২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৭:৩১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


জ্যামাইকায় দৌলতের ওপর হামলা, নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০২-২০২৪
জ্যামাইকায় দৌলতের ওপর হামলা, নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার হামলাকারীদের একজন এবং (ডানে) পুলিশে রিপোর্ট করছেন দৌলত জাহান জাকির


বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকার ১৭১ স্ট্রিট-১৬ এ হিলসাইড অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কয়লা পিজা অ্যান্ড গ্রিল। এই দোকানের মালিক এম এ জাকিরের পুত্র ২৪ বছর বয়সী দৌলত জাহান জাকির কাজ করতেন। বাবা ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে দৌলত জাহান জাকির এক দল দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন। হামলা আহত হয়ে দৌলত জাহান লং আইল্যান্ড জুইস হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফিরে আসেন। বাসায় ফিরে এলেও তিনি এখনো সুস্থ নন। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করছেন। দৌলতের ওপর হামলার ব্যাপারে পুলিশ রিপোর্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও দৌলত জাহান জাকিরের পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতের পিতা এম এ জাকির।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টার মধ্যে ‘কয়লা পিজা অ্যান্ড গ্রিলের’ মালিক সদস্য ‘দৌলত জাহান জাকিরের’ অর্থ ছিনতাই ও হত্যা করার উদ্দেশ্যে কতিপয় দুর্বৃত্ত রক্তাত জখম করে।

দৌলতের বাবা এম এ জাকির এই প্রতিনিধিকে জানান, ঘটনাটি ঘটে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে। তিনি বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা দিকে আমার ছেলে দৌলত জাহান একটি ডেলিভারি দেওয়ার জন্য বের হন। দোকান থেকে বের হয়েই দৌলত তার গাড়ি টয়োটা হাইল্যান্ডার নিয়ে রাইট টার্ন করে। প্রায় দেড় ব্লক যাওয়ার পর একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি দৌলতকে অনুসরণ করে। সামনেই ছিল স্টফ সাইন। ওই সময় বিএমডব্লিউ সমানে দাঁড়ায় দৌলত মাঝে দাঁড়ায় আর ইনফিনিটি গাড়িটি দৌলতের পেছনে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে দুই গাড়িই দৌলতের সামনে চলে যায় এবং গতি স্লো করতে থাকে। ওই রাস্তাটি ছিল টু ওয়ে। তাড়াতাড়ি ডেলিভারি দিতে হবে এই লক্ষ্যে দৌলত ওদের গাড়িকে বাইপাস করে সামনে চলে য়ায়। ওই সময় তাদের একটি গাড়ি দৌলতের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে। এবং গাড়ি থামিয়ে দৌলতকে গালাগালি করতে থাকে। সেই সঙ্গে গাড়ি থামাতে বলে। অবস্থা বুঝে দৌলত গাড়ি না থামিয়ে ভয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে আত্মরক্ষার্থে আমাদের স্টোরের সমানে চলে আসে। ওই গাড়ি দুটোও দৌলতকে ফলো করতে করতে আমাদের স্টোরের সামনে চলে আসে।

দৌলতে গাড়ি থামিয়ে দৌড়ে আমাদের স্টোরে ঢুকার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে দুটি গাড়ি থেতে ৮/১০ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল দৌলতের উপর হামলে পড়ে। তাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। কিল, ঘুসি, লাথি মারতে থাকে সারা শরীরের। আত্মরক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় দৌলত। মারতে মারতে কায়েকফুট নিয়ে যায়, আবার মারতে মারতে এদিকে নিয়ে আসে। তাদের আঘাতে দৌলতের নাখ, মুখ ফেটে যায়। দুর্বৃত্তরা রক্তাক্ত অবস্থায় দৌলতকে ফেলে পালিয়ে যায়।

দৌলত পুলিশ কল করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আসে। ঘটনা যেহেতু দোকানের সামনে পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করা হয়। যা পুলিশকে দেওয়া হয়। পুলিশ নিজেই অ্যাম্বুলেন্স কল করে। দৌলতকে লং আইল্যান্ড জুইস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত চার পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দৌলতের বাবা এম এ জাকির বলেন, যদিও পুলিশকে গাড়ির নম্বর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। তারপরেও আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কারণ তারা একটি সংঘবদ্ধ দল। তাদের সঙ্গে কয়েক কিছু থাকতে পারে, আমাদের দোকানদারি করতে হয়। আবার এসে যদি আমাদের ওপর হামলা করে, আমরা কী করবো? আমি জ্যামাইকা কমিউনিটি এবং পুলিশের সহযোগিতা চাই।

শেয়ার করুন