২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


গোপনে সমঝোতার নির্বাচন চায় সরকার
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৯-২০২২
গোপনে সমঝোতার নির্বাচন চায় সরকার নির্বাচন কমিশনের ব্যালটবক্স নিয়ে ক’জন সদস্য কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন/ফাইল ছবি


আরেকটি সমঝোতার নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি’র বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।  ভবিষ্যতে আরো কঠোরতা দেখিয়ে বিএনপি’কে এ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যেতে বাধ্য করতে চায় সরকার। এ কাজটি অতীতের মতোই সুচারুভাবে করতে আইন শৃংখলা বাহিনীর চেয়ে নিজ দল ও তার অঙ্গ সংগঠনকে মাঠে রাখতেই আগ্রহী বেশি। খবর সংশ্লিস্ট সূত্রের। 

সরকার কি করছে?

ক্ষমতাসীন সরকার এখন তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছে। আর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিএনপি’কে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়ে আসা। এ ব্যাপারে তারা দেশে বিদেশে বিভিন্ন পক্রিয়ায় বিএনপি’কেই নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করাতে ব্যস্ত। দেশের ভেতরে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক এমনকি কূটনৈতিক পদক্ষেপও নিচ্ছে। বিএনপি যাদের মিত্র বলে মনে করে তাদের দিয়ে সরকার এদেরকে (বিএনপি)’তে রাজি করাতে চায়। এটি বাস্তবায়নে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষমতাধর ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র সব্বাইকে ব্যস্ত রেখেছে সরকার।

এব্যাপারে সরকার যেমন নমনীয়তা দেখাচ্ছে তেমনি কঠোরও হচ্ছে। সরকারের কঠোরতার নমুনা দেখা গেছে ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ধরনের এ্যাকশনে। বিএনপিসহ কারো বাদ প্রতিবাদে বা রক্তচক্ষুতে যে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই তা প্রমাণ মিলেছে এ-দুই এলাকাসহ সারা দেশে বির্ভিন্ন ধরনের এ্যাকশনের মাধ্যমে। অন্যদিকে বাকি এলাকাগুলোতে হতাহতের মতো ঘটনা না ঘটলেও  বিএনপি’র বিভিন্ন কর্মসূচিতে কোনো না কোনোভাবে বাধা দিয়ে জানান দিয়ে সরকার। প্রমাণ করতে চেয়েছে সরকার তারা কঠোর থেকে আরো কঠোর হতে ভ্রূক্ষেপ করে না।

যদিও বিরোধীদের ওপর হামলা নিয়ে যে অভিযোগ করছে বিএনপি সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধীদল যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য নাকি মাঠ খালি করতে হামলা করা হচ্ছে, বিএনপি মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য হাস্যকর, নির্লজ্জ মিথ্যাচার। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে চলে এসেছে যে তারা এখনই জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পাঠটি চুকিয়ে ফেলতে চায়, টেবিলের নিচে একটি গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে।


এটি মাথায় রেখে সাধারণ সম্পদক বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারাইতো মাঠে নামতে ভয় পায়, আন্দোলনের ডাক দিয়ে তারা ঘরে বসে থাকে, আমরা বারবার চেয়ে এসেছি বিএনপি নির্বাচনে আসুক’, যোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে ভালো একটি নির্বাচন হোক তা চায় মনে প্রাণে। ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নির্বাচন খুব বেশি দূরে নয়, আপনারা জোট করুন বা নিজেরা একা আসুন সেটি আপনাদের ব্যাপার। যদিও সরকারি দল যে বিএনপিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চায় সেব্যাপারে আওয়ামী লীগের ব্যাথ্যা নেই। কারণ একদিকে সরকার বলেছেন বিএনপি’কে তারা বাধা দেবে না কর্মসূচি পালনে কিন্তু মাঠের চিত্র ভিন্ন।

