২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১১:২৮:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বিএনপি পুলকিত ॥ আ’লীগে সন্দেহ
চা’য়ের দাওয়াতে আঃ লীগে টালমাটাল
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৭-২০২২
চা’য়ের দাওয়াতে আঃ লীগে টালমাটাল


রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠ্যাৎ করে চায়ের দাওয়াত নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। কি কারণে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এমন সৌজন্যবোধ দেখানো হলো তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নিয়ে। এমন ধরনের দাওয়াতের খবরের বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বেশ পুলকিত। আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবাক এবং এর পাশাপাশি তাদের মনে নানান ধরনের সন্দেহ দানা বাধছে। আবার আছে হতাশাও। খবর সংশ্লিস্ট সূত্রের। 

কি বললেন প্রধানমন্ত্রী?

গত ২৩ জুলাই শনিবার দলীয় এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না। এব্যপারে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।

 গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও করলেও পুলিশ বাধা দেবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তো বলে দিয়েছি, তারা যদি, এমনকি প্রাইম মিনিস্টার অফিসও যদি ঘেরাও করতে আসে, তাদের পুলিশ যেন বাধা না দেয়। বিশেষ করে বাংলামোটরে বাধা দেওয়া হত, সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদুর আসতে পারে আসুক। আমি চা খাওয়াব, বসাব, কথা বলতে চাইলে শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।

বিএনপি’র প্রতিক্রিয়া ও যড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া

প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যেকে বলা চলে রাজনৈতিক অঙ্গনে বির্তকের টেবিলে বলা চলে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে । বইছে আলোচনার ঝড়। বিশেষ করে এনিয়ে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র নেতারা বসে নেই। নানান ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে তাদের বক্তব্যে। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর বিএনপি মহাসচিব বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কথা বলে তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। চায়ের নিমন্ত্রণ নয়, আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

২৪ জুলাই রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা: দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আগে বলতে হবে-কেয়ারটেকার সিস্টেম মেনে নিচ্ছি, ঘোষণা করুন কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা মেনে নেবেন। তাহলে চা খাওয়া যাবে অসুবিধা নেই। তা না করে এই সমস্ত হালকা কথা বলে লাভ নেই।

 আমাদের একটাই কথা- পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনি চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন। আমরা ঘেরাও করতে গেলে আপনি চা খাওয়াবেন। হঠাৎ আপনার গলার স্বর এভাবে নিম্নগামী হলো কেন? অদ্ভুত ব্যাপার। আপনার গলার স্বর যখন ক্ষীণ হয় তখন বুঝতে হয় বিরোধী দলের ওপর হয়তো আরও ভয়ঙ্কর নির্যাতন নিপীড়ন নেমে আসছে। ২৫ জুলাই সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী এর আগেও বিএনপির নেতাদের বলেছিলেন, আপনারা মামলার কাগজপত্রগুলো পাঠান। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।কিন্তু তিনি উল্টো আরও ব্যাপকভাবে মামলা দিয়েছেন। বিএনপির যে নেতা মারা গেছেন সেই লাশের নামে, যিনি হজ করতে গেছেন তার নামে, যিনি হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন তার নামেও এসব মামলা দেওয়া হয়েছে। এবার চায়ের দাওয়াতে আবার কি আছে? ওই চায়ের মধ্যে ধুতরার ফুল থাকবে নাকি হেমলকের রস থাকবে?

আওয়ামী লীগে নানা প্রশ্ন?

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চায়ের দাওয়াত নিয়ে এমন বক্তব্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একমাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়া কেউ কথা বলেননি। তবে দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা সাথে আলাপেজানা গেল,  তাদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, আন্দোলনে মাঠে বিএনপিকে যখন কেমন কিছু করতে দেখছে না ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী কেনো এমন চায়ের দাওয়াত দিলেন তা তাদের মাথা আসছে না। 

তবে তারা মনে করেন, এতে বিএনপি’র রাজনৈতিকভাবে কিছু ক্যাশ করবে। এতে করে বিএনপি’র যে দেশে একটি শক্তিশালি বিরোধী দল তা তাদের নেতাকর্মীদের বড়ো ধরনের শোডাইন ছাড়াই প্রমাণ করতে পেরেছে। বিএনপি যে রাজনৈতিক মাঠে যথেষ্ট ক্রিয়াশিল তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে একটা ম্যাসেজ দিয়ে দেয়া হলো। এতে মাঠে বিএনপি বেশ চাঙ্গাই থাকবে। কারণ তারা মনে করেন পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার হয়তবা বিএনপি’র সালে সংলাপ চায়। 

আওয়ামী লীগের একজন নেতা এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহবান মাঠে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া পড়েছে তা দলের সাধারণ সম্পাদকে মন্তব্য থেকেই প্রমাণ হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াতের প্রতিক্রিয়া এতোই ব্যাপক যে ওবায়দুল কাদেরকে বলতে হয়েছে এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। উল্লেখ্য খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেয়া ও বিএনপি ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ানোর কথাটি হিউমার ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২৫ জুলাই সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একজন সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে আসলে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না। এব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে টুপ করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে- এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলেরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?’

