২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৩:১৪:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


বিএনপির গণঅবস্থান মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগও
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০১-২০২৩
বিএনপির গণঅবস্থান মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগও


বিএনপির গণ অবস্থান ১১ জানুয়ারী মঙ্গলবার। পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচী রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রতিটা বিভাগীয় সদরে একই সময় পালিত হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে গত সোমবার (৯ জানুয়ারী) এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ‘গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা এবং বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে ১১ জানুয়ারী ২০২৩ দেশব্যাপী বিভাগীয় সদরে বিএনপি’র গণ-অবস্থান কর্মসূচী দেশব্যাপী বিভাগীয় সদর তথা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, কুমিল্লা ও ফরিদপুরে ১১ জানুয়ারী ২০২৩, সকাল সকাল ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গণ-অবস্থান পালিত হবে।’

এতে আরো জানানো হয়, ‘বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বিভাগীয় পর্যায়ে গণ-অবস্থান কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেবেন। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ জনসাধারণকে উক্ত গণ-অবস্থান কর্মসূচীতে যোগ দেয়ার আহবান জানানো হচ্ছে।’  


মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগও

বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচীর দিনে আওয়ামী লীগও এখন কর্মসূচী দিচ্ছে। এ কালচারটা আগে না থাকলেও গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দিনে পাড়া মহল্লা ও বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে সতর্ক পাহাড়া দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। উদ্দেশ্য, বিএনপি যেন সমাবেশের নামে কোনো নাশকতা, নৈরাজ্য,সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড করতে না পারে সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা। সজাগ থাকা। ১০ ডিসেম্বরের দিনে সেটা ছিলও। রাজধানীতে আগের দিন থেকেই অলিখিত হরতাল হয়ে গিয়েছিল। যাত্রীবাহী বাস চলেনি। সংঘর্ষের ভয়ে কোনো প্রাইভেট যানবাহনও মানুষ বের করেছে তুলনামুলক খুবই কম। 

এরপর ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি ও সমামনা দলসমুহের ছিল গণমিছিল কর্মসূচী। ২৪ ডিসেম্বর ওই কর্মসূচী থাকলেও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিএনপি ও সমমনাদের ওই কর্মসূচির দিন পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান যেহেতু ২৪ ডিসেম্বর ছিল আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। ফলে বিএনপি ঢাকার কর্মসূচী পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী যাতে করা যায়। কিন্তু ওই ৩০ ডিসেম্বরও আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বরের মত ওয়ার্ড, মহল্লা ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে পাহাড়া বসায়। এতে সাধারন মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরী হয়। 

ঠিকই একইভাবে আজ বিএনপি ও সরকার বিরোধী বিএনপি সমমনাদের পূর্বঘোষিত অবস্থান ধর্মঘট। কিন্তু আওয়ামী লীগ এ দিনেও তাদের পূর্বের মত কর্মসূচী রেখেছে রাজপথে। অর্থাৎ অন্য দুইবারের ন্যয় এদিনও তারা থাকবে রাজপথে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এটা তাদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী নয়। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে তারা বিশ্বাসীও নয়। তবে রাজপথে তারা থাকবে মুলত জানমালের নিরাপত্তার জন্য সতর্ক পাহারার জন্য। 


বিএনপির গন অবস্থানের নেতৃত্ব দিবেন যারা- 

ঢাকা বিভাগ 

 মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব, বিএনপি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, মির্জা আব্বাস, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি। 

সিলেট বিভাগ 

বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি। 

রাজশাহী বিভাগ 

ড. আব্দুল মঈন খান, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি। 

ময়মনসিংহ বিভাগ 

নজরুল ইসলাম খান, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি। 

চট্টগ্রাম বিভাগ 

 আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি। 

বরিশাল বিভাগ 

 বেগম সেলিমা রহমান, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি। 

রংপুর বিভাগ 

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি। 

 কুমিল্লা বিভাগ 

 বরকত উল্লাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি। 

 খুলনা বিভাগ  

শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি। 

ফরিদপুর বিভাগ 

 এড. আহমদ আযম খান, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি। 


শেয়ার করুন