প্রায় একযুগ পর বাংলাদেশিদের প্রিয় জায়গা জ্যাকসন হাইটস ঈদের রঙে রঙিন হলো। এটি সম্ভব হয়েছে নেতৃত্বের গুণে। প্রায় একযুগ আগে ঐক্যবদ্ধ জেবিবিএ’র সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে ঈদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলতে জ্যাকসন হাইটসে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলো। এরপরেই জেবিবিএতে বিভক্তি এবং নানা টানাপড়েন। বিভক্তি এবং টানাপড়েন এখনো আছে। কমিটি দুটো। তবে নেতৃত্বের গুণে এগিয়ে গেলেন হারুণ ভুইয়া এবং ফাহাদ সোলায়মানের নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রায় একযুগ পর আবারো ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং জ্যাকসন হাইটসকে অন্যান্য বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা থেকে আলাদা করতে এই উদ্যোগ নেন। ওয়েলকাম জ্যাকসন হাইটস, ঈদ মোবারক লেখা এবং গাছে গাছে লাইটিংয়ের কারণে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের চেহারাটাই যেন পাল্টে যায়। লাইটিংয়ের আলোকরশ্মি মানুষের চোখকে রাঙিয়ে তোলে। হৃদয় আন্দোলিত করে। অজান্তেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। গর্বে বুক ভরে যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের। যে কারণে সবাই ছবি তুলছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা পোস্ট করছেন। কয়েকটি নিয়ন লাইটের আলোয় আলোকিত এখন জ্যাকসন হাইটস।
গত ২৮ এপ্রিল বিকেলে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্টিটে এই লাইটিংয়ের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন জেবিবিএ’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও উপদেষ্টা মোহাম্মদ পিয়ার। জেবিবিএ’র প্রেসিডেন্ট হারুণ ভুইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেবিবিএ’র উপদেষ্টা মহসীন ননি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলম নমি, কোষাধ্যক্ষ সেলিম হারুণ, পরিচালক ড. রফিক আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সেলিম হারুণ, কার্যকরি কমিটির মেম্বার শাখাওয়াত বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শাহ চিশতি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ হোসেন বাদশা, সদস্য আব্দুল হামিদ, কামরুজ্জামান বাচ্চু, মুনমুন হাসিনা বারী, জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সহ-সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ দুলাল প্রমুখ।
হারুণ ভুইয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এক সময় জ্যাকসন হাইটসে লাইটিং করা হতো। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিভক্তির কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। দুটো কমিটির থাকার কারণে কেউই দায়িত্ব নিতে চায়নি। এবারো দুটো কমিটি কিন্তু তারপরেও আমাদের কমিটি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ফাহাদ সোলায়মান বলেন, বিশেষ করে ব্যবসায়ী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা চিন্তা করেই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, জ্যাকসন হাইটস আমাদের ব্যবসায়ীদের এলাকা, সুতরাং এই এলাকার সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা এই কাজটি করেছি। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।