০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ৬:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন


প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাসের দাবি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাসের দাবি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ


ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ার রিট্জ কার্লটন হোটেলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাস করার জন্য আবারও জোর দাবি জানান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক নবেনদু দত্ত, শিতাংশু গুহ, রূপকুমার ভৌমিক, ড. দিলীপ নাথ, শুভ রায় ও যুক্তরাষ্ট্রস্থ জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শ্যামল চক্রবর্তী। গত বছর নিউইয়র্কে সাক্ষাৎকালে এবং সম্প্রতি প্রেরিত স্মারকলিপিতে উল্লিখিত দাবির পুনরাবৃত্তি করে প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মূলত দুটি দাবি জানান। প্রথমটি ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাস করা এবং দ্বিতীয়টি আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় ২০২২ সালের পুজোর সময়কার মতো নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

প্রধানমন্ত্রী ২০০১-২০০৬ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং অওয়ামী লীগ কর্মী ও নেতৃবৃন্দের ওপর সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করলে অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, সাহাবউদ্দীন জজ কমিশন ২০১১ সালে ওই সব অপরাধীর তালিকা সরকারের কাছে জমা দিলেও তাদের বিচার প্রক্রিয়া এখনো শুরুই হয়নি। ড. দিলীপ নাথ সম্পূরক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন যে, প্রচলিত আইনে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের বিচার এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন ঠেকানো সম্ভব নয়, এজন্য সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাস করার কোনো বিকল্প নেই। শিতাংশু গুহ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তাই দেশে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধ সংখ্যলঘু নির্যাতন চিরতরে বন্ধ করার জন্য আপনার কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা এবং দাবি অত্যন্ত যুক্তিসংগত। এই দাবিগুলো পূরণ করে সংখ্যালঘু নাগরিকদের চিরস্থায়ী নিরাপত্তা বিধান আপনাকেই করতেই হবে। একইভাবে রূপকুমার ভৌমিকও প্রধানমন্ত্রীকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যুগ যুগ ধরে চলমান সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সমস্যার একটি টেকসই সমাধানের দাবি জানান।  

সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী মনোযোগ সহকারে সবার বক্তব্য শোনার পর ৩০ মিনিট ধরে কথা বলেন। তার শাসনামলে দেশে পূজার সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এবারের পুজোর সময়ও কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে বলে প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদের বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে, কারো নিজেকে ‘সংখ্যালঘু’ মনে করার কারণ নেই। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো অঙ্গীকার না করলেও পুরো বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে শোনেন এবং গত ১৫ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণে তার সরকার কী কী করেছে, তার একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। 

শেয়ার করুন