১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০১:২১:৫১ অপরাহ্ন


ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পাঁচ শীর্ষনেতা লন্ডনে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৩
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পাঁচ শীর্ষনেতা লন্ডনে


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি শীর্ষ পাঁচ নেতা এখন লন্ডনে। এই পাঁচ শীর্ষনেতা হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং স্বাধীনতা সুবর্ণ কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস আহমে, স্বাধীনতা সুবর্ণ কমিটির সদস্য সচিব এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ বাবর উদ্দিন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম ভূইয়া। জানা গেছে, এদের মধ্যে প্রথম ৪ জন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। জসীম ভুইয়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ৫ নেতা লন্ডন পৌঁছেছেন। একটি সূত্র জানায়, তাদের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১ মার্চ।

দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোনো কমিটি নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই কমিটি বিলুপ্ত করেছিলেন। এর পরই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সেই সময়ে শীর্ষ কয়েকজন নেতা লন্ডন গিয়েছিলেন। যার মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। তারা লন্ডন গিয়েছিলেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা আশা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দেয়া হবে। তারেক রহমানও প্রস্তুত ছিলেন কমিটি দেয়ার জন্য। কিন্তু তখন সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে জিল্লুর রহমান জিল্লু এবং গিয়াস আহমেদের সঙ্গে বিরোধ বাধে। তাদের দুই জনকে এককভাবেও বৈঠক করার সুযোগ দেন তারেক রহমান। কিন্তু তারা সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। সেই বিরোধের কারণে কমিটি দেয়া হয়। কমিটি আসছে এই সংবাদে লন্ডন থেকে আগত কয়েকজন নেতাকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা সংবর্ধনা দিয়েছে। কিন্তু কমিটি আসেনি। এরই মধ্যে বছর দুই আগে দেয়া হয় ঢাউস এক কমিটি। সেটি ছিল স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি। ইতিহাসের বিশাল কমিটি দেয়া পরও তা নিয়ে ছিল বিরোধ। করা হয় সংযোজন। লাগাতার বৈঠক। স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম। তিনি আমেরিকায় এসে যে বিপদে পড়েছিলেন। বৈঠক, পদোন্নতি এবং সংযোজন করে রক্ষা পেয়েছিলেন। সেই কমিটিও বিলুপ্ত। এর মধ্যে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনকে দেয়া হয় নিউইয়র্ক স্টেট এবং সিটি বিএনপির কমিটির দায়িত্ব। তিনি তার মতো করে স্টেট এবং সিটি কমিটির আহ্বায়ক কমিটি দেন। সেই আহ্বায়ক কমিটি কতদিনের তারও সময়সীমা নেই। সেই কমিটি নিয়েও নানা বিরোধ দেখা দেয়। আনোয়ার হোসেন খোকন দায়িত্ব পেয়ে যেন নিজেই হয়ে যান সব কিছুর হর্তাকর্তা। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাদের অবমূল্যায়ন শুরু করেন। তিন-তিনটি কমিটি দিয়েছেন সেই সব শীর্ষ নেতার মতামত এবং তাদের সঙ্গে পরামর্শ করার সুযোগটিও দেননি। তার কর্মকাণ্ডে মনে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির শীর্ষনেতাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছেন। তাদের অনেকটা ছুড়ে ফেলে দেন ডাস্টবিনে। আনোয়ার হোসেন খোকন দায়িত্ব পেয়েই ধরাকে সরাজ্ঞান করেন। তার আচরণে মনে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যাপারে একচ্ছত্র ক্ষমতা তার। এখানে তার শাসন ছাড়া অন্য কারো শাসন চলবে না। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির মালিক মোক্তার যেন তিনি নিজেই। আর কোন নেতা নেই। তাছাড়া আনোয়ার হোসেন খোকনের দেয়া কমিটির নেতারা মনে করতে শুরু করলেন তারাই বৈধ কমিটি। আর কেউ বৈধ নয়। যেহেতু তারা বৈধ নয়, সেহেতু তাদের মূল্যায়ণ করার প্রয়োজন নেই। আবার আনোয়ার হোসেন খোকনও শীর্ষনেতাদের মূল্যায়ন না করতে অলিখিত নির্দেশ দেন। আনোয়ার হোসেন খোকনের কর্মকাণ্ড এবং অলিখিত নির্দেশ, খবরদারিতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অবস্থায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।

এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির শীর্ষনেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম দেয়। সেই ক্ষোভের কথা, আনোয়ার হোসেন খোকনের বিতর্কিত বিএনপিবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটির গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির শীর্ষনেতারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টায় তারা সফল হয়েছেন। যে সোর্সটি তারা ব্যবহার করেন সেই সোর্সই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারেক রহমান তাকে জানান, আমি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দিতে চাই। তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাই। তারেক রহমান তাদের লন্ডন ডেকে পাঠান। যে কারণে তারা লন্ডন যান। তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে তারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটির গুরুত্ব উপস্থাপন করবেন। কমিটি দেয়ার দায়িত্ব তারা তারেক রহমানের ওপরই দেবেন।

শেয়ার করুন