২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:৫৮:৪২ অপরাহ্ন


আন্তর্জাতিক জেনোসাইড ও প্রতিরোধ দিবস পালিত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৩
আন্তর্জাতিক জেনোসাইড ও প্রতিরোধ দিবস পালিত প্রতিরোধ দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক জেনোসাইড ও প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর শনিবার জেনোসাইড ’৭১ ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র’র উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। এদিন র‌্যালি, মোমবাতি প্রজ্বলন, ‘আন্তর্জাতিক জেনোসাইড দিবসের তাৎপর্য ও একাত্তরে বাংলাদেশের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এদিন সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবিতে র‌্যালি, মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন শেষে ‘আন্তর্জাতিক জেনোসাইড দিবসের তাৎপর্য ও একাত্তরে বাংলাদেশের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ও কী নোট স্পিকারের বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেনোসাইড ’৭১ ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র’র সভাপতি ড. প্রদীপ রঞ্জন কর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক এম ফজলুর রহমান, নিনি ওয়াহেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, সাগর লোহানী, ড. ওবায়েদুল্লাহ মামুন, ক্লারা রোজারিও, অধ্যাপক হুসনে আরা, আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট শাহ মো. বখতিয়ার আলী, এমএ করিম জাহাঙ্গীর, আক্তার হোসেন, হেলাল মাহমুদ, জালাল উদ্দিন জলিল, আশরাফ, জাকির হোসেন বাচ্চু, রুমানা আখতার, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা, ৪ লাখের বেশি নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণহত্যাযজ্ঞের একটি। অথচ আজ অবধি তা জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়নি। একাত্তরে পাক হায়নাদের সেই নৃশংস গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি।

সভাপতির বক্তব্যে ড. প্রদীপ রঞ্জন কর বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক জেনোসাইড ও প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে এই রেজুলেশনে বাংলাদেশ এখনো অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। মেলেনি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। জেনোসাইড ’৭১ ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি আদায়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।

শেয়ার করুন