২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:৫৭:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ
সরকার গঠনের পথে আওয়ামী লীগ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০১-২০২৪
সরকার গঠনের পথে আওয়ামী লীগ


টানা চতুর্থবারের মতো নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠনে চোখ আওয়ামী লীগের। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অনুষ্টিত হওয়া ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২২ আসনে বিজয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের নিকটতম দল জাতীয় পার্টি। তাদের আসন সংখ্যা ১১। এছাড়া স্বতন্ত্র ৬২ ও অন্যান্য দল পেয়েছে বাকী ৩ আসন। দুইটি আসনে ভোট স্থগিত।


এরই মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি আটবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এবারের নির্বাচনটিতে বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগসহ অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ছিল না আগে থেকেই। ভোটে নামার পরই আসন ভাগাভাগি হয় শরিক ও মিত্র দলগুলোর মধ্যে। এতে শুরুতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার চরিত্র হারায় নির্বাচন। তবে যারা স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছেন তারাও আওয়ামী লীগেরই সদস্য। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দিতা বাড়াতে দলের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার বিধি নিষেধ ছিল না। যে যার ইচ্ছা করতে পারবেন নির্বাচন। এতেই ক্ষমতাসীন দল হয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া।


এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারী) বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মুখে হওয়া নির্বাচনে দিনভর ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। সকালে অনেকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগণ্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যাও কিছুটা বাড়ে। প্রথম চার ঘণ্টার ভোটের পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ১৮.৫ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য জানানো হয়। ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংবাদ সম্মেলনে ভোটের হারের দুটি সংখ্যা উল্লেখ করেন। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন ২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। পরে অবশ্য পাশে থাকা ইসি কর্মকর্তারা শুধরে দেয়ার পর তিনি জানান ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বা নাও পারে বলেও জানান দেয়া হয়। ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন প্রত্যাশার চেয়েও ভাল নির্বাচন হয়েছে এবার।


নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল না করতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের কোনো ধরনের সংঘাতে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু শক্তিশালী নেতা জিততে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছেন কাদের সিদ্দিকী, আনোয়ার হোসেন মঞ্চু, শমসের মবিন, মমতাজ বেগম, হাসানুল হক ইনু, মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।
জয়ের চমক দেখিয়েছেন ব্যারিষ্টার সুমন, সাকিব আল হাসান, খসরু চৌধুরী, এ কে আজাদ প্রমুখ।  

শেয়ার করুন