২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০৭:৪১:০৯ অপরাহ্ন


ঠাকুরগাঁওয়ে সফরকালে মির্জা ফখরুল
‘শুধু আভাসই নয়, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হতে বাধ্য’
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৫-২০২২
‘শুধু আভাসই নয়, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হতে বাধ্য’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ফাইল ছবি


‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটি সম্পুর্ণ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাদের সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতা,দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,টাকা পয়সা লুট,অর্থনীতিকে ধ্বংস, করে দেয়ার কারনে কালবিলম্ব না করে অচিরেই পদত্যাগ করা উচিৎ। 

এতে দেশের মঙ্গল হবে,জনগনও স্বস্তি পাবে’ কথাগুলো বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ে সফরকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেণ,‘শুধু আভাসই নয়, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হতে বাধ্য। কারণ হচ্ছে, একইভাবে এখানকার অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। এখানে ঋণ এর বোঝা জনপ্রতি ৪৭২ ডলার করে পড়েছে। ওখানকার মতো পরিস্থিতি এখানেও দেখা দেবে। মুদ্রাস্ফীতি এত বাড়বে যে অর্থনীীত ধ্বংস হয়ে যাবে।’ 

তিনি বলেন,‘২০১৪ সালের নির্বাচনে কী হয়েছে আপনারা তা জানেন। ১৫৪ জরকে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত করেছে। একইসঙ্গে সাধারণ ভোটারররা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। তারা নিজেরাই ভোট দিয়ে নির্বাচিত হয়। আসলে নির্বাচন হতে হবে জনগনের ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে।


তারা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে সুযোগ করে দিতে হবে। এ কারনে অতীতের ঘটনা থেকে আমরা দেখেছি, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন কখনো সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য গতে পারে না। সে কারনেই বলতে চাই এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গছনের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে।’ 


বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘সরকারের বিরুদ্ধে দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচি দিচ্ছে। আজকে যুগপৎ আন্দোলন তৈরির সময় এসেছে। ১৯৯৬ সালে সংবিধানে 


তত্বাবধায়ক সরকারের কথা উল্লেখ ছিল না। কিন্তু জনগনের চাহিদা অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সংবিধানে তা সন্নিবেশিত করেছিলেন। তিনি জনগনের পক্ষের মানুষ। তিনি এ সময় বলেণ, জনগন চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। 


তাই জনগণের দাবি অনুযায়ী তত্বাবধায়ক সরাকের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। না হলে দেশে বিপরীত পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।’ 



শেয়ার করুন