২০ মে ২০১২, সোমবার, ০২:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন


দেবপ্রিয়র নাশকতার শঙ্কা : প্রসঙ্গ বাংলাদেশ ব্যাংক
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৫-২০২৪
দেবপ্রিয়র নাশকতার শঙ্কা : প্রসঙ্গ বাংলাদেশ ব্যাংক বক্তব্য রাখছেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য


হঠাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়িই শুধু নয় এটাকে নিষেধাজ্ঞা বললেই বড় সঠিক। যেখানে অবাধে তথ্য সংগ্রহে যেতে পারতেন সাংবাদিকরা সেখানে এখন শর্তারোপ করা হয়েছে। কোথায় কার কাছে কি তথ্য সংগ্রহে যাবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাংবাদিকরা কোথাও প্রবেশ করে সঠিক তথ্য পাবেন না এটা নিশ্চিত। কারণ যার কাছে যাবেন, তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পেয়ে সেটা প্রকাশ করলে ওই অফিসারকে কাঠগড়ায় দাঁড় হতে হবে। 

তাহলে কোনো অফিসারই তথ্য দিতে আর অনুমতি দেবে না তার সেকশনে যাওয়ার জন্য। বিষয়টা অবাধ তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত। ফলে এতে করে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সব তথ্যই জানা যায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। সেখানে নিষেধাজ্ঞা মানেই গোটা বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকারে। আর এ অন্ধকারে কী ঘটছে কেনই বা হঠাৎ এমন আড়াল আবডাল করে রাখা যা বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসেই হয়নি এ নিয়ে বিভিন্নস্থানেই মুখরোচক গল্পও। 

গত ৭ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির ঘটনায় কড়া সমালোচনা করেছেন বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, এতদিন তথ্যে নৈরাজ্য চলছিল, এখন অপঘাত ঘটছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর মানে, কী বার্তা দিচ্ছে। এখন ওখানে এমন কিছু ঘটছে তা যদি জনসমক্ষে প্রকাশ পায় তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যাবে। এই নাশকতাকারীরা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকরা। 

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের একটা গর্ব ছিল, বিদেশি ঋণ নিয়ে কখনও খেলাপি হইনি আমরা। কিন্ত সম্প্রতি তেল আমদানি করে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না। বিদেশিরা মুনাফা নিতে পারছে না, এয়ারলাইন্স ব্যবসায়ীরা অর্থ পাচ্ছে না। তার মানে গর্বের জায়গায় ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশ ব্যাংক দেয়। সেখানে প্রবেশ নিষেধ। তার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হে’। এখন এটা কি মসুর ডাল না কি মুগ ডাল নাকি সব জায়গায় ডাল; এটাই এখন বোঝার বিষয়। দেশ এখন এলডিসির দিকে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বলছে।’’ এই সময় তথ্যের নৈরাজ্য সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা।

শেয়ার করুন