২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৩:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


‘নীলনকশা’র নির্বাচন জনগণ রুখে দেবে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৩
‘নীলনকশা’র নির্বাচন জনগণ রুখে দেবে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি


সরকার ও নির্বাচন কমিশনের একতরফা ‘নীলনকশা’র নির্বাচন জনগণ রুখে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গত ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পল্টনে মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, সরকার নাটক আর তামাশা করছে। এই নাটক আর তামাশা চলমান। এই যে মনোনীত নৌকা, ডামি নৌকা, স্বতন্ত্র নৌকা, বিদ্রোহী নৌকা-সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাসীদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন নাটক করছেন। এখন সরকার যা হুকুম দিচ্ছে কমিশন সেটাই করছে। সরকার মানুষের সামনে তামাশা করছে, নাটক দেখাতে চায়। ওরা (নির্বাচন কমিশন) স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সেই নাটক-তামাশা তারা দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশের মানুষ এই নাটক তামাশা হতে দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ এই তথাকথিত ও নীলনকশার নির্বাচন রুখে দেবে।

সাকি বলেন, আমরা দেখলাম নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন জেলা অফিস যে পরিমাণ মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে দেখলে মনে হবে ইসি বেশ স্বাধীনভাবে নির্বাচন করছে। আবার দেখা গেলো কি? নির্বাচন কমিশন ঘুরে সমঝোতা করে আবার সব মনোয়নপত্র বৈধ করা হলো। এই যে মনোনয়নপত্র বাতিল আবার মনোনয়নপত্র বৈধ করার যে তামাশা হচ্ছে তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

নির্বাচন করছে কে কে? ‘আমরা আর মামুদের’ নির্বাচন-এই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেবে না। এই তথাকথিত নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারণা করবেন-অনেক টাকায় পয়সা বানিয়েছেন, কিছু টাকা খরচ করবেন, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। এদের টাকা যদি জনগণের কাছে যায় সেটা ভালো। কিন্ত ‍৭ তারিখে এদেশের সংগ্রামী জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি বলেছেন, কেউ হামলা করলে নাকি মামলা হবে, গ্রেফতার হবে, শাস্তি হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বিরোধী দল কোনো হামলা করছে না, হামলা করছে এদেশের পুলিশ বাহিনী আর তার গুন্ডা বাহিনী। বাংলাদেশে এখন বড় সমস্যা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় যারা জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার কথা আজকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার তাদেরকে নিয়ে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র বানিয়ে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। এসব শাসন টিকবে না।

সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা ৩৬ ঘণ্টা দেশব্যাপী অবরোধের প্রথম দিনে সকালে গণতন্ত্র মঞ্চ রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে মিছিল করে এবং পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন বেলাল, নাগরিক ঐক্যের মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান প্র্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

‘নৌকার তলা ফুটা হয়ে গেছে’

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, আজকে ভোট ডাকাতরা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেরা শুরু করে দিয়েছে নতুন নাটক। অবস্থা এমন হয়েছে তারা ভাবছে নৌকাকে ডিসি-ইউএনও-ওসি জিতিয়ে নেবে। নৌকা ছাড়া বাকিদের তো কোনো পাত্তা নেই। লাঙ্গল নৌকায় উঠতে চায়, অন্যরা নৌকায় উঠতে চায়। আমরা বলতে চাই, এই নৌকার তলা আজ ফুটা হয়ে গেছে। এই ফুটা নৌকায় চড়ে গন্তব্যে যাওয়া যাবে না। পরিষ্কার কথা আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এই সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছে তাদের ওপর ক্র্যাক ডাউন চালাতে পারে । সেকারণে দলবাজ প্রশাসনের গোয়েন্দারা মাঝে মধ্যে বাসে আগুন দেয়, গাড়িতে আগুন দেয় যারা আন্দোলন করে তাদের ওপর দায় চাপাতে পারে। এসব করে মামলা দিয়ে কোনো লাভ হবে না, আন্দোলন দমানো যাবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতই বাহাদুরী করছে, যতই হুমকি দিচ্ছে জনগণ যদি রাজপথে নেমে আসে আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া পাবে না। এই সরকার ও তার নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আমাদের পরিষ্কার কথা শেখ হাসিনা সরকারকে যদি ৭ তারিখে নির্বাচন করতে হয় তাহলে আমাদের মতো এদেশের কোটি কোটি গণতন্ত্রকামী মানুষকে হত্যা করে নির্বাচন করতে হবে। আমরা যদি জীবিত থাকি আমাদের জান কোরবানি দিয়ে দিল্লীর পরামর্শে বাংলাদেশে একতরফা কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।

এছাড়া ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা দল, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, এলডিপি, লেবার পার্টি প্রভৃতি সংগঠন সকালে বিজয় নগর ও তোপখানা রোডে অবরোধের সমর্থনে আলাদা আলাদা মিছিল বের করে।

শেয়ার করুন