নেপথ্যে কি কি থাকতে পারে?

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এমন ধরনের বক্তব্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল নানান ধরনের হিসাব কষতে শুরু করেছেন। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী একটি দায়িত্বশীল পদে আছেন। রাজনৈতিক বিচক্ষণতা আর প্রশাসনিক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র মতো একটি বিরোধী দলকে সাইডে বসিয়ে একাই ব্যাটিং করছেন। ফলে তার মুখ থেকে এমন সময়ে চায়ের দাওয়াতকে হালকাভাবে নেয়ার অবকাশ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালি নেতা এই প্রতিনিধির সাথে দীর্ঘ আলাপে বলেছেন, হঠ্যাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য তারা তাদের দলের নেতাকর্মীরা হালকাভাবে নেয়নি। 

তারা মনে করছে আওয়ামী লীগ শীর্ষ পর্যায় বুঝেছে যতই দিন যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে গুমোট আকার ধারণ করছে। কেউ শ্রীলংকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে মেলাচ্ছেন। এসব বিষয় যে কেবল সরকারের টেবিলে ফাইলবন্দি হয়ে আছে তা না। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের টেবিলে এনিয়ে রোজই টুকিটাকি দরকষাকষি চলছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলাপাকালে এই প্রতিদেককে বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অনেক ক্ষেত্রে খুবই বিচক্ষণ আর প্রজ্ঞার পরিচয় দিচ্ছেন দেশ চালাতে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের টুকিটাকি সব বিষয়েই নজর রাখছেন। তিনি বলেন,সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছেন,দেখিয়েছেন কঠোরতা। ফলে তিনি চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন, না কি করতে চেয়েছেন তা হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। দাওয়াতের এমন আহবানে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। 

শেষ কথা

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না। ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি- এমন বক্তব্যের নেপথ্যে অনেক কিছু থাকাই স্বাভাবিক। কারণ সরকার আসলে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত কুল-কিনারাই পাচ্ছে না। বিশেষ করে ১ মে ২০২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সময়ের গুম-খুনের ঘটনা এবং তা নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিল জাতিসংঘ। তা সময়মত দিতে পারেনি সরকার। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে মানবাধিকার কাউন্সিলে জাতিসংঘ মহাসচিব এ নিয়ে বাৎসরিক প্রতিবেদন পেশ করবেন। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সরকারের। সময় পেরিয়ে গেলেও তা প্রস্তুত করতে পারেনি ঢাকা। তবে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই তা সম্ভব হয়নি। 

এব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ঈদের ছুটিসহ নানা কারণে এটা পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই সমন্বিত তথ্য জাতিসংঘকে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে এর আগে র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায়ও সঠিক সময়ে তথ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। মানবাধিকারর সাথে কাজ কাজ এমন ব্যক্তিরা মনে করেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বশীল আচরণ না করলে তা দেশের জন্য নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা থাকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, চলমান এমন সঙ্কট আর পরিস্থিতি সরকারের জন্য বেশ বিব্রতকর, খুব একটা সামাল দিতে পারছে না তারা। এর মধ্যে প্রতিনিয়তই মাঠে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে নানান ধরনের বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে রেখেছে।

 অন্যদিকে এসরকারের আমলে আইন দিয়ে গঠন করা নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনের বক্তৃতা বিবৃতিসহ নানান ধরনের মন্তব্যে সরকার বিব্রতকর। কারণ সর্বশেষ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের সময়ের সরকার সহযোগিতা না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেছেন, আমাদের ওপর আরোপিত ক্ষমতাটার কমান্ড আমার হাতে। তবে শক্তিটা পুলিশের হাতে, বিজিবির হাতে, সেনাবাহিনীর হাতে।

 শক্তিটা আমার হাতে নয়, কমান্ডটা আমার হাতে আছে। আমরা কমান্ড করলে যেন শক্তিটা রেসপন্স করে সেই ধরনের অবস্থা আমাদেরকে সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনের প্রয়োজনে সেটিই অপরিহার্যভাবে দরকার। তাছাড়া রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার পাশাপাশি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আউয়াল ।

বিশ্লেষকদের মতে,দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার প্রশ্নে সর্বোপরি দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার সত্যিই বেশ বেকায়দায় আছে। কেননা সরকার এবার যে যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন করে পার পাওয়া যাবে না তা ধীরে ধীরে স্পস্ট হয়ে উঠছে। 

আর এজন্য জন্য পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে এর পাশাপাশি দেশের মাঠে প্রধান বিরোধী দলকে হাতে রাখতে নানান ধরনের কৌশলের একটি-ই হয়তবা আকস্মিক ’চায়ের দাওয়াত’। আর এ দাওয়াতই বিএনপি’র সাথে সরকারে সংলাপের সূত্রপাত হতে যাচ্ছে কি-না তা সময়ই বলে দেবে। কারণ ১ মে ২০২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সময়ের গুম-খুনের ঘটনা এবং তা নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে জাতিসংঘতে বিস্তারিত জানাতে দেয়ার সময়ও ফুরিয়ে আসছে দ্রুত।


শেয়ার করুন