২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:০৫:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


২০২২ সালে ২২ জন বিএসএফের গুলিতে নিহত
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
২০২২ সালে ২২ জন বিএসএফের গুলিতে নিহত


আবারো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হলেন এক বাংলাদেশি। এ নিয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিএসএফ-এর গুলিতে কমপক্ষে ৯ জন বাংলাদেশির মৃত্যু এবং নির্যাতনে ৯ জন আহত হয়েছেন। ২০২২ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২ জন, আহত হয়েছিলেন ১৫ জন, এবং অপহরণের শিকার হয়েছিলেন ১১ জন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এসকল মৃত্যু, নির্যাতন, অপহরণ ও হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে, সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যেকোনো ধরনের মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা, নির্যাতন বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ০৫ জুন ২০২৩, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কালীরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ইউছুফ আলী (২৬) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রাণঘাতী মারণাস্ত্রের পরিবর্তে Non-lethal weapon (Sound Grenade, Rubber Bullet  ইত্যাদি) ব্যবহার করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু সীমান্তে বিএসএফের হাতে হত্যার শিকার বেশিরভাগই গুলিতে নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যকার মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন প্রতি ছয় মাস অন্তর নির্ধারিত থাকে।

 ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, সীমান্তে হত্যা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কার্যকরি উদ্যোগ হিসেবে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় রাত্রিকালীন যৌথ টহল পরিচালনার ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছিলেন। এছাড়া, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বন্ধের জন্য দুই বাহিনী পরস্পরের মধ্যে তাৎক্ষণিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান এবং প্রয়োজনে যৌথ অভিযান পরিচালনা’র ব্যাপারেও একমত হয়েছিলেন। এমনকি, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে দুই দেশ পুনরায় একমত হওয়ার পরেও এধরনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।

আসক মনে করে, সীমান্তে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ও নিরীহ-নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের ওপর সহিংসতা বন্ধে যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সীমান্তে জনসচেতনতা কর্মসূচি জোরদার করা, যথাযথ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা, এবং সমন্বিত টহল বাড়ানোর ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। বিশেষত, যেকোনো ধরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপরাধীদেরকে নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

শেয়ার করুন