২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১০:০৩:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


অন্তর্র্বতীকালীন জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নতুন দৃষ্টান্ত
প্রতিহিংসার রাজনীতি উস্কে দিচ্ছে সরকার - আ স ম রব
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০১-২০২৩
প্রতিহিংসার রাজনীতি উস্কে দিচ্ছে সরকার -  আ স ম রব


নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার ঘটনাকে প্রতিহিংসার এক নতুন দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে দ্রুত মুক্তির দাবিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন গণমাধ্যমে নিন্মোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।


সরকার ক্ষমতার দাম্ভিকতায় গোপন অভিসন্ধি পূরণে বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের সাথে যে ধরনের অন্যায় আচরণ করছে, প্রতিশোধ এবং জিঘাংসাকে রাজনৈতিক পরিসরে যেভাবে বন্টন করছে তা প্রজাতন্ত্রের জন্য খুবই কলঙ্কজনক। গ্রেফতারকৃত বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জামিন প্রাপ্তির মৌলিক অধিকারকে বারবার অগ্রাহ্য করে আইনের শাসন ও সংবিধানকে অসহায় করার মাধ্যমে সরকার নিজেকে চরম কর্তৃত্ববাদী করে তুলছে।

রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা না করে, রাষ্ট্রীয় বল প্রয়োগ করা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বেরই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।


ক্ষমতা ধরে রাখতে বিরোধীদের হত্যা করা, ষড়যন্ত্র করে গায়েবী মামলায় আসামি করা, পুলিশের উপর বর্বরোচিত হামলা, উস্কানি দাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা এবং, দীর্ঘদিন অন্তরীণরাখাসহ মধ্যযুগীয় নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রনে রাখার সরকারের ঘৃণ্য অপসংস্কৃতি দেশে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।  


অতীতের দলীয় স্বৈরাচার, সামরিক আইন জারির বিভীষিকা, কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সায় গণতন্ত্র এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হননের অনিবার্য পরিণতিতে শাসকদের রক্তাক্ত পতন থেকে কোন শাসক শিক্ষা লাভ করছে না।


এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গণশাসনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রবিনির্মাণ করার রাজনীতি হাজির করাই আমাদের সকলের রাজনৈতিক কর্তব্য।


শেয়ার করুন