১২ এপ্রিল ২০১২, বুধবার, ১০:১১:১৯ পূর্বাহ্ন


আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা
বিএনপির সঙ্গে ডান,বাম,অতি বাম তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও গাটছাড়া বাঁধতে চেষ্টা করছে -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৫-২০২২
বিএনপির সঙ্গে ডান,বাম,অতি বাম তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও গাটছাড়া বাঁধতে চেষ্টা করছে -প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা


করোনা মহামারি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্টিত হলো ক্ষমতাসী আওয়ামী লীগের। গতকাল ওই সভা অনুষ্টিত হয়েছে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে। সভায় আগামী জাতীয় নির্বাচন,দলের জাতীয় সম্মেলন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ বিভিন্ন তৃণমুলের বিভিন্ন বিষয়াদির খবর নেয়া থেকে শুরু করে গুরুত্বপুর্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে নানা বিষয়ে তৃণমুলের জন্য দলীয় কোন্দল বা অভ্যান্তরীন সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন দিক নির্দেশনাও দেয়ার কথা শোনা গেছে।  

বিকেল সাড়ে পাচটা থেকে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার সরকারী বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এ সভা অনুষ্টিত হয়। যা চলে ১১ টা পর্যন্ত। 

এর আগে ২০২১ সনের ১৯ নভেম্বর সর্বশেষ সীমিত পরিসরে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্টিত হয়। 


তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায়, আমাদের অপরাধটা কি?

কোথায় আমরা ব্যার্থ হয়েছি- প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  

সভার সুচনায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। এটা আজ প্রমানিত। ‘আমরা ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগ কখনো পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি বরং তারা সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমেই  রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। এটি কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে তৈরী করা সংগঠনও নয়।

তিনি বলেন, আজকে নির্বাচন যতকটুকু উন্নতি হয়েছে, সেটা আওয়ামী লীগই করেছে। এটা আমাদের দাবীই ছিল, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স,ছবি সহ ভোটার তালিকা, এবং এখনকার ইভিএম। মানুষ যদি আমাদের ভোট দিতে না চায় দেবে না। আমরা আসবো না ক্ষমতায়। 

তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনগনের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। কারন আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগন ও মাটির দল। 

তিনি বলেন, ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান আর্মি রুলস এবং সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে এ দেশে ভোট কারচুপির সংস্কৃতিটা শুরু করে। এভাবেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে সব সময় ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। ভোটের পার্সেন্টেজের দিক থেকে কখনো পেছনে ছিলনা। কিন্তু বার বার ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে পেছনে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

আর শত্রুরা কখনো ক্ষতি করতে পারেনা যদি ঘরের শত্রু বিভীষণ না হয়- এটাই বাস্তবতা। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে এটা সব সময়ই দেখা গেছে। টো সব থেকে দুর্ভাগ্য ও দুঃখজনক বিষয়। 

ষড়যন্ত্রকারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় যেতে চান কিন্তু ভোট চাইতে পারেন না। বা সমার্থ নেই কিন্তু আকাংখা আছে তারাই চাইবে এ দেশের স্থিতিশীলতা এবং গনতন্ত্র ধ্বংস করতে। কারন সামরিক জান্তার পকেট থেকে ক্ষমতায় বসে যে সমস্ত দল গঠন হয় তারা গণতন্ত্র দিতেও পারেনা, চর্চাও করেনা, বোঝেও না। 

“আওয়ামী লীগ সব সময় ভোটের মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয়

ক্ষমতায় এসেছে, পেছনের দরজা দিয়ে নয়”


যারা খুনের রাজনীতি করে, মানুষককে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করে তাদের সেই রাজনীতি মানুষকে পূনুরায় স্মরন করিয়ে দেয়া উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটা দলের তো একটা নেতৃত্ব থাকতে হয়। তাদের নেতৃত্ব কোথায়? দুজনই সাজাপ্রাপ্ত। একজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা,দুর্নীতি,২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত। এ নেতৃত্বে চলছে বিএনপি। এর সঙ্গে ডান,বাম,অতি বাম এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও অনেকে গাটছাড়া বাধতে চেষ্টা করছে।

একটা অলটারনেটিভ থাকা উচিৎ। তারা যদি সুসংগঠিত হতে পারে হোক। তবে, তারা কেবল দেশের বদনাম বিদেশীদের কাছে করে বেড়ায়। যেন তাদের আকাংখা বিদেশ থেকে এসে কেউ করে দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। 

এগুলো অতীতে হয়েছে। এখনকার বাংলাদেশ আর সেটা নয়। 

দেশে রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায়, আমাদের অপরাধটা কি? কোথায় আমরা ব্যার্থ হয়েছি? 

তিনি এ সময় খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ন হবার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের নিজের পায়ে দাড়াতে হবে। কেননা বিশ্বব্যাপী মন্দা। তা আরো বাড়তে পারে। আমাদের দিকেও আসতে পারে। কাজেই সতর্ক হতে হবে।


শেয়ার করুন