২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৩:৪৪:১৪ অপরাহ্ন


যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালন : দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২২
যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালন : দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত স্থায়ী মিশনে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে কেক কাটার দৃশ্য


দেশের ন্যায় প্রবাসেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থানীয় মিশন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটও দিবসটি পালন করেছে। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই, তারপর রয়েছে নানা সমস্যা। এসব সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতা। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন 

গত ২৬ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে নিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। কোভিড-১৯ জনিত কারণে দীর্ঘ বিরতির পর সবাইকে সাথে নিয়ে সশরীরে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণিল এই আয়োজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন পরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায়। 

অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সফররত মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভ‚তপূর্ব অগ্রগতি ও অসামান্য সাফল্য গাথা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে কৃষি, শিা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, নারীর মতায়ন, যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক বিনিয়োগ, ও পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিক। মাথাপিছু আয়, জিডিপির ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সূচক তুলে ধরেন তিনি। পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন। সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সকল আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তা উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রোপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ত্রিশ লাখ শহিদ আর দু’লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি লাল-সবুজের পতাকা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। দেশ গঠনে প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রবাস থেকে আরো অবদান রাখার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বস্ত নাম। আজ বিশ্ব শান্তিরা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন ল্য, নারীর মতায়নসহ বিভিন্ন েেত্র নেতৃত্বস্থানীয় ভ‚মিকা পালন করছে। জাতিসংঘ সদরদফতরে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ড, পিসবিল্ডিং কমিশন, অভিবাসনসহ বেশ কিছু সংস্থা ও প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব প্রদান করছে। এছাড়া বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাধারণ  পরিষদে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ রেজুলেশন পেশ করার করার েেত্র অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে। 

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরা মিশনে বাংলাদেশ এখন সর্বোচ্চ শান্তিরী প্রেরণকারী দেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ পদচারণার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণকালে এসডিজি বাস্তবায়নে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের এসডিএসএন  ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতিসংঘ প্রাঙ্গণের বাগানে জাতির পিতার নামে একটি বেঞ্চ ও একটি গাছ রোপণ করেছেন মর্মে উল্লেখ করেন তিনি যা জাতিসংঘ সদরদফতরে কোনো রাজনৈতিক নেতার নামে বেঞ্চ স্থাপন ও গাছ রোপণের প্রথম ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কবি, শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহসহ বরেণ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নিজেদেরকে আরো সম্পৃক্ত করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মিশন আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের প্রশংসাও করেন তাঁরা। সকলকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলে কেক কাটেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনার আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট 

 নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে যথাযথ মর্যাদায় ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয়  দিবস উদযাপন করে। স্বাধীনতা ও জাতীয়  দিবসের অনুষ্ঠান দু’পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্ব শুরু হয় সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। কনসাল জেনারেলের সভাপতিত্বে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের আলোকে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সকল সদস্যসহ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়ার মাধ্যমে প্রথম পর্ব সমাপ্ত হয়। 

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় কনস্যুলেটের মিলনায়তনে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভ‚তপূর্ব সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে সকলকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরো বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান। 

কনসাল জেনারেল তাঁর স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ বছরটিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের কুটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হওয়ায় তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি আগামী দিনগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাকি সম্পর্ক আরো গভীর ও সুদৃঢ় করার বিষয়ে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

উল্লেখ্য, অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ পদকপ্রাপ্ত ড. ডেভিড নেলিন, ডেভিড উইসব্রোড, সিনেটর জন ল্যু, অ্যাসেম্বলি উইমেন ক্যাটেলিনা ক্রুজ, অ্যাসেম্বলি উইমেন জেনিফার রাজকুমার, কাউন্সিল মেম্বার শাহানা হানিফ, বিচারপতি সোমা সাইদসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল, কুটনীতিক, স্বাগতিক দেশের কর্মকর্তারাসহ দুশতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, প্রবাসে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে মহিমান্বিত ও আনন্দঘন করেছে।

জাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২৬ মার্চ লং আইল্যান্ড এর কাবাব কিং মহল পার্টি হলে জাহাঙ্গীরনগর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা উদযাপন  করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, নতুন কার্যকরি কমিটির (২০২২-২০২৩) অভিষেক ও ক্যাম্পাসের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতকে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। এরপর নতুন কমিটির সকল সদস্য কে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ২০১৮-২০১৯ কার্যকরি কমিটির সভাপতি ম্যারিস্টেলা আহমেদ শ্যামলী। সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান ৭ম ব্যাচের শহীদউল্লাহ মানিক। নতুন কমিটির সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, কৃষ্টি, কালচারকে প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগরের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং অ্যালামনাইয়ের সকল সদস্যদের সব রকমের সহযোগিতার ল্েয যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেটিকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। এজন্য অ্যালামনাইয়ের সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করেন প্রেসিডেন্ট শমিত মন্ডল ও সেক্রেটারি দুররে মাকনুন নবনী। মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় সম্মিলিতভাবে দেশের গানের মধ্য দিয়ে। এরপর একে একে অ্যালামনাইয়ের সদস্য এবং প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগর পরিবেশন করে দেশের গান, নাচ ও আবৃত্তি। পাশাপাশি প্রজন্ম জাহাঙ্গীর নগরদের জন্য ছবি আঁকার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের পতাকা ও আমার দেশ এই দুই বিষয় নিয়ে আঁকা সবার ছবি উপস্থিত সকলের মন কেড়ে নেয়। অনুষ্ঠানটির বিশেষ আয়োজন ছিল ক্যাম্পাসের ফিস্ট। ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে আয়োজন করা হয় বিশেষ খাবার বা ফিস্ট। তার ই আদলে এই আয়োজন এত বছর পর পেয়ে সকল অ্যালামনাই অনেকটাই নস্টালজিক  হয়ে পড়েন। খাবারের পর পান খেয়ে হাসি আড্ডা আর ছবি তোলায় মেতে ওঠেন ১ম ব্যাচ থেকে ৪২ তম ব্যাচের সকল অ্যালামনাই। খাবারের আয়োজনে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন ইবনে রশীদ পাপ্পু ও জহিরুল ইসলামকে  ফিস্ট আয়োজনের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান সকল অ্যালামনাই। তড়িৎকর্মা ট্রেজারার প্রশান্ত মল্লিক অয়ন এরই মাঝে সকলের সাথে তার লেনদেন বুঝে নেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন- ম্যারিস্টেলা আহমেদ শ্যামলী, মেঘনা পাল, কবীর কিরণ, আফ্রোদিতি পান্না, তামান্না শবনম পাপড়ি, কানিজ রুমানা, শায়লা শারমিন, শ্যামলী সাহা, সেতু মল্লিক, হোসেন শাহরিয়ার তৈমুর, প্রজন্ম জাহাঙ্গীর নগরের মধ্যে ছিল- শৈলী, শ্রেয়ান, তাসবীহ, আয়াত, তাকওয়া, মৃন্ময়ী, আবৃত্তি, কৃতি, উন্নতি, জোয়া, পার্থিব, আবিদ, ফারজাদ, ইলিয়ানা, আয়ান ও রাইমা। অতিথি শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করেন তাহমিনা শহীদ ও সৈয়দ ফয়েজ। পুরো অনুষ্ঠানটির শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিল আরেক প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগর সিজান আহমেদ। মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শামীমারা বেগম।

শেয়ার করুন