বাংলাদেশ একটি দেশ যে দেশ কোনদিন ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি, হবেও না। সে দিক থেকে আমাদের অর্থনীতি ভিত্তি অনেক মজবুত। সেটা আমি বলে রাখতে চাই, আমরা অত্যন্ত সতর্ক।’ কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার জাতীয় সংসদের ১৭ তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে। এর আগে সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের তার বক্তব্যে শ্রীলংকার অর্থনীতির শঙ্কার প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মত হতে পারে বলে- আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ‘এটা বাস্তব। তবে আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে এ পর্যন্ত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যত ঋণ নিয়েছি। তা সময়মতো পরিশোধ করেছি।
জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরের সংবিধান নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য হলো এমন একটি দলের কাছে সংবিধানের বিষয়ে শুনতে হচ্ছে- যে দলটি ক্ষমতায় এসেছিল সংবিধান লংঘন করে, ক্ষমতা দখলের মধ্যে দিয়ে মার্শাল ল' জারি করে। মার্শাল ‘ল’ মাধ্যমে যাদের জন্ম, যার নেতা ক্ষমতা দখল করেছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কে বিদায় দিয়ে। সেনাপ্রধান হয়ে গেলেন রাষ্ট্রপ্রধান। যে সংবিধান স্থগিত করে ক্ষমতায় এসেছিল- তার থেকে আজকে আমাদের সংবিধান শিখতে হচ্ছে সংবিধানের ব্যাখ্যা শুনতে হচ্ছে।
দ্রব্যমুল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে করোনা তারপর ইউক্রেনের যুদ্ধ। সমস্ত ইউরোপে সাড়ে সাতভাগের উপরে মূল্যস্ফীতি। এ ক্ষেত্রে কোন কোন দেশে আশিভাগ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এটা হচ্ছে একটা করোনার ধাক্কায় আরেকটা যুদ্ধের ধাক্কায়। সেখানে বাংলাদেশ ছয় ভাগের নিচে আছে মূল্যস্ফীতি।