২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৮:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দেশকে কাজী জাফরউল্লাহ
আওয়ামী লীগ চাচ্ছে ইনক্লুসিভ ইলেকশন
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৪-২০২৩
আওয়ামী লীগ চাচ্ছে ইনক্লুসিভ ইলেকশন কাজী জাফরউল্লাহ


আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেছেন, বর্তমান সরকার চাচ্ছে একটা ইনক্লুসিভ ইলেকশন। সবার অংশগ্রহণে দেশে একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকাকে এবিষয়ে তার মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। তার সঙ্গে কথা বলেছেন দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে সংলাপ করতে নির্বাচন কমিশন দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে আবারো আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর আগেও তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি এতে সাড়া দেয়নি, বরং এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণকে সরকারের নতুন কৌশল বলে ধরে নিয়েছে এবং এই সংলাপে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে তাদের অবস্থান অতি দ্রুত পরিষ্কার করেছেন। বিএনপি অবস্থান হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। বিএনপি আরো বলে থাকে সরকার বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশেও বাধা দিচ্ছে। বিএনপির ডাকা কর্মসূচির বিপরীতে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় কাজী জাফরউল্লাহর সঙ্গে।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী এবং দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। দীর্ঘদিন তিনি দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ফোরামেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া দলের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি প্রভাবশালী নীতিনির্ধারকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। কাজী জাফরউল্লাহ ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তৎকালীন ফরিদপুর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে এই আসনটিকে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর) আসন করা হয়েছে। এই আসনে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজী জাফরউল্লাহর স্ত্রী নিলুফার জাফরউল্লাহ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।  

দেশ : বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে একের পর এক না বলে চলেছে। এ বিষয়টি কীভাবে দেখেন। 

কাজী জাফরউল্লাহ : আমরা মনে করি, এটা তাদের নির্বাচনি কৌশল। সবাই তাদের ডাকছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশন তাদের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তারা ভাবছে যাবে না যাবে না ভাব দেখাইয়া তাদের এমনিতেই কিছু দিয়ে দেবে। কিন্তু আমাদের সংবিধানেতো বলা আছে ক্ষমতায় কীভাবে যেতে হবে। অতএব ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না। 

দেশ : কিন্তু আপনারা যদি আন্তরিক থাকতেন, তাহলে বিএনপির ডাকা কর্মসূচিতে বাধা দিতেন না। আপনারা বিএনপির ডাকা কর্মসূচির বিপরীতে নেয়া আপনাদের সভা সমবেশকে তারা পাল্টা কর্মসূচি হিসাবেই নিচ্ছেÑএমন অভিযোগ কীভাবে দেখেন?

কাজী জাফরউল্লাহ : না, এটা  মোটেও ঠিক না। আওয়ামী লীগ এতো বড়ো দল। তিন বার পরপর ক্ষমতায় এসেছে। আমরা বিশাল সম্মেলন করেছি। তাদের কর্মসূচি পালনে আমরা কোনো বাধাই দেয়নি। এটা একটা বাচ্চাও ছেলেও জানে। কথাটা বলতে চাচ্ছি এ কারণে যে আমরা তো তাদের নির্বাচনে আনতে চেষ্টা করছি। তো আপনাকে আমি বাড়িতে আমন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছি। সেখানে কি আমি আপনাকে গুন্ডা পাঠাইয়া পিটাবো? এটা করলে কি আপনি আসবেন? 

দেশ : আপনাদের দেয়া বা ইসির আমন্ত্রণ বিএনপি গ্রহণ না করাটা অসৌজন্যমূলক? 

কাজী জাফরউল্লাহ :  কোনটা?

দেশ : এই যে ইসির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে..কিন্তু বিএনপি সাড়া দিচ্ছে না..

কাজী জাফরউল্লাহ : না না..এটা ওদের ব্যাপার। আমরা এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমরা সাংবাদিক ভাইদের কাছে স্পষ্ট বোঝাতে চাই, যখন তারা প্রশ্ন করেন। আমরা বলতে চাই যে আওয়ামী কি চাচ্ছে? আওয়ামী লীগ চাচ্ছে একটা ইনক্লুসিভ ইলেকশন। সবার অংশগ্রহণে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। সে কারণে আপনারা সব সময় প্রশ্ন করেন। আর আমরাও উত্তর দিতে চেষ্টা করি। আমাদের পক্ষ থেকে মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা কেন কাউকে বাধা দেবো?

শেয়ার করুন