তবে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকার কেন বিএনপিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে যাবে? কোনো সরকারি দল কি চায় দেশকে অস্থির করতে, দেশে সংঘাতপূর্ণ একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে? শেখ হাসিনা সরকার শান্তি ও স্বস্তি চায়। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়- এমন সংহিসতার পেছনে মদদ কার? কারা বিএনপি’র মিছিল বা কর্মসূচি শুরু না হতেই গুলি করে বসে। আসলে জানা গেছে কঠোরতার পাশাপাশি নমনীয়তা দেখিয়েও বিএনপি’কে তাদের (সরকারের) ছক মতো চলতে বাধ্য করবে। সম্প্রতি নানান ধরনের সুমিষ্ট কথা বলে বিএনপিসহ কাছে টেনে নিতেও কৌশল রয়েছে সরকারের। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক, আওয়ামী লীগ খালি মাঠে গোল দিতে চায় না। প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী হলে নির্বাচনও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে।


শেখ হাসিনার সরকার ভালো একটি নির্বাচন বাংলাদেশে চায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান সরকার তাদের অধীনে এমন নির্বাচন কি জাতিকে উপহার দেবে যাতে অংশ নিয়ে বিএনপি জয়ী হলে তাদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে? তেমন গ্যারান্টির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে না। বরং তারা জোড় দিয়ে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে পরাজিত করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন হচ্ছে এমন গ্যারান্টি দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসে কিভাবে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার তার ছকেই নির্বাচনে বিএনপি’কে আবদ্ধ করতে চায়।

কেনো সমঝোতায় যাচ্ছে না বিএনপি?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক, আওয়ামী লীগ খালি মাঠে গোল দিতে চায় না। প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী হলে নির্বাচনও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। কিন্তু তারপরে কেনো বিএনপি আওয়ামী লীগের ডাকে সাড়া নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছে না? কিংবা টেবিলের নিচে গিয়ে সরকারের সাথে গোপনে সমঝোতায় যেতে রাজি হচ্ছে না?  কারণ সরকারের একটি বিশেষ গ্রুপ এখন ব্যস্ত নানান কৌশল নিয়ে। তারা নানান ধরনের সমঝোতার ঢালি সাজিয়ে বিএনপি’র কাছে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি কেনো রাজি হচ্ছে না তা নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন এর পেছনে একটি নির্মম ইতিহাস রয়েছে। তা হলো ২০১৮’র সমঝোতার নির্বাচন। যাতে বিএনপি খুব ভালোভাবে প্রতারিত হয়েছে।  

কি হয়েছিল ২০১৮ তে?

২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুরু হতে এখন আরো অনেক মাস বাকি। কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সময়কে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সব ফয়সালা করে ফেলতে চায়। শুধু মাত্র নির্বাচনকে মুখ রক্ষার খাতিরে আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। যেমনটা করেছিল ২০১৮’র জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এবারও সেপথে এগুতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দেশে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় চলে আসলেও অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। যদিও এই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে বড়ো ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিয়ে অংশ নিতে ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

এমনও বলা হয়ে থাকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি যেনো অংশ নেয় সেব্যাপারে দেশের ভেতরে বেশ কয়েকটি থিংক ট্যাংক যেমন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে তেমনি বাইরের সব শক্তিধর দেশ তা চেয়েছিল। সে কারণে বিএনপি ২০১৮ নির্বাচনে বলা চলে বাধ্য হয় তাতে অংশ নিতে। তবে সে নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি’কে কিছু আশ্বাসও দেয়া হয়েছিল।  শোনা যায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি’কে অন্ততপক্ষে ২৫টি আসন দেয়া হবে। কিন্তু যাদের মাধ্যমে বিএনপি ঐ নির্বাচনে বিএনপি’কে রাজি করানো হয় তারা বিপত্তিতে পড়ে।


কারণ নির্বাচনে আাওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মাত্র সাতটি আসন পেয়ে শেষ সংসদে যেতে হয়েছিল। জানা গেছে, সাতটি আসন পেয়ে যেনো মহাকারচুপির অভিযোগ এনে ২০১৮ সালে নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করার ব্যাপারে বিএনপি’কে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সেসময়ে এক্ষেত্রে নিজস্ব রাজনৈতিক কারিশমায় বিএনপি’র একটি অংশকে কব্জায় এনে সাতটি আসন নিয়েই সংসদে যেতে একপ্রকার চাপ প্রয়োগ করে বাধ্য করে ফেলে। 

বর্তমান অবস্থা ভিন্ন

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো এই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল । আর একারণে সে প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের বেশ কয়েকটা তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। এনির্বাচনে অসম্ভব রকমের নিয়ন্ত্রিত ও একগুয়েমি লক্ষ্য করা গেছে দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কারণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি দলকে কোনো নেতাকে আসনটি ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে ছাড় দেয়াতে পূর্ব পরিকল্পনা মতে ছেড়ে দেয়াতে রাজি করানো গেলেও স্থানীয় প্রশাসন তা শোনেনি। ফলে সারা দেশে ২৫টি আসন দেয়ার আসন দেয়ার পূর্ব পরিকল্পিত ছক ভেস্তে যায়। এছাড়া অনেক স্থানে প্রশাসন পূর্ব পরিকল্পনা মতে, বিএনপি’কে নির্ধারিত আসনটি দেয়ার ব্যাপারে সক্রিয় হতে গিয়েও বিপাকে পড়ে।


কারণ স্থানীয় আওয়ামী লীগ সেক্ষেত্রে প্রশাসনকে সহায়তা করেনি। ফলে এখানেও বিপত্তি বাধে। আর এমন সব ঘটনা পাল্টা ঘটনায় বিএনপি’ না চাইলেও সারা দুনিয়ায় প্রকাশ পেয়ে যায় যে ২০১৮ নির্বাচনটি দলীয় সরকারের অধীনে নিয়ন্ত্রিত এবং একচেটিয়াভাবেই হয়েছে। অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দিনের ভোট রাতেই হয়ে গেছে। আর এমন অনেক প্রশ্ন এবং অভিযোগ মাথায় নিয়ে টানা তৃতীয় বার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। আর এতে করে ২০১৮ সালের টেবিলের নিচে এমন সমঝোতার ফলাফলে বিএনপি হতাশ হয়ে পড়ে।


দলে যারা এমন প্রক্রিয়ায় ছিল তারা এখন আর সরকারের এখন কেনো ধরনের কথায় বা আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছে না। জানা গেছে, বিএনপি কোনো পক্ষই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে ঝুঁকি নিতে চায় না। তারা মনে করে এসরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাউকে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করলে ভবিষ্যতে দলে ও দেশে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে। বিএনপি’র রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া বিএনপি বিশ্বাস করে যে এব্যাপারে যেনেতেনভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে সরকার আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ইমেজ সঙ্কটে পড়বে। বিশ্বের এমন টালমাটাল অবস্থায় আওয়ামী লীগ এমন ঝুঁকি নেবে বলেই বিশ্বাস তাদের।  আর একারণে বিএনপি এখন পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মারাত্মকভাবে অনড় আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ পড়েছে বিপাকে। 

শেষ কথা

বিএনপি’র কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দলটির নেতা কর্মীরা একের পর এক লাশ হচ্ছে আর অন্যদিকে মামলায় জড়িয়ে পড়ছে। সারা দেশে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বলা চলে মামলা হামলা ভয়ে ভীত হয়ে আছে। কিন্তু এতো কিছুর পরও দলটি তাদের একের পর এক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বলা চলে বিরোধী দল হিসাবে মাঠের ক্ষমতার জানান দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। অন্য দিকে সরকার বিএনপি কৌশল টের পেয়ে চুপ করে বসে নেই। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের নানান কৌশলে চাপ আর কঠোরতায় বিএনপিও অনড় অনমনীয়। আর অন্যদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে মাঠে নামা বা থাকার ঘোষণা দিয়ে পুরো দেশের জন্যই কী বিপদ ডেকে আনতে যাচ্ছে তা নিয়ে দেশের সচেতনমহল চিন্তিত। এঅবস্থায় দেশে আসলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা দেখতে মনে হয় না বেশি সময় লাগবে- এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

শেয়ার করুন