২৩ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৬:৪২:৩৮ অপরাহ্ন


গত টার্মে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচটির মধ্যে চারটি সিদ্ধান্তই ইমিগ্রেশন-বিরোধী
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৭-২০২২
গত টার্মে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচটির মধ্যে   চারটি সিদ্ধান্তই ইমিগ্রেশন-বিরোধী


বর্তমান সুপার রক্ষণশীল সুপ্রিম কোর্ট ইমিগ্রেশন নিয়ে সম্প্রতি সমাপ্ত টার্মে (২০২১-২০২২ সাল) পাঁচটি মামলা সমাধান করেছে। যার মধ্যে চারটিই হচ্ছে ইমিগ্র্যান্ট-বিরোধী। শুধুমাত্র একটি মামলা বাইডেন বনাম টেক্সাসের 

ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ট্রাম্পের আমলে ঘোষিত আইন দক্ষিণ সীমান্তে আগত ইমিগ্র্যান্টদের মেক্সিকোতে ফিরে যেতে হবে এবং অ্যাসাইলাম মামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে হবে, সে আদেশ বাতিল করতে পারেন। এতে সীমান্তে অবস্থানকারী ইমিগ্র্যান্টরা কিছুটা সুবিধা পাবে। অন্যান্য আদেশ সুপ্রিম কোর্ট সুপার রক্ষণশীলের ভূমিকায় নেমেছে।

১. বিচারিক পর্যালোচনা- পাটেল বনাম গারল্যান্ড:  

সমস্যা: কোনো অনাগরিকের আবেদনে দেয়া তথ্য বিবেচনা করে যদি তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়, এজেন্সির পক্ষ থেকে তাহলে তাকে বিচারিক বিবেচনায় বৈধতা দেয়া যাবে কিনা। এক্ষেত্রে ভারতীয় নাগরিক পাটেল কোনো একসময় তার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার সময় নিজেকে নাগরিক হিসেবে ক্রস চিহ্ন দেয়। সে জন্য পরবর্তীতে পাটেল তা ইচ্ছাকৃতভাবে দিয়েছে, না ভুলবশত দিয়েছে, সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে। মামলাটি ছিল অ্যাটর্নি জেনারেল গারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তাতে সরকার পক্ষ জিতে যায়। আর সে কারণে রায় চলে যায় ইমিগ্র্যান্টদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের ৬-৪ মতামত পাটেলের বিরুদ্ধে যায়। বলা হয়, এজেন্সি কোনো তথ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে তা পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চতর আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই। সবচেয়ে কনিষ্ঠ জাস্টিস অ্যামি কনি ব্যারেট এই রায় লিখেন আর তাতে সম্মতি দেন চিফ জাস্টিস রবার্ট, জাস্টিস থমাস, আলিটো এবং কাভানাহ। তবে রক্ষণশীল জাজ গারসাচ এ রায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন। তার সাথে ছিলেন তিনজন লিবারেল বিচারক- ব্রেয়ার, সোটোমায়ার ও কগান।

এই সিদ্ধান্তের কারণে কোনো ইমিগ্র্যান্ট তাদের দেয়া তথ্যে পূর্বেকার কোনো ভুলের জন্য মাফ পাবে না। যেমন- পাটেল পায়নি তার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার সময় ভুল তথ্য প্রদানের জন্য।

২. দ্বিতীয় মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট কোনো অনাগরিক বা ইমিগ্র্যান্টদের বন্ড হিয়ারিং কিংবা ইমিগ্র্যান্টদের ক্ষেত্রে ক্লাস ওয়াইড  (সকলের ক্ষেত্রে) ইনজাংশন দেয়ার মাধ্যমে কোনো পরিত্রাণ দেয়ার বিষয়টি রহিত করেছে। দুটি মামলা- গারল্যান্ড বনাম আলেসান গঞ্জালেস ও জনসন বনাম আর্টিরাগা মর্টিনেজের ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। ৬ জন রক্ষণশীল বিচারকই একযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয়। তিনজন লিবারেল জাজ ডিসেন্টিং রুল দিয়েছেন। অন্যান্য বিশ্লেষকরা মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রুলিংয়ের কারণে অসাংবিধানিকভাবে আটক মাত্র খুব নগণ্য অনাগরিক কোনো প্রকার সুরাহা খুঁজে পাবে। অধিকাংশ অসাংবিধানিক আটক এতে কোনো প্রকার পরিত্রাণ লাভ করতে পারবে না।

৩. তৃতীয়ত. এক মামলায় বর্ডার এনফোর্সমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যে ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা সংবিধানে নতুন সংশোধনী অমান্য করে কোনো অনাগরিককে মটিতে ফেলে আঘাত করেছে। এর বিরুদ্ধে প্রথমে ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট অফিসারদের সুপার ভাইজারদের কাছে অভিযোগ করা হয়, পরে মামলা করা হয়।

মামলায় ৬ জন রক্ষণশীল বিচারক রুলিং দেয় যে, কংগ্রেসই কেবল ফেডারেল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের ব্যবস্থা নিতে পারে। লিবারেল বিচারকরা কিছু অংশের পক্ষে, আবার কিছু অংশের বিরুদ্ধে অভিমত দেন।  

এতে ফেডারেল এজেন্টদের কেউ কোনো ইমিগ্র্যান্টের প্রতি আচরণে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন সংশোধনী লঙ্ঘনের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারবে না ভুক্তভোগীরা।

চতুর্থত. পাবলিক চার্জ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট দীর্ঘসূত্রতার আশ্রয় নেয়।বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে যায়নি কোনো রুলিং। তবে পাবলিক চার্জের ব্যাপারে ট্রাম্পের আদেশ রহিত করে কোনো রুলিংও দেয়নি। কোর্ট এ ব্যাপারে বাইডেনের বিরুদ্ধে আনীত রিট খারিজ করে দেয় মাত্র। অপর বিষয়টি হচ্ছে মেক্সিকোতে ইমিগ্র্যান্টদের অবস্থানের ব্যাপারে। তাতে বাইডেন প্রশাসন জিতে যায়।


শেয়ার করুন