২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:০৪:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রদানের নিয়ন্ত্রণ ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৫-২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রদানের নিয়ন্ত্রণ ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া


বাংলাদেশের কত মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করে? হয়তো বড়জোর ৩% বা ৪%। অনেকে সেখানে প্রবাসী। এদের অনেকে আবার ডিবি লটারির সৌভাগ্যমান। দেশের কৃষক শ্রমিক আপামর জনতার যুক্তরাষ্ট্রে যাবার প্রয়োজন নেই।  তবে সরকারি আমলা, দুর্নীতিবাজ পেশাদার রাজনৈতিক অনেকেই সে দেশে অর্থ পাচার করেছে, সম্পত্তি ক্রয় করেছে, ছেলে- মেয়ে পড়াচ্ছে।  নির্বাচনকে উপলক্ষ করে এখন যে বিধি নিষেধ জারি করা হলো তাতে ভয় ওই শ্রেণীর লোকদের। ঘোষণাটি পড়লেই প্রতীয়মান হবে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায় দায়িত্ব প্রধানত সরকার এবং সরকারি দলের উপর বর্তায়। আর নিরপেক্ষ পরিবেশে জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে কি ঘটবে সেটি সবাই আঁচ করতে পারছেন। সরকার যদি সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করে তাহলে বিরোধী দল নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি নিবে না। তাহলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হলে জনগণ সরকার নির্বাচন করবে।  যত সহজে বলছি ঘটনাটি কিন্তু এত সহজ না।

দেখা যাচ্ছে ইদানিং যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স পাঠানো বেড়ে গেছে বহুগুণ।  করা পাঠাচ্ছে এই টাকা। তাদের তালিকা প্রনয়ন করে প্রকাশ করলেই জানা যাবে এগুলো প্রেরণকারীদের বৈধ আয় না বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ? জানা মতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার খরচ ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া থেকে অপেক্ষাকৃত  কম। তার পরেও বাংলাদেশের অনেক সাধরণস্তরে চাকুরীজীবী কিভাবে ছেলে মেয়েদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়া লেখার খরচ যোগায় সেটি অনুসদ্ধান করা যেতে পারে।  সবাই স্কলারশিপ পেয়ে পড়ছে না।

বাংলাদেশ থেকে শান্তি মিশনে সেনাবহিনী, পুলিশের অনেক কর্মকর্তা কাজ করে ভাগ্য ফেরায়। এখন যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো অজুহাতে আমেরিকার সক্রিয়তায় তাদের সুযোগ হারায় সেটি হবে দুঃখজনক। পরিস্থিতি আরো সংকটময় হলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি সীমিত হতে পারে। সবচেয়ে সংকট থাকবে দুর্নীতিবাজচক্র যারা সেদেশে অর্থ পাচার করেছে।

সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ট, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে দুই কুল রক্ষা হবে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাকে বাংলাদেশের জন্য কলঙ্ক মনে করি। তবে এর ভালো দিক আছে। আশা করি সবাই সংযত হবে।

শেয়ার করুন