২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:১৪:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা
আজকে শপথ হোক হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
আজকে শপথ হোক হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চে অতিথিবৃন্দ


যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, আজকের এই দিনে আমাদের শপথ হোক স্বৈরাচার শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জনতার বিপ্লবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্ত হয়েছিলেন এবার জনতার বিপ্লবে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বীরদর্পে বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের কাবাব কিং রেস্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট জামাল আহমেদ জনির সভাপতিত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন সবুজ এবং শফিকুর রহমান দুলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শিল্পী বেবি নাজনীন। গেস্ট অব অর্নার ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য রিটা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভূইয়া, সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া, সাংবাদিক সাঈদ তারেক, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, ফিরোজ আহমেদ, হেলাল উদ্দিন, ছৈয়দুল হক, বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ সভাপতি আলী ইমাম শিকদার, বরিশাল বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ডা. আব্দুস সবুর, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক মহিলা সম্পাদিকা সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, রফিকুল মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম, বিএনপি নেতা ফারুক চৌধুরী, শেখ শাহজাহান, সৈয়দ আকিকুর রহমান ফারুক, ফারুক হোসেন মজুমদার, জাফর তালুকদার, পারভেজ সাজ্জাদ, মোহাম্মদ সোহেল, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাকির হাওলাদার, মিজানুর রহমান মিজান, আবুল কাশেম, আশরাফুজ্জামান, মির্জা আজম, তৌহিদ খান, শেখ সিদ্দিক প্রমুখ।

শিল্পী বেবি নাজনীন বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের প্রাণের নেত্রী, আমাদের মা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে তার স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা বের করে দেয়। সেই কথা আমরা ভুলে যায়নি। একদিন এর বিচার বাংলাদেশে করা হবে। তিনি বলেন, বিচারের আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই আন্দোলনে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে। এই সরকারের পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন তাহলে বুঝবেন আন্দোলন কাকে বলে এবং কত প্রকার ও কি কি। তফসিল ঘোষণা করার সাথে সাথে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না।

মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া বলেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জনতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, এবার জনতার বিপ্লবে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি সম্পর্কে বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে, তাকে আমরা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, আমি কখনো বলিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দেব না। আমি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দেব। তিনি আরো বলেন, আপনারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে অনুষ্ঠান করছেন, আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো।

সভাপতি এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি অনুষ্ঠান সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে শকুনের থাবা পড়েছে। শেখ হাসিনার সেই থাবায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে, গণতন্ত্র শ্মশানে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। আমাদের সেই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সেই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা পাবে যেদিন বিএনপির চেয়ারপার্সন মুক্ত হবেন। স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বিপ্লব ও সংহতি দিবস নিয়ে বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো। শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, চেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। যে কারণে তিনি পাক বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমান জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে কোন কোন বক্তা বলেন, ১২ বছর হলো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি নেই। কিন্তু কেন? বিশ্বের অনেক দেশেই কমিটি দেয়া হয়েছে, আমাদের কমিটি কেন দেয়া হচ্ছে না? তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই রাজনীতি করছি কিন্তু আমাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ১৮টি স্টেট কমিটি দেয়া হয়েছে, সেখানেও আমাদের রাখা হয়নি। একতো বলেই বসলেন, ৪২ বছর রাজনীতি করছি, আর কত বছর রাজনীতি করলে আমি পদ পবো? যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি না থাকায় অনেক বক্তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন