০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:৩৮:১২ অপরাহ্ন


আতিকুর রহমান সালুর স্মরণসভায় বক্তারা
বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতের বিরোধিতা করতে হবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০১-২০২৪
বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতের বিরোধিতা করতে হবে অনুষ্ঠানে সুধীর একাংশ


বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারত যদি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড করে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিবাদ এবং বিরোধিতা করতে হবে। আতিকুর রহমান সালু দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই ফারাক্কা নিয়ে লড়াই করেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। তার সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। গত ৭ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালুর সর্বজনীন স্মরণ সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।

আতিকুর রহমান সালু শোক পালন কমিটি আয়োজিত সর্বজনীন শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং আতিকুর রহমান সালুর সহযোদ্ধা আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান। সদস্য সচিব আলী ইমাম শিকদার, যুগ্ম সদস্য সচিব সাংবাদিক ইমরান আনসারী ও মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্যাহ, আজকাল সম্পাদক মনজুর আহমদ, আজকাল পত্রিকার প্রকাশক শাহ নেওয়াজ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাংবাদিক মাহমুদ খান তাসের, ওয়াহিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোর্শেদ আলম, ইকবাল হায়দার, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, ফার্মাাসিস্ট নূরুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ডা. বিল্লাহ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা জামান তপন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, সন্দ্বীপ সোসাইটির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, আক্তারুজ্জামান হ্যাপি, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল হক মিলন, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাঈম টুটুল, দেলোয়ার হোসেন শিপন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা সউদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিবিদ মাফ মিসবাহ উদ্দিন, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সবুজ, রফিকুল মাওলা, আনোয়ার হোসেন লিটন, তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, আমিন মেহেদী বাবু, জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর সৈয়দ আজাদ, সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, সালেহ আহমেদ মানিক, ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারি কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন মজুমদার, নাজমুল আলম শ্যামল, বেলাল মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আতিকুর রহমান সালুর লেখা কবিতা পাঠ করেন মোহাম্মদ সাদেক। এবং দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ফায়েক উদ্দিন।

প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারত যদি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড করে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিবাদ এবং বিরোধীতা করতে হবে। আতিকুর রহমান সালু দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই ফারাক্কা নিয়ে লড়াই করেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। তাঁর সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতিজনক বঙ্গবন্ধুর সময় আমাদের ফাক্কার পানি চুক্তি হয়েছিল ভারতের সঙ্গে, পরবর্তীতেও চুক্তি হয় কিন্তু ভারত কখনো আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়নি। রাষ্ট্র কখনো এর প্রতিবাদ করতে পারেনি, তবে এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধী দল। এসবের বিরোধিতা করতে হলে দেশে গণতন্ত্র থাকতে হবে এবং গণতান্ত্রিক সরকার থাকতে হবে। তিনি বলেন, আতিকুর রহমান সালুর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে কিন্তু তিনি ছিলেন এক খাঁটি দেশপ্রেমিক। তিনি প্রবাসের রাজনীতি নিয়ে বলেন, প্রবাসে প্রায় দেড় লাখ প্রবাসী রয়েছেন তারাও দেশের ন্যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে বিভক্ত। দেশের স্বার্থে আমরা এক হতে পারছি না। এ নিয়ে চিন্তাভাবনার সময় এসেছে।

সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের বলেন, আতিকুর রহমান সালু সবকিছু স্বচ্ছভাবে দেখতে পারতেন। আল্লাহ তাকে সেই রাডার দিয়েছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, এটাই করতেন এবং বলতেন। তিনি বলেন, আমি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বলেন,. এখন ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজকেও একজন বললেন মাওলানা ভাসানী উর্দু জানতেন না, এটা ঠিক নয় তিনি কয়েকটি ভাষা জানতেন। পরে তিনি আতিকুর রহমান সালুকে নিয়ে তার বন্ধুর লেখা ড. মনিরুল কাদের মির্র্জার অসমাপ্ত একটি কবিতা পাঠ করে শুনান।

ফখরুল আলম বলেন, আমরা শুনে আসছি মৃত্যু নাকি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে কিন্তু আজকে আমার কাছে তা মনে হচ্ছে না। কারণ আমি এখানের উপস্থিতিতে বিভাজনের চিত্র দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন, অসুস্থ্য আতিকুর রহমান সালুকে আমরা কয়জন দেখতে গিয়েছি? আমারও যাওয়া হয়নি, তকে তার মেয়ের মৃত্যুর পর গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আতিকুর রহমান সালু একজন সংগ্রাসী মানুষ ছিলেন। সারা জীবন অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

সভাপতি সৈয়দ টিপু সুলতান অনুষ্ঠানকে সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন