২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৭:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


অ্যাসাইলাম অফিসারদের অধিকহারে ফ্রড ডিটেকশনে ব্যবহার করা হবে
মঈনুদ্দীন নাসের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১১-২০২২
অ্যাসাইলাম অফিসারদের অধিকহারে ফ্রড ডিটেকশনে ব্যবহার করা হবে


অ্যাসাইলাম ডিভিশন যেভাবে কোনো অ্যাসাইলাম প্রার্থীকে প্রোটেকশন দেয়ার পরিবর্তে ফ্রড ধরার দিকে অধিক শ্রম ও অর্থ হয় করছে, তা রীতিমতো ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নিদের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যাসাইলাম ডিভিশনে সাম্প্রতিককালে চাকরির বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা এই বিভাগে চাকরির আবেদন করবেন, তাদের ফ্রড ধরা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যেসব অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে-

- কোনো দেয় ডকুমেন্ট সঠিক কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফ্রড ডিটেকশনে সহায়তা করতে হবে।

- আবেদনকারী ও সাক্ষীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে তাদের তথ্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করতে হবে।

- জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য ডাটাবেস থেকে ও অন্যান্য রেকর্ড থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে আবেদনকারীকে যাচাই করতে হবে। 

- সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তথ্যাবলি অনুসন্ধান করে সত্যিকার বিষয়গুলি দেখেশুনে আনুষ্ঠানিক লিখিত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। 

আর ওসব তথ্যাবলি পূরণ করে কেউ যদি প্রার্থী হতে চায়। তার পক্ষে তা কখনো সম্ভব হবে না। এছাড়া এসব গুণের জন্য কেউ যোগ্য হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করেন না। তাকে কোনো হায়ারিং কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করা হবে না। কেন ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নিকে ফ্রড ধরার জন্য বা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। 

একসময় ইমিগ্রেশন অফিসারদের শেখানো হতো, তারা একদিকে আইনপ্রয়োগকারী অফিসার। অন্যদিকে প্রোটেকশন অফিসার। তারা আইন প্রয়োগ করলেও প্রথমত তারা প্রোটেকশন অফিসার। কিন্তু এখন নতুন চাকরির নোটিশে তাদের প্রথমত ফ্রড ডিটেকশন অফিসারে পরিণত করছে।

আগে অ্যাসাইলাম অফিসারের চাকরির জন্য যেসব শর্ত দেয়া হতো, তাতে ছিল কাউকেও ইমিগ্রেশন বেনিফিটের জন্য সহায়তা করা। তার দেয়া ডকুমেন্ট পরীক্ষা করা- তা সত্যি কিনা এবং গবেষণা ও বিশ্লেষণ করে যোগ্যতা নির্ধারণ করা। ইমিগ্রেশন ল’ ব্যাখ্যা করে প্রয়োগ করা এবং কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে তা যথার্থ কিনা তা বিশ্লেষণ করে তার যোগ্যতা নির্ণয় করা। 

এই বিষয়টা পরিবর্তিত হয়ে এসেছে ট্রাম্পের আমল থেকে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন অ্যাসাইলাম কর্মসূচিকে ধ্বংস করতে চেয়েছে বরাবর। তারা অ্যাসাইলামকে ঘৃণা করে। তারা সে জন্য ইমিগ্রেশন জাজদের ওপর নির্ভর না করে অ্যাসাইলাম অফিসারদেরকে প্রচলিত সিস্টেমে উদ্ধার কাজে লাগায়। দীর্ঘদিন অ্যাসাইলাম অফিসাররা আবেদনকারীদের সফলতা অর্জনের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করতো; কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেটি ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এখন বাইডেন প্রশাসনে এসেও তার পরিবর্তন হয়নি। 

শেয়ার করুন