতি খাদে নিমজ্জিত, জ্বালানি নিরাপত্তাসংকটে। এমতাবস্থায় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞ আসলে ঘোরতর অর্থনৈতিক সংকট থেকে দুর্ভিক্ষ হওয়ার স্বভাবনা আছে। যদি তাই হয়, তাহলে সরকারি দলের দায় দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই।

আমি মনে করি, কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও সরকারি দলের উচিত ছিল বিএনপিসহ অন্যান্য দলকে নির্বাচনে আনা।

শেয়ার করুন