পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। শুধু আত্মসমর্পণ নয়, আদালতে ঢুকার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ট্রাম্প গ্রেফতার হবেন এটা তিনি আগে থেকেই জানতেন। যে কারণে বেশ কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হবে, তার সমর্থকরা যেন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গত ৩০ মার্চ ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার পর ৪ এপ্রিল তাকে ম্যানহাটনের আদালতে আসতেই হতো। কোর্টে আত্মসমর্পণ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজস্ব বিমানে গত ৩ এপ্রিল সোমবার নিউইয়র্ক আসেন। ট্রাম্পেন নিউইয়র্কে অবস্থান এবং কোর্টে যাওয়ার ঘটনায় পুরো নিউইয়র্কে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চারিদিকে থমথমে অবস্থা। ট্রাম্পের উপস্থিতি ঘিরে শুধু ম্যানহাটান নয়, পুরো নিউইয়র্কের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ট্রাম্প টাওয়ারসহ ম্যানহাটানের ফিফথ অ্যাভিনিউজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়েছে। অনেক রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিবাদকারীদের স্থানও পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। যাতে করে তারা সহিংস হয়ে উঠতে না পারে।
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যেও ভয় কাজ করছে। অনেকেই আজ তাদের কাজে যাননি। বিশেষ করে যাদের কাজ ম্যানহাটনে। বাংলাদেশী ব্যবসায়ী খোরশেদ খন্দকার জানান, আমি আমার ম্যানহাটনের দোকানে এসেছি। কিন্তু আজকে দোকানে ক্রেতা নেই। চারিদিকে কেমন জানি আতঙ্ক। থমথমে পরিস্থিতি।